মেহেদী ফুল তুমি সবুজ আভায় রাঙিয়েছো নিজেকে
বধু কাননে বসে তোমারই অপেক্ষায়।
মেহেদী তুমি রাঙাবে হাত হয়তো তারই অপেক্ষায়।
ফিরতে হবে ঘরে
প্রেয়সী অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছে।
হয়তো কিছু তাড়াই ছিলো মনে
হঠাৎ বেজে উঠলো ফোন
দিলো খবর
আগুনে পুড়ছে ঘর
মুহূর্তে বিলীন স্বপ্ন
ধুধুপ্রান্তর চোখে চোরাবালি
সময় যেন থমকে গেলো।
প্রেয়সীর মেহেদী রাঙা হাত
পুড়ে একাকার
নেই কোন বাঁচার আশ্বাস।
বছর পাঁচেক পর, হঠাৎ দেখা
কাঁচা পাকা দাড়িতে মুখ ঢাকা
স্বপ্ন যখন রয় অদেখা
আকাঙ্ক্ষার দুঃসহ বেদনা
শরীর মন আকড়ে শৈবালের ন্যায় পরগাছা হয়ে বেড়ে ওঠে দেহ ও মনে
ক্লান্ত হৃদয় কাঁচের টুকরোয়
দেখে অদেখা অবয়ব।
মনের তৃষ্ণারা পিপাশার্ত রয়ে যায়
শরীরের বুভুক্ষুরা মৃত আত্মার মতো বেঁচে থাকা শিখে যায়।
এও এক সংগ্রামী জীবনের বেঁচে থাকা।
শত সংশয়ের, সংযমের উর্ধ্বে গিয়ে টিকে থাকা।
এওতো এক বেঁচে থাকা।
এই বেঁচে থাকার গল্পগুলো খুব ধূসর, প্রানহীন।
প্রজাতির পাখা কিংবা কোন রংধনুর নয়।
এর স্রোতধারা খুব দ্রুত পাল্টে যায় না।
বিলীন হয় না মুহুর্তেই।