ছাত্রের হাতে শিক্ষকের মৃত্যু! তথাকথিত ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ওদিকে ১৭ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রের আপত্তিকর পোস্ট কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। যদি শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাস ধর্ম অবমাননা করেই থাকে তোমরা বিচার চাও রাস্ট্রের কাছে। বিচার করার দায়িত্ব একমাত্র রাস্ট্রে অন্যকারো নহে, একথাটি জানতে হবে, মানতে হবে।
এইযে তথাকথিত বিচারকারীরা এবং হত্যকারী জিতুরা বেড়ে উঠছে পারিবারিক মূল্যবোধের অভাব ও নৈতিক অবক্ষয়ের মধ্যে, তারা জড়িয়ে পড়ছে কিশোর গ্যাং-এ। তাদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার যে ব্যর্থতা; এ লজ্জা কার?
১৩-১৪ শতকের কবি শাহ মুহাম্মদ সগীর তার বন্দনা কবিতায় বলেছেন----
ওস্তাদে প্রণাম করো পিতা হন্তে বাড়।
দোসর-জনম দিলা তিঁহ সে আন্ধার।।
আজ থেকে প্রায় ৯ শত বা সাড়ে ৯ শত বছর আগেও কবি তার কবিতায় শিক্ষককে অধিক সম্মান করতে বলেছেন কিন্তু এই আধুনিক এবং তথ্য ও তত্ত্ব সমৃদ্ধ যুগেও আমরা শিক্ষকে সম্মান করতে পারছিনা অথচ এই সময়ে শিক্ষকের অবস্থান হওয়ার কথা ছিল সবার ওপরে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