somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামী রাজনীতি/ইসলামী রাষ্ট্র বিহীন ইসলাম কোন ইসলামই নয় : পর্ব-০৯ - তাসাওয়াফহীন ভাগ

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এতক্ষণ বর্তমান 'মুসলিম(Muslim)' জগতের একটা ভাগের অবস্থা বর্ণনা কোরলাম। এই ভাগটা হলো সেই ভাগ যেটা কয়েকশ' বছর ইউরোপের বিভিন্ন জাতির গোলামীতে কাটিয়েছে এবং তার ফলে তাদের শেখানো ইসলাম(Islam) শিখেছে, যে ইসলামে শুধু ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি শরীয়াহ আক্ষরিকভাবে পালন করাকেই ভালো মুসলিম(Muslim) হবার জন্য যথেষ্ট মনে করে। ইসলামের জাতীয় দিকটা অর্থাৎ এর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইন, দণ্ডবিধি বিচার ইত্যাদি সম্বন্ধে এদের মনোভাব ও আকীদা হোচ্ছে যেন ইসলামে এ গুলির কোন অস্থিত্বই নেই, থাকলেও তা অপ্রয়োজনীয় এবং মুসলিম(Muslim) এবং অতিমুসলিম(Muslim) হোতেও ওগুলির প্রয়োজন নেই। এবার অন্য ভাগটির কথা বোলছি। এর আগে বোলে এসেছি ইউরোপের বিভিন্ন জাতি যখন মরক্কো থেকে ফিলিপাইন পর্য্যন্ত এই বিরাট মুসলিম(Muslim) দুনিয়াটা সামরিক শক্তি বলে অধিকার কোরে নেয় তখন কিছু কিছু জায়গা তাদের অধিকার থেকে বেঁচে গিয়েছিলো। এও বোলে এসেছি যে, এই বেঁচে যাওয়াটা এজন্য হয়নি যে, মুসলিম(Muslim)রা এগুলো যুদ্ধ কোরে রক্ষা কোরেছিলো। কারণ নিজেদের কৃতকর্মের ফলে একদা অপরাজেয় যোদ্ধা জাতিটি তখন পৃথিবীর দুর্বলতম শত্রুর বিরুদ্ধেও আত্দরক্ষায় অসমর্থ। ইউরোপের যে কোন ক্ষুদ্র জাতিও ইচ্ছা কোরলে বাকি ঐ অংশ অর্থাৎ যেখানে আল্লাহ(Allah) ঘর, তার হাবিবের রওযা মোবারক অবস্থিত, দখল কোরে নিতে পারতো। এ কথাও বোলে এসেছি যে, বোধহয় আল্লাহ(Allah) তার ঘর ও তার হাবিবের রওযার সম্মানে তা নিজে রক্ষা কোরেছিলেন। যাই হোক সত্য এই যে, ঐ এলাকাটা পাশ্চাত্যের সরাসরি দাসত্ব থেকে বেঁচে গিয়েছিলো এবং বেঁচে গিয়েছিলো বোলেই ঐ ভুখণ্ডে পূর্ব থেকেই ইসলামী শরীয়াহর যে আইন, শাসন ও দণ্ডবিধি চালু ছিলো খ্রীস্টান শক্তিগুলি তা বোদলিয়ে নিজেদের গায়রুল্লাহর আইন ও দণ্ডবিধি প্রতিষ্ঠা কোরতে পারেনি। এর ফলে ঐ এলাকায় আজও শেষ জীবন বিধানের জাতীয় শরীয়াহ দণ্ডবিধি আংশিকভাবে কার্যকর আছে। কিন্তু আকীদার বিকৃতিতে ঐ এলাকার মুসমিলমরাও পাশ্চাত্য অধিকৃত এলাকার মুসলিম(Muslim)দের বিকৃতির চেয়ে কম নেই। তফাৎ শুধু এইটুকু যে, এই দুই অংশের বিকৃতি দুরকম। সেই যে আল্লাহ(Allah) রসুল (দঃ) সোজা রেখা টেনে বোলেলেন, এই হোচ্ছে সেরাতুল মুস্তাকীম। এই লাইন থেকে একদিকে বের হোয়ে যাওয়া ভাগের কথা বোলে এসেছি। এখন যাদের কথা বোলতে যাচ্ছি তারা বের ঠিক উল্টো দিকে।

