আমার দিদি খুন হয়েছে
৫ মাস ১০ দিন হিম মাটির নিচে শুয়ে শুয়ে অন্ধকারের ঘনত্ব , গভীরতা , শব্দ আর স্বাদ পরখ করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। ব্যাকটেরিয়া আর সুবোধ পোকা মাকড়েরা তাদের নৈমিক্তিক কাজে ব্যস্ত, নিজেদের মধ্যে ভাগের মাংসাংশ নিয়ে কলহ ছাড়া সব কিছু নির্বিবাদেই চলছে। এই অংশে পৃথিবীর সময় গণনা করে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র এই জীবেরা। যত দ্রুত চর্ম - মাংস - চর্বি - অস্থি’র বিলীয়মান পর্ব সমপন্ন হয়, সময় তার সাথে সাথেই চলে।
৫ মাস ১০ দিন । পৃথিবীর জন্য কোন সময়ই নয় কারণ এমন সহস্র কোটি ৫ মাস ১০ দিন পার করেই আজকের পৃথিবী , নক্ষত্র পুঞ্জের সমুদ্রে একটি সবজে নীল গ্রহ। তিথি দুর আকাশে তাকিয়ে আছে। কেউ দেখলে ভাবতে পারে ও হয়তো আকাশের তারা গুনছে কিংবা কথা বলছে কোন তারার সাথে নয়তো পাল্লা পাল্লি খেলা চলছে তারা ও তিথিতে Ñ কে কতক্ষণ অপলক তাকিয়ে থাকতে পারে।
৫ মাস ১০ দিনের মধ্যে প্রকৃতিতে ব্যপক পরিবর্তন ঘটে গেছে। অগাস্টের ভ্যাপসা গরম থেকে জানুয়ারির শৈত্য প্রবাহ, মাঝে সিডরের তান্ডব, রাজনীতি ,অর্থনীতি টালমাটাল। এত কিছু ঘটে গেলেও তার প্রভাব কেবল পৃথিবীর ভূ-ভাগের বায়ু মন্ডলকেই প্রভাবিত করে। পৃথিবীর বুকের গভীরতায় শুধু এক ভাষা - এক কর্ম- এক ধর্ম- বিলীয়মান প্রক্রিয়া। যখন যাকিছু যেভাবেই তার গভীরে প্রবেশ করুক না কেন আর তা যে বা যাহাই হোক না কেন পরিণত হবে ধুলি থেকে ধুলিতে, ভস্ম থেকে ভস্মে-----এক অঙ্কুরোদগমরত উদ্ভিদ ছাড়া।
৫ মাস ১১ দিন আগে দিদিকে দেখতে গিয়েছিল তিথি, দিদির ফ্ল্যাটে। দিদিকে সেদিন খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছিলো হয়তো অসুস্থতার কারণেই। দিন কয়েক আগে তার ছোট একটা অপারেশন হয়েছে পিত্ত থলিতে আর এ তাছাড়াও আরো কিছু শারীরিক সমস্যাও আছে। ডাক্তার বলেছিল ”চিন্তা করবেন না , এভরিথিং উইবি অলরাইট।” সেদিন ঘন্টা দেড়েক গল্প হয়েছিল দুই বোনে। ”তোমার এটা কোন অসুখ হলো, ভালো হয়ে যাবে শোননি। তারপরও সারাক্ষণ কেন এত মন খারাপ করে থাকো ?” তিথি জানতে চেয়েছিল। দিদি এক বুক বাতাস টেনে ধরে মুক্ত করে দিল তারপর এক গাল হেসে কিছু না বলে বিস্কুটের থালাটা এগিয়ে বলল ’নে খা’।
১৮ বছরের বিবাহিত জীবন, দুইটি ছেলে মেয়ে নিজের ফ্ল্যাটে সুখী সংসার। চিন্তা করার মতো কোন দুঃশ্চিন্তা থাকার কথা নয় দিদির, তবু কেন তার শরীর ক্ষয়ে যাচ্ছিল প্রতিদিন? কে জানে? কার এত সময় ? কে বা কার হেঁসেলের খবর রাখে?
