
২০১০ সালের ২৫ মার্চ। সেদিন মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত হাসিনার সিদ্ধান্তে যাত্রা শুরু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের। হাসিনার করা আদালত। হাসিনার করা আইন। সেখানে চলে প্রহসনের বিচার যেখানে আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য কাউকে দেওয়া হয়নি কোন সুযোগ। সাক্ষ্যিদের গুম করা হয়েছে অথবা ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফাঁসি দেওয়া হয় মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড পরে আপিলে আমৃত্যু কারাদণ্ডে পর্যবসিত হয় এবং গোলাম আযমকে ৯০ বছরের সাজা দেওয়া হয় তিনি কারাগারেই মারা যান এছাড়া বিএনপি মন্ত্রী আবদুল আলীম কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেন।
হাসিনার সেই আদালত ১০০% সহীহ তরিকায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে সেই আদালতের উপরে আপনাদের বিশ্বাস নাই? হাসিনার আমলের কোন বিচারক কোন পক্ষপাতিত্ব করে নাই, কারো কথা শোনে নাই, কারো দিকে তাকায় নাই তারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে গেছে। তারা ১০০% সহীহ বিচার করে ফাঁসি দিয়েছে, এখন যদি আপনারা সেই আদালতের উপরে সন্দেহ করেন তাহলে ভাবতে হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সহীহ হয় নাই। শুধুমাত্র বিরোধী মতকে দমন করার জন্যই তখন সেই বিচার হয়েছিল। তখনকার বিচার ১০০% সহীহ হলে এখনকার বিচারও ১০০% সহীহ, তখনকার বিচার ১০০% সহীহ নাহলে এখনকার বিচারও ১০০% সহীহ না---এখন আপনারাই বলেন কোনটা মানবেন⁉️
সেই একই ভবন, একই ট্রাইব্যুনাল-কেবল দৃশ্যপট বদলে গেছে। একসময় যে ট্রাইব্যুনাল থেকে হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধের রায় দেওয়া হয়েছিল, আজ সেই ট্রাইব্যুনালই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচারিক রায় দিয়েছে। তাহলে সেই আদালতকে ক্যাঙ্গারু কোর্টের ফরমায়শি রায় যার ৫ পয়সাও মূল্য নেই বা এই রায় আপনারা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে কেন? এর উত্তর আপনাদেরকেই দিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


