সমুদ্রপাড়ের নয়নাভিরাম পরিবেশে প্রবেশপথ।।
দৈত্যাকৃতির বাইলা মাছ!!
সবার (বিশেষ করে আরবীদের) প্রিয়মাছ, রূপচাঁদা।।
বিভিন্ন আরবী মাছ।।
আরবী হামুর মাছ( দামী (মাছগুলির একটি অন্যগুলি রূপচাঁদা এবং গলদা চিংড়ি, ইত্যাদি)।।সহ তেলাপিয়া (দুটোই এক কেজির বেশী} সাথে কার্ফু মাছের মত একধরনের মাছ প্রুর তৈলাক্ত এবং শ্বাদু)।।
ছোটচিংড়ি (আমাদের জন্য!!)
কাকড়াই বা খাবার তালিকা থেকে বাদ যাবে কেন!!
বাজারের ক্রেতাবৃন্দ।।
এটা কুয়েতের প্রধান পাইকারী ও খুচরা মাছ কেন্দ্র।। বিকেল সাড়ে তিনটা/ চাটা থেকে নিলাম শুরু হয় সব ধরনের মাছের।। ঘন্টাখানেক চলে।। প্রতিদিনই।। তাতে যে কেউ অংশ নিতে পারে।। দোকানদাররা সাধারনত এই নিলাম থেকে মাছ কিনেই তাদের পসরা সাজায়।। বিক্রয় করে খুচরা হিসাবে দিনের বকিটা সময় এবং পরদিনও।। এসব মাছের মধ্যে সবচেয়ে দামী মাছ হলো রূপচাঁদাm গলদা চিংড়ি, হামুর ইত্যাদি।।
এখানকার বাঙ্গালীরা সাধারনতঃ মিঠেপানির মছই পছন্দ করে বেশী।। স্বাভাবিক ভাবেই।। শুধু বিশেষ কিছু সমুদ্র উপকুলীয় এলাকার লোকজন ছাড়া।। আর এই মিঠে পানির মাছ বেশীর ভাগই আসে বার্মা, থাইল্যান্ড থেকে।। যদিও অনেক প্যাকেটে লেখা থাকে বাংলাদেশী!! বিশেষ করে ইলিশ।। আমি অনেক দোকানদারকে দেখেছি এই মার্কেট থেকে নিলামে বিশেষ করে ইলিশ এবং চিংড়ি কিনতে।। এগুলো কিনে ডীপে রেখে কিছু প্রেস থেকে বাংলাদেশ থেকে গত, মিঠে পানির মাছ ইত্যাদি ষ্টিকার ছাপিয়ে পলিথিনের ব্যাগে এটে দেয়।। মাঝে মধ্যে ধরাও পড়ে অনেক।। জরিমানা গুনে, দোকান সীলগালা করে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।। তারপরও ব্যাবসা চলছে।।
আর সবজীতো আগে যাও আসতো, আমাদের কিছু ভাইদের বদৌলতে তাও বন্ধ হয়ে গেছে প্রায়।। স্বভাবতইঃ বিভিন্ন দেশের লোক তাদের নিজ নিজ দেশের সবজী খেতে অভ্যস্থ।। দাম যদিও একটু বেশী গুনতে হয়।। তবুও কেনে।।
এখানে সরকার অনুমোদিত বিশাল বিশাল এলাকা বরাদ্ধ করা হয় কৃষিক্ষেত্রের জন্য।। যাতে সরকার ভরতুকী দিয়ে পানি, বিদ্যুতের চাহিদা পুরন করা ছাড়াও কিনে নেয় উৎপাদিত সামগ্রী।। এই কৃষিক্ষেত্র গুলিকে আরবী ভাষায় মাজরা বলা হয়।। এখানকার সিংহভাগ কর্মীই বাংলাদেশের।। গত ৮/১০বছর ধরে বাংলাদেশী লোক আসার উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঐসব মাজরার মালিকরা ভারত,নেপাল প্রভৃতি দেশ থেকে লোক এনে কাজ চালাচ্ছিলো।। কিন্তু সঠিক এবং দক্ষ লোকের অভাব দিন দিন বেড়েই চলাতে একপ্রকার বাধ্য হয়ে কিছু বিশেষ আইন এবং নিয়মের মাঝ দিয়ে আবার বাংলাদেশীদের আনা শুরু হয়।। যাক যা বলছিলাম, পুরানো শ্রমিক ভাইয়েরা দেশ থেকে সব ধরনের মরিচ,বরবটি,পুই,কদু,, কুমড়া থেকে এমন কোন সবজী নেই, যার বীজ এনে উৎপন্ন না করছে।। গোড়ার দিকে লুকিয়ে ফলিয়ে কিছু ব্যাক্তগত লাভ করেছে এবং এখনও করছে মালিকের অজান্তে।। কিন্তু প্রায় সব মালিকরা জেনে যাওয়ার ফলে, আর আগের মত ব্যাপক ভাবে পারছে না।। মাঝখান থেকে দেশ বঞ্চিত বিরাট একটা বৈদেশিক আয়ের ক্ষেত্র থেকে।।
ছবিগুলি আমার মোবাইলে তোলা।।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪৭