গেলো বেশ কয়েকমাস ধরেই একটা ব্যাপার কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে আলোচিত হচ্ছিলো যে,বাংলাদেশীদের ভিসা আবার খুলছে বা খুলবে। এর কারনও ছিলো,এখানকার সমাজ ও শ্রমকল্যান মন্ত্রনালয়ের সাম্প্রতিক ২৫% শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে আনার সিদ্ধান্তে। যা মন্ত্রনালয় ঘোষিত আলোচনার পর্যায়ে ছিলো।বর্তমান সহপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্টমন্ত্রীও তা অনুমোদন করে বিভিন্ন কোম্পানীগুলিকে এরচেয়ে বেশী লোক আনার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন,যা আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।।
কিন্তু কারা আসতে পারবেন? পারবেন একেবারে "মার্জিনাল" শ্রমিকশ্রেনী। অর্থাৎ মালী(যারা মূলতঃ রাস্তা-ঘাটে,ভাগ্য একটু ভাল হলে অফিস-আদালতের সামনে সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে সহায়তা করবেন) সবজীচাষী(আরবীতে মাজরা,যেখানে শাক-সবজীর উৎপাদন করা হয়) আর ঘোড়া-উটের প্রজোনন তথা পালনকারী। ,যাদের বেতন কোনভাবেই ২০২৫ হাজার টাকার বেশী হবে না।(ক্ষেত্রবিশেষে কমও হতে পারে)। থাকাটা হয়তো কম্পানী দিলেও খাওয়াটা হবে নিজের। তারপরও বর্তমানে যে অবস্থা চলছে তাতে করে কম্পানীর ভিসায় আসা মালী ছাড়া বাকীদের চলাফেরায় থাকবে প্রতিবন্ধকতা। অর্থাৎ নিজ নিজ কার্যক্ষেত্রের বাহিরে চলা-ফেরা এদের জন্য ঝুকিপূর্ন। ডিউটির কোন বাধাধরা সময় নেই। এটা ৮ থেকে ১২ ঘন্টাও হতে পারে। সপ্তাহে ১দিন ছুটি।এই লোকদের স্বাভাবিক ভাবেই নিজ দেশে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সহ মেডিক্যাল ফিটনেস বাংলাদেশত্ব কুয়েতী দুতাবাস থেকে অনুমোদিত হতে হবে।
বর্তমানে এইসব কর্মক্ষেত্রে লোকবল তথা দক্ষ লোকের অভাব দেখা দেয়ায় মালিকদের অনুরোধক্রমে এই সির্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কারন বেশ কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশীদের বেতনবৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মক্ষেত্রে যোগদানে বিরত এবং এরফলে সৃষ্ট বিশৃংখলার ফলে গনহারে ধরে ধরে দেশে পাঠানো হচ্ছিলো। আর শুন্যস্থানে নেপালী,ভারতীয়দের আনা হচ্ছিলো। বলাই বাহল্য যারা কাজের চেয়ে মদখেতেই বেশী পছন্দ করে। যেখানে বাংলাদেশীরা এই কাজে অনেকদক্ষ। (কিছু লোকতো দেশের সবধরনের শাক-সব্জীর বীজ এনে ফলিয়ে মালিকদের প্রচুর লাভের মুখ দেখিয়েছে। যদিও রাষ্ট্রীয় ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি আমরাই। দেশের শাক-সব্জীর রফতানীর তারতম্য খুজলেই আমার কথার প্রমান পাবেন। (যদিও ১২মাসই আমরা অন্ততঃ আমাদের সব্জীর স্বাদ পেলেও বা আমাদের জন্য ভাল হলেও) ফলশ্রুতিতে এই সির্ধান্ত। প্রায় চুড়ান্তের পর্যায়ে আছে।
আসলে এসব বলা আমার উদ্দেশ্য না। উদ্দেশ্য ছিলো প্রকৃতঘটনা তুলে ধরা যাতে আদমব্যাপারী বা দালালদের খপ্পরে নিরীহ-গরীব লোকজন মিষ্টকথা আর মিথ্যে প্রলোভনে না পড়েন। যার বাস্তবতা প্রবাসে না থাকলে বোঝা যায় না। দয়া করে পাঠকদের কাছে আমার আবেদন যারাই পড়বেন তারা যেন দয়া করে নিজ নিজ পরিচিতদের কাছে বাস্তবতাটা তুলে ধরবেন পারলে গ্রামের লোকদেরও।
বিঃ দ্রঃ ফ্রী ভিসা বলে কোন ভিসার অস্তিত্বই নেই।