৫ মাস ১০ দিন আগেও দিদি ছিল। পৃথিবীর বায়ু মন্ডলের বায়ু তার আয়ু হয়েছিল। ৫ মাস ১০ দিন ধরে সে আছে ব্যাটেরিয়া আর ভূমিজ পোকা মাকড়ের আয়ু বাড়াতে ভুমির গহীনে। এমনই অসুখ হয়েছিল যে দিদিকে নিতে হলো এই অকাল নির্বাসন!
জানা গেল আরো পরে, কিছু মাস ও দিন পার হলে হঠাৎ করেই মৃত্যু বিষয়ক ভিন্ন এক গল্প জানা গেল।
সত্য মিথ্যা মিথ্যা সত্য।। মিথ্যা সত্য সত্য মিথ্যা।।
এত দিন পর্যন্ত পরিবারের সবাই দিদির চলে যাওয়াকে অসুস্থতা জনিত স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই জেনেছে। এর যথেষ্ট কারণও ছিল। বড্ড বেশি অসুস্থতার সাথে ছিল দিদির নিজের প্রতি বারাবারি রকমের অবহেলা। ডাক্তারের কাছে যাবেনা ঔষুধ খাবেনা। মরবেইতো!! স্বজন পরিজন নিজেদেরও নানা ভাবে দায়ি করছিল এই ভেবে যে আমরা যদি একটু জোড় করে অমুক বিশেষজ্ঞ’র কাছে নিয়ে যেতাম তা হলে বোধহয় এমনটা ....কি জানি??.. কিন্তু এই সব কথাই অমূলক প্রতিপন্ন হলো এই ভিন্ন গল্পের আর্বিভাবে। জানা গেল সেদিন হঠাৎ করেই দিদির অসুস্থতা বাড়েনি। ব্যস্ত স্বামী সেদিন বাড়িতেই ছিলেন এবং তাদের প্রথমে বাক্যুদ্ধ মানে ঝগড়া মানে কথা কাটাকাটি মানে গালাগালি হয়েছিল। পরের ধাপ চড় থাপ্পর সাথে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া এবং তার খানিক বাদে সপ্তাহ খানেক আগে করা অপারেশনের জায়গায় ঘুষি ফলে রক্তপাত। চিৎকারের চেষ্টা রোধ করতে গলা টিপে ধরা আর দিদি পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করাতে তাঁর চুলের মুঠি ধরে ঘরের মধ্যে ফেলে অনবরত লাথি -- অবশেষে সংজ্ঞাহীনতা--------------------সেদিন আর কেউ ছুটে আসেনি দিদির জন্য, এক পাশের ফ্ল্যাটের বউদি ছাড়া।
মৃত্যুর ২ মাস পার হয়েছে। দিদির সাথে ব্যাকটেরিয়াদের মজমাটা জমতে শুরু করেছে - ক্ষুদ্রতি ক্ষুদ্র জীবেরা মাংস নিয়ে যখন মুখরোচক আনন্দে মত্ত - দিদির স্বামী ঘোষণা দিলেন , তিনি আবার বিয়ে করবেন।
ভালবাসার বিয়ে ছিলো দিদির। ছেলের পরিবার নিয়ে আপত্তি ছিলো দিদির মামার বাড়ির স্বজনদের। মা হারা দিদির মায়ের অভাব পূরণ করতেন বড় মামী তিনি বুঝতেন দিদিকে। ......মা থাকলেও এমনই বুঝতো , তিনি অন্য সবাইকে রাজী করালেন এই বিয়েতে । মেয়ের জীবন, যাকে পেলে সুখী হবে তাতেই তো সবার সুখ।
বিয়ের তিন মাস পর এক সকালে তিথি দিদিকে দেখতে যায়। ছোট্ট বাসা, দিদিও বরের তেমন আয় রোজগার নেই সেই সময়। টানাটানির সংসার অথবা টোনাটুনির সংসার, যাই বলি। দিদির চোখে সেদিন রাজ্যের সুখ দেখেছিল তিথি- মানুষ এতো সুখীও হতে পারে!!