আমি বার বার বোলে আসছি যে এই জীবন ব্যবস্থা একটা ভারসাম্যযুক্ত ব্যবস্থা, এর প্রতিটি ব্যাপারে প্রতিটি ভাগেও সেই ভারসাম্য আল্লাহ(Allah) দিয়ে রেখেছেন যে জন্য তিনি আমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন যে তার রসুলের এই উম্মাহ ভারসাম্যযুক্ত (কোরান- সূরা আন নিসা ১৪৩)। এই ভারসাম্য অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। এত জরুরী এই ভারসাম্য যে এটা ছাড়া এই দ্বীনই অর্থহীন হোয়ে যায়। সোজা হোয়ে দাঁড়াতে গেলে, হাঁটতে গেলে ভারসাম্য ছাড়া অসম্ভব। একটা মানুষ মহাশক্তিশালী হোলেও যদি তার দেহের ভারসাম্য না থাকে তবে সে দাঁড়াতে বা হাটতে পারবে না। দ্বীনেরও তাই। কাজেই যার মধ্যে দেহের ও আত্মার, আখেরাতের আর দুনিয়ার, এই জগতের আর পরজগতের, জড় ও আধ্যাত্ম্যের ভারসাম্য, সমমিশ্রন নেই তার জীবন অর্থহীন। তিনি মহা পণ্ডিত মহা শিক্ষিত হোতে পারেন, মহা সাধু পুরুষ মহাসাধক হোতে পারেন কিন্তু তিনি এই ভারসাম্যযুক্ত উম্মতে নেই, যে ভারসাম্য ছাড়া পুলসেরাত পার হওয়া অসম্ভব সে ভারসাম্য তার মধ্যে নেই। এখন সেই ভাগটার কথা বোলছি যেটা ভাগ্যক্রমে পাশ্চাত্যের দাস হওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলো বোলে তাদের মধ্যে আংশিকভাবে এই দ্বীনের দণ্ডবিধি আজও চালু আছে কিন্তু ঐ পর্য্যন্তই। দ্বীনের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এ সমস্থ ব্যবস্থা অন্যান্য ভাগের মতই পরিত্যক্ত হোয়েছে এবং প্রাক ইসলামিক যুগের মত রাজতন্ত্র, বংশতন্ত্র ও গোষ্ঠীতন্ত্র ফিরিয়ে এনে প্রতিষ্ঠা করা হোয়েছে?। যেহেতু, বংশতন্ত্র ও গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হোয়েছে সুতরাং স্বতঃস্ফুর্তভাবে ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সেখানে অচল হোয়ে গেছে, কারণ ঐসব তন্ত্রে জাতীয় সম্পদের, সরকারী কোষাগারের (Treasury) মালিক হলো রাজা বা বাদশাহ, আর আল্লাহ(Allah)র দ্বীনের ব্যবস্থায় কোষাগারের মালিক হলো সমস্থ জাতি। খলিফা শুধু রক্ষক তত্বাবধানকারী ও এই জীবন বিধানের নিয়মানুযায়ী ব্যবহারকারী। অর্থাৎ শুধু দণ্ডবিধি ছাড়া অন্যান্য জাতীয় ব্যাপারে এই অংশটি গায়রুল্লাহর অনুসারী অর্থাৎ মোশরেক। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, সংঘর্ষ ও রক্তপাতের অন্যতম প্রধান যে কারণ অর্থাৎ ভৌগলিক জাতীয়তাবাদ এরা পাশ্চাত্যের কাছ থেকে গ্রহণ কোরেছে এবং প্রাক ইসলামের যে গোত্র, গোষ্ঠীবাদকে ইসলাম(Islam) কবর দিয়েছিলো সেটাকে কবর থেকে উঠিয়ে এনে জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠা কোরেছে। শুধু দণ্ডবিধিটুকু জাতীয় জীবনে চালু রাখার জন্যই এই ভাগটা নিজেদের প্রকৃত এবং নিষ্ঠাবান মুসলিম(Muslim) মনে করে মহা আত্দপ্রাসাদে স্ফীত হোয়ে আছে। তাসাওয়াফকে এরা সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ কোরেছেন, যেন ওর কোন প্রয়োজন জীবনে নেই। আবার সেই ভারসাম্যহীনতা, এবারে