দিনরাত
দিন বেয়ে বেয়ে রাতে নেমে দেখি
রাত গুলো নীল দিনের বিষে
চাঁদ ও এসেছে রাত তাড়াতে
রাত গেলে চাঁদ আলো দিবে কিসে! বাকিটুকু পড়ুন
দিন বেয়ে বেয়ে রাতে নেমে দেখি
রাত গুলো নীল দিনের বিষে
চাঁদ ও এসেছে রাত তাড়াতে
রাত গেলে চাঁদ আলো দিবে কিসে! বাকিটুকু পড়ুন
অতীতের নথিতে মৃতের নোট
সময় সাক্ষী স্বাক্ষরে,
আমাদেরও শেষটা লেখা হবে
এপিটাফের কিছু অক্ষরে। বাকিটুকু পড়ুন
কাজলের টিপও যাচ্ছে মুছে
মায়েরা দেয় ছোট্টকালে,
প্রাপ্তি সব জমছে দ্যাখো
জন্ম যাদের রাজ কপালে।
চোর শালা কিনছে দালান
ডাকাত পুরো শহরটাকে,
উল্টো দিকে বেড়ার বাড়ি
কাক ঠোকরায় বাপের টাকে।
সিটির জমি টুকরো প্লটে
স্কয়ারফিটের খেলাঘরে,
শৈশব এখন চার দেয়ালে
মাথা কুটে আছড়ে মরে।
উইকেন্ডে দম্পতিরা
জোড়া বাচ্চা টেনেটুনে,
একঘেয়ে ক'টা রেস্টুরেন্ট
আর নয়ত সেই কিডস জোনে।
জীবন ছুটছে যন্ত্রের মতন
'যন্ত্র' না কী... বাকিটুকু পড়ুন
শহুরে সিলিং এ বৃষ্টি এখন ছন্দহীন
এভিনিউয়ের চকচকে এলইডিতে বর্ষার রাত গেছে নির্বাসনে।
কনক্রিটের ঢালাইয়ে ঝিঁঝিঁপোকা মরে বেঁচেছে
এ্যাপার্টমেন্টের সংকীর্ণ বিন্যাসে আষাঢ়ের আজ শ্বাসকষ্ট!
১১ আষাঢ়, ১৪৩০ বাকিটুকু পড়ুন
সময়
অতঃপর যখন সময় হলো
তখন দেখি সময় শেষ!
শৈশব চুরি গেছে সাতসকালে
কৈশর বেলা বাড়ার আগেই,
বাকী যেটুকু বিকেল ছিলো
চোখের সামনে ডাকাতি হলো।
হাহাকারের সন্ধ্যা নামলো
একরাশ বঞ্চনা হাতে।
হর্ন-মাহফিল-উলুধ্বনি-ভাষণ-সাইরেন
সব শব্দের মিলিত অনুনাদ
নিঃশব্দ কি এক বিন্দু টলে!
সর্বগ্রাসী শুন্যতার এক নির্দয় প্রতিশোধ
সময় কে সময় দেইনি বলে।
বাকিটুকু পড়ুন
সকাল সাতটা তেরো।
সময় এখনো ভোরেই পড়ে আছে,আকাশ কিছুটা মেঘলা।
প্ল্যাটফর্ম থেকে ছুটে গিয়ে একটা ছাগল পরিত্যক্ত লাইনে বাঁধা আরেকটা ছাগল, যেটি কিনা প্রচন্ড শক্তিতে তার দড়ি ছিঁড়ে ছুটতে চাইছে,তাকে বাঁচাতে গেলো। শিং দিয়ে গুতিয়ে দড়ি-খুঁটি আর নয়ত রেলটাই পারলে উপড়ে ফেলে, বাঁচাতে তাকে হবেই। ট্রেন অবশ্য ও লাইনে যায়না।
দ্রুতগামী প্রকান্ড... বাকিটুকু পড়ুন
মাটির ভাঁজে যে ভালোবাসা মরে জমে গেল
লক্ষ বছর পর ফসিল ফুয়েল হয়ে জ্বলবে;
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এ উদ্ভাসিত আলো
যৌথ স্বপ্নভঙ্গে তোমার দায় এর কথাই বলবে। বাকিটুকু পড়ুন
দুঃসময়ের দিনলিপি
----------------------------
কাঁচা সোনা রোদে
কালো কেটে যাবে
উবে যাক সব উচাটন,
মুক্ত শ্বাঁসের মুক্তি মিলুক
ডেডলক ভেঙ্গে দিনযাপন।
উদ্বেগ যা উদ্বায়ী হোক
নীল সবুজের সীমান্তে,
বদ্ধ সময় জব্দ করে
মিলবো জোড়ায় দিনান্তে।
মরণ যখন সংখ্যা হবেনা
আসবেনা ব্রেকিং টিভিতে,
দুঃসময়ের দুঃখগুলো
মুছে দেবো দিনলিপিতে।
রূপসা বুকে রূপার চাঁদে
ঢেউয়ে জুড়বে মায়াজাল
এই কালো কাল 'গতকাল' হবে
সাক্ষ্য স্বয়ং মহাকাল।
২০ আষাঢ়, ১৪২৮।
রোড নাম্বার-১ বাকিটুকু পড়ুন
বলছিনা যে,
বারি আর নারী ধর্মে একই
পাত্র বুঝে আকার গড়ে
যখন যে হাত সেই হাতে হাত
অতীত গিলে গড়িয়ে পড়ে।
এও বলিনি,
স্থিতিস্থাপক হৃদয়টা যে
ভর বুঝে তার ওঠানামা
