হে অধ্যাপক তুমি তো জাতি গড়ার কারিগর, তোমার আদর্শে বড় হবে তোমার দেশের আগামি দিনের কর্ণাধর।তুমি তো এসেছ পথ ভোলা জাতিকে আবার তার সঠিক পথে ফিরিয়ে নিতে। তুমি যেখানে দৃষ্টি রাখবে তা হবে পুত:পবিত্র। তোমার অন্ত:দৃষ্টি তো গননা করে ফিরে জাতির অনাগত ভবিষ্যত। তোমার চিন্তা-চেতনায় স্হান পায় সোনার বাংলা গড়ার হাজার প্রচেষ্টা। তুমি তো নিজের কথা ভুলে ব্রত থাক জ্ঞ্যান অন্বেষণে, জ্ঞ্যান সৃষ্টিতে আর তা বিলিয়ে দাও তাদের মাঝে যাদেরকে অবলম্বন করে তুমি সপ্ন দেখো তোমার বাংলা মাথা উচু করে দাড়াবে বিশ্বের দরবারে। তোমার জ্ঞ্যান শক্তি তো অপরিমেয়, জ্ঞ্যান সুমদ্রে ছুটে চলার গতি তো সিডরের ন্যায়, তুমি তো কাজী নজরুলের যৌবণের গানের সেই যুবক যার উর্দির নিচে নেই বার্ধ্যকের কংকাল মুর্তি।
তোমার আসমানে মেঘ তো জাতির জন্য বয়ে নিয়ে আসে বিভীষিকাময় পরিস্হিতি। সময়ের আবর্তে আজ দেখেছে কি তোমার আসমান কতটা মেঘমুক্ত?? দেখেছ কি তোমার বিবেক কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে? তোমার জ্ঞ্যান চর্চা কি আজ যোজন-যোজন দুর? তোমার চারপাশ আজ তমাসাচ্ছন্ন, পৌরানিক আদিমতায় মেতে উঠেছে। অনির্বাণ থেকে ছুটে পড়েছ রক্তপিপাসু নোংরা নর্দমায় যেখানে তোমার সপ্ন অবলম্বন গুলো তিলে তিলে নিশ্বেষ প্রায়। তাগুদি শক্তির কাছে তুমি নতজানু, মাফিয়া রাজনীতিতে আজ তুমি বন্দি। মীরজাফরকে অনুসরন করতে আজ তোমার দিধাবোধ করে না। ভেবে দেখেছে কি রাজাকারের নতুন সংগা কিভাবে দেওয়া যায়??
নিষ্পাপ মেধাকে পদদলিত করে অন্তসারশুন্যকে শীর্ষে তোলা আজ তোমার নিয়তি, জন্ম নেয় আরব্যরজনীর নতুন দৃশ্যপট। বিদ্যাদেবী আজ তোমার কাছে পরাজয় স্বীকারের দারপ্রান্তে! তোমার চোখে জেগে উঠা বিষ সপ্ন হার মানায় লালসালুর মজিদকে। কিন্তূ অনেক সাগর-নদী, পাহাড়-পর্বত পেরিয়ে তুমি তো দেখে এসেছ নীল রক্তধারীরা কিভাবে তার জাতিকে বিশ্বের দরবারে আসীন করতে চায়। নৈতিকতার পাতাল পুরিতে তোমার অবস্হান, বিবেকের কোমল অনুভুতিগুলো আজ ভোঁতা।
বাংলা আজ মাগিছে বিদায় তোমা হতে, তাকে রক্ষা কর, আসো শান্তির পয়গাম নিয়ে, আসো জাতির গড়ার কারিগর হয়ে.................মনে রেখো........উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভ্য় নাই, নিশ্বেষে প্রাণ যে করেছে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