দিদির মৃত্যুর ঠিক দুই মাসের মাথায় স্বামীর পুনরায় বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করাটা কোন দোষের কিছু নয়। এরপক্ষে হাজারো যুক্তি দেয়া যায়। কিন্তু লাইলি মজনু , রোমিও জুলিয়েটের যোগ্য উত্তরসুরি হিসেবে খ্যাত পাত্র পাত্রীরা একজন বিয়োগে অন্যজন এত দ্রুত নতুন জীবনের সিদ্ধান্তে আসতে পারে তা যে বিশ্বাস করা কঠিন। আর এই হেন বাসনা হঠাৎ করেই আর্বিভূত হয় না। এই বাসনার সূত্রপাত আরো অনেক আগে থেকেই ঘটেছিল কিনা আর তা নিয়ে দিদির দাস্পত্য সুখ বিঘিœত হচ্ছিল কিনা তা এখন কেবল তিথি ও তার পরিবার আশঙ্কা করতে পারে মাত্র। তবে কি স্বামীর নানাবিধ সর্ম্পকের খবর দিদির অজানা ছিলো না আর এই কারণেই কি পারষ্পারিক অশান্তি , অবহেলা? দিনে দিনে স্বামীকে ফেরাতে না পারার কষ্টে নিজেকে শাস্তি দেয়া? একান্ত এ খবর গুলো পরিজনেরা এখন শুধুই অনুমান করে।
বর্তমান সুদৃশ্য ফ্ল্যাটের অধিবাসীরা কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানোর ব্যাপারে খুবই সাবধানী, এতে নিজের বিপদ বাড়ে। কিন্তু ৫ মাস ১০ দিন আগে এর ব্যতিক্রম হয়েছিল। দিদির পাশের ফ্ল্যাটের বউদি চিৎকার করে সেদিন বলেছিল ”ওকে হাসপাতালে নাও, ওতো অজ্ঞান হয়ে গেছে। এভাবে পরে থাকলে বাচঁবে না,মরে যাবে।”
যাওয়া থেকে ওকে কেউ ফেরাতে পারেনি । হাপাতালে নেয়া হলো। ডাক্তার ওর দেহ ফুটো করে হৃদপিণ্ড বরাবর নল ঢুকিয়ে দিল, যদি হৃদয় কথা বলে উঠে। কোরামিনের তারল্য রক্তের সচলতা আনতে ব্যর্থ হলো। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের কোরিডোরে মৃত মা-বাবা-নানীর হাতছানি। দিদিকে আর ধরে রাখা গেল না। ডাক্তার বলল হার্ট ফেল করেছে। প্রোটিনের মাত্রা ভয়ানক হারে কমে যাওয়ায় এমন বিপত্তি। ওনার নিজের যতœ নেয়া উচিৎ ছিলো, নিজের প্রতি খুব বেশি অবিচার করেছেন। এখন আর কিছু করার নেই, উই আর ভেরি সরি।
ব্যস্ খেল খতম , পয়সা হজম। বাবা মা নানা নানী মামা মাসী পিসা পিসি দাদা দাদী সবাই যেখানে দিনে দিনে বিলীন হয়েছেন সেখানেই শেষ জায়গা হলো দিদির। বিয়ের শাড়ি আর বিয়ের সাজে নতুন ঘরে গেল দিদি । এবার সঙ্গে কেউ ছিল না। এ এমনই ঘর যেখানে এক ভিন্ন অধিক থাকার নিয়ম নেই।
দিদির বিয়ের বছর দশেক পর তাঁর কষ্টের দিন শেষ হয়েছিল। স্বামীর আয় বাড়ে, ভাড়া বাসা থেকে ওরা একদিন নিজের ফ্ল্যাটে গিয়ে উঠে। