এক ধরনের আলস্য, অনীহা আমাকে নূতন লেখা লিখতে অনাগ্রহী করছে।। প্রতিদিনই আসি এখানে।। ঘুরে ফিরে বেড়াই।। মন চাইলে অন্যের লেখায় মুখ খুলি।। না হলে নিজেতেই ডুব মারি।। সেই ডুবে মিশে যাই পুরানো আমিতে।। আসলে সেই আমিই ছিল, আমার প্রিয়।। কারন আজকের আমিতে সেই আমি নেই।। এখনকার আমিতে আছি, ভন্ডামীর আমি।। যার মনে এক, আর মুখে পুরাোই ভিন্ন আরেকজন!!আর কিই বা লিখবো!!
যদিও অনেক কিছুই প্রতিদিন লিখি আবার মুছেও ফেলি।। কারন আমি জানি সেসব লেখা শুধু আমারই লেখা হয়ে থাকবে।। মাঝখান থেকে কেন শত্রুর সংখ্যা বাড়ানো!!
তারচেয়ে এই অনেক ভাল, কোন দায়-দায়িত্ব না নিয়ে শুধু "বোদ্ধাদের" মত অন্যদের লেখা পড়ে, সমালোচনা আর মন্ত্ব্বব্য করে যাও।। কত ভাল আর নিরাপদই না এটা!! কেউ বুঝতেও পরবে না আমার আমিকে।। মন্তব্যে কতটুকুই বা বোঝা যায়।। যযিও যায়, সামন্যই।।ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম।।
তবু ভাবি।। একসময় কন্ঠ ছিল উচ্চ, হাত ছিল মুষ্ঠিবদ্ধ।। শরীর ছিল ঋজ্বু।। আজ সেই কন্ঠে আওয়াজ বের হয় না।। যাও য় সেটা গোঙ্গাানীর পর্যায়ে, অনেকের বোধগম্য না!! সেই হাত নেমে এসছে হাটুর নিচে, বাজারের থলে বইতে।। আর শরীর?? সামন্য কাশিতেও নুইয়ে নুইয়ে পড়ে।
অনেক দুর থেকে যখন জানতে পারি, অনেক আলোচিত প্রকল্পের দূর্ঘটনার দায়িত্ব থাকে হবে আমাদের!! তখন ভাবতে বাধ্য হই, জমি,পরিবেশ যখন আমাদের তখন উক্তরাধীকার সু্ত্রেও এটাও যে আমাদেরই থাকবে, স্বাভাবিকই না!!
দেখি কোথাকার কোন সোফিয়ার সাথে আমাদের আত্মিক সম্পর্ক!! পুরো দেশ, মিডিয়া সুফিয়াদের ভুলে কেমন আত্মহারা!!
এতসবের মাঝে আমি কেন যোগ দিতে পারি না?? তাহলে বোধহয় এত সব আনন্দের মাজেজা বুঝতে আমি অক্ষম।।
সেই আমিতো তাহলে ভালই আছি আজকের আমিকে নিয়ে।।
কেনই বা থকবো না?? যেখনে দেশের তাবৎ জনগন, বুদ্ধিবৃত্তির নক্ষত্ররা থাকতে পারে, বুঝতে পারে দেশের শনৈ শনৈ অগ্রগতি, সেখানে আমি না বুঝলেই বা কি আসে/যায়।।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪৫