RAPE বা ধর্ষণ, হ্যাঁ, আগে হয়তো কথাটা বলতে মুখে আটকাতো, কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি তাতে একটা ৫ বছরের বাচ্চাও জানে।
♦ ধর্ষণ কি?
ধর্ষণ বলতে বুঝায়, “বেআইনী ভাবে কারো মতের বিরুদ্ধে তার শরীরের যৌনঅঙ্গ সমুহের ব্যবহার”। যদিও ধর্ষণের সাথে জোরপুর্বক শারীরিক সম্পর্ক যুক্ত,
ধর্ষণ মানে প্রচণ্ড আবেগ কিংবা
অন্তরঙ্গ শারীরিক মিলন নয়। ধর্ষণ হচ্ছে একপ্রকার আগ্রাসন এবং সহিংস অপরাধ।
♦কেন ধর্ষণ করে?
প্রতিটি মানুষের মাঝেই শারীরিক
চাহিদার তাড়ণা আছে। কেহ কেহ এই চাহিদার তরিৎ বাস্তবায়ন করতে গিয়েই ধর্ষণের আশ্রয় নেন।
♦ধর্ষণ কার ভুল?
অনেক মানুষকে বলতে শুনি “ধর্ষিতা তার কাপড়চোপড় কিংবা
অঙ্গভঙ্গিতে ধর্ষনকারীকে অপরাধটি করতে উৎসাহী করেছিল”। ধর্ষিতার দোষ বলে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাবার উপায় নেই। সর্বক্ষেত্রেই ধর্ষনকারী অপরাধী এবং ঘটনার জন্য শুধু ধর্ষনকারীই দায়ী থাকবে।
♦কারা ধর্ষণ করে?
১। পত্রিকায় প্রকাশিত ধর্ষণের
ঘটনাবলী দেখে অনুমান করা যায়
যারা ধর্ষক তাদের বয়স মোটামুটি ২০ থেকে ৪০ এর মাঝে।
২। যারা ধর্ষক তারা (যে কোন
ভাবে) ধর্ষণের শিকার নারীর
পরিচিত এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই
নিন্ম মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত শ্রেণীর
মানুষ। আর উচ্চবিত্ত যারা করে তাদের কাছে এটা ফ্যাশন।
৩। সাধারণ ধারণা অনুযায়ী বলা যায়, যারা ধর্ষক তারা মানসিক
বিকারগ্রস্থ।
উপরে যেগুলো বললাম, সেগুলো হল সামাজিক কথাবার্তা, এবার অসামাজিক কিছু বলি। মানে বর্তমানে নিজের মত প্রকাশ করাই অসামাজিক হয়ে দাঁড়াইছে, তাই এমন বলা।
এটা তো গেলো ধর্ষণ নিয়ে, আচ্ছা গণ ধর্ষণ আর শিশু ধর্ষণ কেনো হয় একটু কেউ বলবেন। নারীদের তো তাইলে ভোগ্য পণ্যই ভাবা হয় না কি? আনলাম দশজনে খেলাম, তারপর খোসা করে ফেলে দিলাম। বাহ! কি সুন্দর! তাইলে শিশু ধর্ষণ কেনো হয়??? একটা ১৭/১৮ বছরের মেয়ে বুঝলাম তার আকর্ষণীয়, আবেদনময়ী ব্লা ব্লা ব্লা কারনে ধর্ষিত হয়, সেখানে ৫/৬ বছরের বাচ্চা কেন হয়, আমি তো লজিকে মিলাইতে পারি না। কেউ মিলাইতে পারলে একটু বুঝাইয়েন তো। প্রশ্ন তাদের কাছে যারা রেপ করে! আচ্ছা তোদের কি এতটাই চেতনায় সমস্যা যে একটু হইলেই নইড়ে ওঠে। একটু ভেবে দেখ তো নিজের মা বোন বা মেয়ে যদি কখনো এমন শিকার হয় তো। মা বোনের কথা বাদ দে তোদের মনে হয় জায়গা মত কষে লাত্থি দিলেও তোদের চেতনা প্রবলেম যাবে না। ইচ্ছা করে তোদের একটাবারের জন্য হলেও সেই পরিমাণ টর্চার করতে যতটা একটা মেয়ে রেপ হওয়ার সময় পায়, আরে তাও কিছু না, এই টর্চার টা না, পরিমাপ করা যায় না। আর তোরা বুঝবিও না। আর তোরা তো রেপ করিস তোদের শরীরের ক্ষুধা মেটাতে, ক্ষুধা মিটে গেলে কি করলি কার সাথে করলি ভাবিসও না! ভয় লাগে! তোদের কাছে কি তোদের নিজের বোন বা মেয়েও কি নিরাপদ। শালা জানোয়ার এক একটা। আমি শিওর যদি তোদের মা রা জানতো তোরা এমন হবি, আতুড় ঘড়ে বিষ দিয়া দিত!!
আরও এক শ্রেণীর ধর্ষক আছে আমাদের সমাজে। এরা বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসা নারীর শরীরে হাত বুলিয়ে বেড়ায়। এরা নারীকে শারীরিকভাবে ধর্ষণ করেনা কিন্তু নারীর শরীরে এমনভাবে চোখ বুলিয়ে যায় যেন সে চোখ দিয়েই নারীকে ধর্ষণ করছে। এরাই সমাজে সবচেয়ে ভয়ংকর।
সর্বোপরি, ধর্ষণ সকল সমাজেই ঘৃণ্য এবং অগ্রহণযোগ্য ঘটনা। উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করি যারা এই সকল ঘৃণ্য এবং অগ্রহণযোগ্য কাজ করেন তাদের আপনি শুভ বুদ্ধি দান করুন।
#সিরিয়াল_কিলার_নীল