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ছেলে মেয়ে দুটো আর ঘর ভরে যায় ছবি আর পুতুলে। নিজের ছবি তুলে ঘর সাজাবার খুব শখ ছিল আর শখ ছিল নানা ধরনের পুতুলের - ছোটবেলাটা বাবার ঘরে খুব অভাবে কেটেছে, এইসব বাড়তি আহ্লাদের কোন জায়গা ছিল না আর সেকারণেই এতদিনে সেই শখে ঘর সাজল। নিজেও সাজতো খুব, হৈ হুল্লোড় করে বাড়ি মাথায় করত আর খুব ভালো নাচতো। পারিবারিক কোন অনুষ্ঠান দিদিকে ছাড়া ভাবতে চেষ্টা করে তিথি, সব কিছু মূহূর্তেই শূণ্য হয়ে যায়। নিজেকে যে এত ভালবাসতো, সেই দিদি কেমন করে নিজেই পুতুল নাচের পুতুল হয়ে গেল? তবে কি কোন এক অদৃশ্য সুতোর টানে দিদির চেনা ভালবাসার মানুষ বদলে যাচ্ছিল দেখতে দেখতে Ñ নিজের বেঁেচ থাকার অর্থ আর প্রয়োজনীয়তা এই দুইয়ের মধ্যে হিসাব কষা কি তবে দিদির কাছে দুরূহ হয়ে উঠছিল । আর যতবার সে তাঁর ভালবাসার মানুষটার কাছে এই বদলে যাবার কারণ জানতে চেয়েছে তখনই হয়েছে তথাকথিত গৃহ-অশান্তি! মানে প্রথমে শাসানি, হুমকি তাতে কাজ না হলে পিটুনি। আর তা চলছিল দিনের পর দিন।
এ পর্যন্ত পড়ে পাঠক নিশ্চয়ই বড় বিরক্ত হচ্ছেন এই ভেবে যে মেয়েটি তো শিক্ষিতা , সংস্কৃতিবান, নিজের ভালো বুঝবেনা। আত্মীয় স্বজন পরিজন আছে। শহরে এত এত সংগঠন আছে । বোকা নাকি, কোথাও গিয়ে বলেই দেখত, তাকে কি বাঁচানো যেতো না!
তিথি দুর আকাশের একটি তারাকে মনে হলো হাসতে দেখছে... না - ও’ স্থির ... বাতাসের কম্পনে চোখের ভুল.....আমার দিদি নিশ্চয়ই তার স্বামীকে অন্যদের কাছে ছোট করতে চায়নি। শত হলেও পছন্দ তো তারই ছিল। স্বামীর একটা পরিচয় আছে সমাজে ভালো মানুষ, ভালো স্বামী , ভালো বাবা হিসেবে। এইসব কথা শুনে লোকে হাসবে আর আঙ্গুল তুলে তাঁর দিকে দেখাবে ,আর ছেলে মেয়ে গুলো ---- ওদের কথা মনে হতেই সব চিন্তাকে তক্ষুনি শেষ করে দিত দিদি ----- সেই সাথে শেষ হয়ে আসছিল তার সময় ... তা কে জানতো ! তিথির চোখে দুর আকাশের তারা গুলো হঠাৎ করেই ঝাপসা হতে থাকে।
শোক কাটিয়ে উঠেছে স্বজনেরা। মা হারা সন্তান গুলোকে বড় মামী আবার ছায়া দিতে লেগে গেল। যদিও তারও শক্তি কমেছে রিং পরানো হার্ট , আগের মতো আর পেরে উঠেন না কিন্তু কারো না কারো তো পারতে হয়.....
২ মাস শুধু ...তার পরই শুরু বিয়ের গুঞ্জন...তখনও দিদির অসুস্থতাজনিত স্বাভাবিক মৃত্যু বিষয়ক গল্প বাজারে চালু আছে...বিয়ে বিষয়ে নানা কথা অকথার ফাঁকে দিদির এক দেবর যাকে দিদি ছোট ভাইয়ের মতো নিজের ঘরে বড় করছে সে বলে বসে, ”বউদি তো অসুখে মরেনি। সেদিন দাদা তাকে ----" এক মূহূর্ত পৃথিবী একটু থেমেছিল। আর ও বলেই যাচ্ছিল, ’ আমি দেখেছি বউদির গায়ে হাত তোলা হয়েছিল, অসুস্থ দেহটাকে পেটানো হয়েছিল, অর্ধ মৃত দেহটাকে অত্যাচার করা হয়েছিল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত’। মানে কি ? খুন করা হয়েছিল ???
