
বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। শিক্ষক রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি। সহকারী শিক্ষক রয়েছেন তিন লাখ ৫২ হাজার। বেশির ভাগ স্কুলে গতকাল সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে এলেও বাধার মুখে পড়ে। অনেক স্কুলে বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে গিয়ে অনেক দেরিতে শুরু হয়।
কিন্তু কথা হলো এই সময়ে কেন দাবিতে সোচ্চার হলো? গত ১৬ বছর তারা কি করেছিল? নাকি ললিপপ চুষতেই সময় পার করেছেন তারা? এখন যে সরকার সে সরকার একটা নড়বড়ে সরকার সব দাবিই কেন সেই সরকারের কাছে? সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বার্ষিক পরীক্ষার সময় কোমলমতি ছোট্ট বাচ্চাদের জিম্মি করে দাবি আদায়ে তারা এতো আগ্রাসী কেন? তারা অন্যকোন সময় বা নির্বাচিত সকারের সময়ে তাদের দাবিদাওয়া সরকারের নিকটা পেশ করতে পারতো; তা না করে কোমলমতি ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে অবিলম্বে তাদের এই ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে বজ্রকঠিন হতে হবে যেমন হয়েছিল ভ্যাট ট্রাক্স কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
অপরদিকে শিক্ষদের দাবি হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি। এটা কোন অযৌক্তিক দাবি না কারণ বর্তমানে প্রাথমিকের শিক্ষকরা বলতে গেলে প্রায় সবাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তারা একটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমেই এসেছেন। সুতরাং তাদের এই দাবি মোটেও অযৌক্তিক নয়।
শিক্ষকদের বড় সমস্যা হলো তারা সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন না পাঠদান বলতে গেলে অথৈবচ। এসব কাটিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে শিক্ষা বিস্তারে ও শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে সরকারকে যথাযথ ভুমিকা পালন করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


