
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবিতে তৎকালীন অর্থাৎ ১৯৯৬ সালের বিরোধী দল তথা আওয়ামী লীগ ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আন্দোলন চালায় এবং ১৭৩ দিন মতো হরতাল পালন করে। বহু প্রাণ ঝরেছিল সে সময়। অগ্নিসন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের ধ্বংসাত্নক কর্মকান্ডে দিশেহারা হয়ে ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকার সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী প্রণয়ন করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করেছিল।
ধামাধরা খায়রুল হক একজন সিনিয়রকে বিচারপতিকে টপকিয়ে শাসকগোষ্ঠীর আনুকূল্যে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিল। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিপক্ষে আপিল দায়েরের ছয় বছর পরে এটি পুনরুজ্জীবিত করেছিল এবং তড়িঘড়ি করে ‘সংক্ষিপ্ত আদেশ’ ঘোষণা করেছিল, তাও আবার তাঁর অবসরে যাওয়ার মাত্র ৮ দিন আগে। মাত্র ১০ দিনের শুনানিতে এবং অ্যামিকাস কিউরির সুচিন্তিত পরামর্শ ও সুপারিশ উপেক্ষা করে রায় দেওয়া হয়েছিল।
যে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছিল, দেশের কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছিল, ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে বহুপ্রাণ কেড়ে নিয়েছিল, কর্মস্থলগামী লোকজনকে দিগম্বর করেছিল, লগী-বৈঠা নিয়ে মাঠে নেমেছিল তারা কেন আজ তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে?
আওয়ামী লীগ বার বার বলছে যে, সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে ফলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার আর কোন সুয়োগ নেই। যে রায়কে তারা অজুহাত হিসেবে তুলে ধরছে সেই রায়েই সুপ্রিম কোর্ট এটাও বলেছিল যে, পরবর্তী দুটি নির্বাচন হবে বিরাজমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তবে বিচারপতিদের বাদ দিয়ে। আওয়ামী লীগ কি সেটা পালন করেছিল?
এভাবে আওয়ামী লীগ জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিভ্রান্তিকর উপায়ে বাতিল করেছে।
রোববার, ০৯ জুলাই ২০২৩ : সমকাল অবলম্বনে লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



