
গত দেড় দশক ধরে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস, জাতীয় নির্বাচন অথবা রাজনৈতিক উত্তেজনার আগমুহূর্তে হঠাৎ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান, পাহাড়ে অস্ত্রকারখানা আবিস্কার, বনে অস্ত্রের গুদামের সন্ধান পাওয়া যেত। সেই সংগে ফলাও করে হাসিনা মিডিয়া প্রচার করতো বড় হামলার পরিকল্পনা ভেঙে পড়েছে, ষড়যন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে, জঙ্গিদের জাল উপড়ে ফেলা হয়েছে, অস্ত্রকারখানা ও গুদাম ধ্বংস করা হয়েছে। থান্ডারবোল্ট, শোলাকিয়া, সানডেভিল, ইগল হান্ট ইত্যাদি নামে সিলেটের শিববাড়ি, আশকোনা, কল্যাণপুর, গাজীপুর, পার্বত্য এলাকাসহ বহুস্থানে অভিযান চালানো হয়েছিল।
হাসিনার শাসনামলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান মূলত দীর্ঘ মেয়াদে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের একটি হাতিয়ার ছিল। বাংলাদেশে জঙ্গিদের উত্থান হচ্ছে, এদের দমাতে না পারলে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি হবে এবং এভাবে ভারতীয়দের সহায়তায় ইউরোপ এবং আমেরিকাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে বিনাভোট ও রাতের ভোট নিয়ে বহির্বিশ্ব থেকে বড় ধরনের কোনো চাপের মুখে পড়তে হয়নি হাসিনাকে। সেইসংগে হাসিনা বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থান রোধে আওয়ামী সরকার দরকার বলে বহির্বিশ্বের অনেক দেশকে বুঝাতে চেয়েছিল। অবৈধ ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে বিদেশিদের কাছে জঙ্গিফোবিয়া ও ইসলামোফোবিয়া তৈরি করে নিজেকে মৌলবাদ বিরোধী শক্তি হিসেবে জাহির করতে একের পর এক নাটক প্রযোজনা করতে হযেছিল হাসিনাকে।
৫ আগস্টের পর সেই তথকথিত ইসলামী জঙ্গীরা গেলো কোথায়? প্রশ্ন আপনাদের কাছে।
এবার শোনা যাক হাসিনার সঙ্গে ইনুর জঙ্গীকার্ড খেলার ফোনালাপ।
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ভারতের প্রযোজনায় আওয়ামী চিত্রনাট্যে ফের ওই ধরনের জঙ্গি নাটক সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশে কথিত জঙ্গি নাটকের হোতারা পুনরায় সক্রিয় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাধু সাবধান!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