কেউ পারেনা ভাঙতে তাহার
ইলাস্টিসিটির সহ্যসীমা।
কে বলেছে,
মোমের মত মনটা তোমার
খামখেয়ালের ঘরবসতি
ইস্ট্রোজেনে দোষ চাপিয়ে
সকল ভুলের অব্যাহতি।
বলবো কেন,
ভিন্ন ছাঁচে একই তুমি
প্রচণ্ড এক উচ্চাভিলাষ
একই চাঁদে ভিন্ন ছাদে
গৎবাঁধা সেই চন্দ্রবিলাস।
সেই ই ভালো,
অভিযোজন এক... বাকিটুকু পড়ুন
ভালোবাসা ভোলা যায়
'মায়াবাসা' নয়,
মায়ায় শ্বাসরুদ্ধ বসবাস
মায়ার মাঝেই ভয়।
ভালোবাসার প্রত্যাহারে
ভালোবাসা-ই যায়
অসহ্য এক অসীমতায়
মায়ায় মরণ দায়।
আমি কি তবে তোমায় মায়াবাসি? বাকিটুকু পড়ুন
বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠস্বর'
'চিবুক চুইয়ে পড়া জল'
'অপ্রাপ্তির অসীম শূন্যতা'
আর 'উপাখ্যানের কিছু ছেঁড়া পাতা '
অতঃপর মঞ্চে পর্দাপতন।
মুহুর্তের বিরতি পর
অন্ধকার ভেঙ্গে মূর্ত তুমি,
ফ্রেসনেল লণ্ঠনে আনকোরা মুখ।
নতুন অঙ্কে অভিনয়
পেছনে অপাঙক্তেয় অতীত... বাকিটুকু পড়ুন
এখন অবশ অনুভুতির দিন
হোটেলের নিত্যকার পুরনো সয়াবিন
ন'টা পাঁচটা চিৎ হয়ে সময় ঠেলা
একটা একঘেয়ে সন্ধ্যাবেলা,
আলস্যের ব্যাচেলরি উদযাপন
অর্থহীন অথবা অপ্রয়োজন।
কাঁচা সকালে হলুদ ট্রাকের হর্ণ
কুকুরের ঘেউঘেউ, দোকানের শাটার
কেজির বাচ্চা নিয়ে ছোটা চল্লিশের মহিলাগুলো,
ভুড়ি নাচিয়ে জগিং এ ছোটা কিছু ক্লান্ত প্রৌঢ়
খেঁকিয়ে ওঠা সবজিওয়ালা
সব শব্দের বিশ্রী অনুনাদে এক বেহুদা সকাল,
এরপর সারাদিন মুখস্ত স্ক্রিপ্টে অভিনয়।
যাপিত... বাকিটুকু পড়ুন
এখন অবশ অনুভূতির দিন
হোটেলের নিত্যকার পুরনো সয়াবিন
ন'টা পাঁচটা চিৎ হয়ে সময় ঠেলা
একটা একঘেয়ে সন্ধ্যাবেলা,
আলস্যের ব্যাচেলরি উদযাপন
অর্থহীন অথবা অপ্রয়োজন।
কাঁচা সকালে হলুদ ট্রাকের হর্ণ
কুকুরের ঘেউঘেউ, দোকানের শাটার
কেজির বাচ্চা নিয়ে ছোটা চল্লিশের মহিলাগুলো,
ভুড়ি নাচিয়ে জগিং এ ছোটা কিছু ক্লান্ত প্রৌঢ়
খেঁকিয়ে ওঠা সবজিওয়ালা
সব শব্দের বিশ্রী অনুনাদে এক বেহুদা সকাল,
এরপর সারাদিন মুখস্ত স্ক্রিপ্টে অভিনয়।
যাপিত... বাকিটুকু পড়ুন
শংকা
--------
সোডিয়াম ল্যাম্প আর লোভের শহরে
মেকী মুখ আর মেকআপের মচ্ছবে
তুমি কী প্রথাবিরোধী ব্যতিক্রম?
নাকি শর্তহীন বিশ্বাসের বায়বীয় বলয়ে
তুমি আমার তৃতীয় দৃষ্টিভ্রম!
পাথুরে প্রতিবেশে নিত্যকার নিয়মে
শর্ত আর স্বার্থের সংকীর্ণ সময়ে
তোমার দিলে কী দরদের চাষ হয়?
ফেরারি মন ফ্যান্টাসি তে ফাঁসছে নাতো?
প্রণয় না শেষে হয় পরিণত অভিনয়!
সে যাকগে,
সব হারানোর হারার কী ভয়!
হারবো নাহয় তোমার হাতে,
আঙুল... বাকিটুকু পড়ুন
শত কিলো সানন্দে পেরিয়ে
মধ্যদুপুরে চেক-ইন
তারপর তোমার মুখ
শীত বর্ষার ব্যবধানে।
হুডখোলা স্বাধীন বাতাস
অবাধ্য চুলের আন্দোলন,
বাইপাস রোডে পড়ন্ত রোদে
সবুজ চিড়ে তোমার সুবাস।
দুহাতে তখন গোধুলীর লাল
মুঠোতে মমতা কিংবা নির্ভরতা,
এ্যাতো দেখি তবু দেখিনা যে!
মাইনাস চশমাটা মুছি।
রুফটপে তখন শরতের জোছনা
টেবিলের কাঁচে তুমি আর চাঁদ,
দূরে অন্ধকারে দুচোখ রাখি
সময় গুলো এ্যাতো অল্প কেন?
এরপর এক জোড়া সকাল
গোটা তিনেক... বাকিটুকু পড়ুন