
ছোট বেলায় যখন এইম ইন লাইফ অথবা বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও এই টাইপের রচনা লিখেছেন তখন শতকরা ৯৫ জনই ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। ডাক্তার হওয়া না হওয়া পরের বিষয় কিন্তু তখন মনে হতো ডাক্তারী ছাড়া আর কোন পেশা নেই অথবা কোন মহৎ কাজও নেই। তখন কেউ শিক্ষক বা সমাজ সেবক অথবা অন্য কিছু হতে চায়নি গুটি কয়েক হয়তো পুলিশ বা অন্যকিছু হতে চেয়েছিলেন।
উচ্চ চাহিদার বিপরীতে ডাক্তারের সংখ্যা নেহাতই কম হওয়ায় আয় উপার্জন অনেক বেশি ফলে সব ছাত্র/ছাত্রীই প্রাপ্তিযোগে আশায় ডাক্তার না হওয়ার মত বুদ্ধিনাশা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। যদিও ডাক্তার হওয়ার দৌড়ে শেষ পর্যন্ত যে ক'জন টিকে থাকে তারাও ডাক্তার না হয়ে টাকার কুমির হতে চায়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সিজারিয়ান জন্মের হার ১০-১৫% ভালো বলে সুপারিশ করেছিল। সেখানে বাংলাদেশে ২০১৭-১৮ সালে এসে এই হার ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারি ও এনজিওভিত্তিক হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুজন্মের হার যথাক্রমে ৮৩.৭০ ও ৪৩.৯০ শতাংশ। যেখানে ২০০৪ সালেই এই হার ছিল ৮ শতাংশ। ভাবা যায়! বেশি অর্থযোগের নেশা ডাক্তারদেরকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে? বাংলাদেশে নরমাল ডেলিভারি ৫০০০ টাকার মধ্যেই সম্ভব পক্ষান্তরে সিজারিয়ান ডেলিভারি গড়ে ২৫০০০ টাকা বা তার বেশি লাগে।
মানবিক ডাক্তার যে নেই তা বলবোনা, ভালোমন্দ দুই আছে। তবে মানবিকের চেয়ে অমানবিকের সংখ্যাটাই যেন হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে।

মানবিক ডাক্তার অধ্যাপক কামরুল ইসলাম৷ তিনি পারিশ্রমিক ছাড়া কিডনি অপারেশন করে থাকেন৷ নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকদের জন্য এক ভরসাস্থল। নিভৃতচারী চিকিৎসক ও প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম বিনামূল্যে সহস্রাধিক কিডনি প্রতিস্থাপন করে শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবুও লেশমাত্র অহংকার নেই এ চিকিৎসকের। বরং সবসময় নিজেকে আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