সত্য সত্য আর মিথ্যা মিথ্যা ।
তিথি তারা দেখে না দিদিকে দেখে বুঝে উঠতে পারেনা। কিছু বলতে ইচ্ছে করছে কিন্তু গুছিয়ে ভাবতে পারেনা। ”দিদি তোমার এমন মৃত্যু....যে দিদি সারাক্ষণ আনন্দের কথা বলতো, বলতো যতদিন বাঁচবি বাঁচার মতো , ফূর্তি করে আর মানুষকে নিয়ে, সবাইকে নিয়ে বাঁচাই তো মানুষের বাঁচা। কি হতো তোমার কষ্ট গুলোকে আমাদের জানালে, আমারা চেষ্টা করে দেখতাম ঐ লোকটাকে শুধরানো যায় কি না তাতে কিছু না হলে বড় জোড় তোমার ঘর ভাঙ্গতো , বেঁেচ থাকতে তো দিদি ।” উষ্ণ জল গড়ায় তিথির দু’গাল বেয়ে।
দিদির মৃত্যু বিষয়ক সর্বশেষ তথ্য পরিজনদের প্রচন্ড ক্ষুব্ধ করে। তারা প্রথমে দিদির স্বামীকে আক্রমন উদ্দত হয় এবং কিছুক্ষণ পর কিছু একটা ভেবে বিরত হয় । কে আবার অত ঝামেলা করতে চায়। আফটার অল আমাদের মেয়ে তো আর ফিরে পাবনা। মাঝখান থেকে কোর্ট কাচারীর ঝামেলা। আমাদের আসলে এখন কি বা আর করার আছে, জামাইয়ের কিছু হলে তো নাতি নাতনি গুলোরই কষ্ট ? একটা কিছু ঘটে গেলে তো কিছু আর করার থাকেনা, এমন তো কতই হচ্ছে ------ বিলীয়মান প্রত্রিয়া পৃথিবীর বায়ু মন্ডলেও বিরাজমান - তা মানুষের মস্তিষ্কে -----মানুষ ভুলে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় সব শোক তাপ , কষ্ট কাটিয়ে ওঠে , সব কিছু ভুলে।
আজ ঐ ঘরে নতুন মানুষ আসার প্রস্তুতি। ছবি আর পুতুল গুলোর স্থান পরিবর্তন হবে নিশ্চিত ভাবেই।
৫ মাস ১০ দিন আজ কাল ১১ হবে। তিথির চোখ এবার মাঠের কালচে সবুজ ঘাসের দিকে, কিংবা আরো নিচে যেখানে কেবল অন্ধকার ছাড়া আর কিছু নেই , দৃষ্টি নামছে ক্রমাগত একেবারে ভুমিতলে যেখানে দিদিকে শোয়ানো হয়েছিল। এইখানে সে , দিদি আর আগুনিত ব্যকটেরিয়া ছাড়া আর কেউ নেই। তিথি কথা বলতে শুরু করে। ”শোন তোমরা । তোমরাই শুধু পার দিদির জন্য কিছু করতে। ওর তো এত তাড়াতাড়ি তোমাদের কাছে যাবার কথা নয় । ওকে তো খুন করা হয়েছে। দিদির দেহের অত্যাচারের যত চিহ্ন আছে তা বাদে গোটা দিদিটাই তোমাদের। কিছু করতে চাইলে তো প্রমাণ লাগবে, তোমরা সাক্ষ্য দেবে। দেবে না ? ” হিম ভুমিতে তিথি, কালো আকাশের তারা গুলো ছায়া দেয় তাকে ।
লুসি তৃপ্তি গমেজ
৩ ফেব্র“য়ারী ’০৮
বিকাল ৪.২৫
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