উল্টোদিকে। পেছনে বর্তমান মুসলিম(Muslim) দুনিয়ার যে ভাগটার কথা বোলে এসেছি সেটার সাথে এ ভাগটার প্রধান তফাৎ হলো দু'টি। ঐ ভাগটির জাতীয় জীবনে দণ্ডবিধি নেই, সে জায়গায় পাশ্চাত্যের তৈরী দণ্ডবিধি চালু আছে। এই ভাগে সরাসরি গোলাম হওয়া থেকে বেঁচে যাওয়ার কারণে ওটা চালু আছে। দ্বিতীয়তঃ আগের ভাগ একপেশে ভারসাম্যহীন বিকৃত তাসাওয়াফকে আকড়ে ধোরে নির্জনে খানকায় বোসে আত্মার ঘষামাজা করেন, যে ভাগটার কথা এখন বোলছি তারা সেটাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেন। প্রকৃত ইসলামের দেহের ও আত্মার শরীয়াহর ও তাসাওয়াফের যে ভারসাম্য সেটা ঐ উভয় ভাগই নষ্ট কোরে ফেলেছে। এই ভাগ ইসলামের দণ্ডবিধি চালু রাখায় তার ফলে তাদের জাতীয় জীবনে নিরাপত্তা, সুবিচার ইত্যাদি ভোগ করছে কিন্তু ব্যক্তি জীবনে আত্মার শোধনের স্থান না থাকায় সুযোগ পেলেই অন্যায়ের আশ্রয় নেয়। অর্থাৎ এক ভাগ এই পা ছাড়া আরেক ভাগ ঐ পা ছাড়া, ফল একই- চলার শক্তিহীন, স্থবির, পঙ্গু। যে ভাগের কথা এখন বোলছি এ ভাগের লোকগুলোর জীবনে যেহেতু তাসাওয়াফের কোন প্রভাব নেই অথচ দেশে শরীয়ার দণ্ডবিধি চালু কাজেই এরা যতক্ষণ দেশের ভেতরে থাকে ততক্ষণ বিশেষ অপরাধ, গোনাহ করে না, কারণ শরীয়াহ আইনে অন্যায়ের শাস্থি কঠোর। কিন্তু একবার দেশের বাইরে যেতে পারলেই এরা পরিণত হয় দুরাচারী মানবেতর জীবে। তাসাওয়াফের কোন প্রভাব এদের ব্যক্তি জীবনে নেই বোলে এদের নিজেদের লোভ, হিংসা অহংকার ইত্যাদির ওপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এগুলোর যা কিছু নিয়ন্ত্রণে থাকে তা শুধু শাস্থির ভয়। কাজেই দেশের বাইরে যেতে পারলে এরা লাগামহীনভাবে জীবন উপভোগ করে।

কিছুদিন আগে পর্য্যন্ত এই ভাগটি পৃথিবীর যে অংশে বাস করতো তা ছিল অতি গরীব। মাটির নিচ থেকে তেল বের হওয়ার পর থেকে হঠাৎ ধন দৌলত ও সম্পদে পৃথিবীর অন্যতম ধনী জাতিতে পরিণত হোয়েছে। এখন এদের সম্পদ রাখবার জায়গা নেই। এই সম্পদ তারা কিভাবে ব্যবহার কোরছে? এরা একটা অংশ এর ব্যয় কোরছে পাশ্চাত্যের অনুকরণ কোরে দেশের রাস্থাঘাট, পুল, হাসপাতাল, বিদ্যালয়, বিরাট বিরাট প্রাসাদ হোটেল ফ্লাইওয়ে (Flyway) ইত্যাদি তৈরী কোরে। অঢেল টাকা ব্যয় কোরে এগুলো এমনভাবে তৈরী কোরছে যে, ইউরোপের, আমেরিকার মানুষরাও দেখে আশ্চর্য হোচ্ছে, হিংসা কোরছে। অগুনতি রাজকীয় প্রাসাদ, হোটেল, সমস্থ ইমারত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (Air Conditioned)। শাদ্দাদ আল্লাহ(Allah)র সঙ্গে নাকি পাল্লা দিয়ে জান্নাত বানিয়েছিলো। সে আজ কবর থেকে উঠে এসে এদের শহর, নগর, পথ-ঘাট, হোটেল আর প্রাসাদগুলি দেখলে বোলবে- আমি আর কি বানিয়েছিলাম। সম্পদের অন্যভাগ তারা ব্যয় কোরছে অবিশ্বাস্য বিলাসিতায়, স্থূল জীবন উপভোগ, ইউরোপে, আমেরিকায়, জাপানে। দৈহিক ভোগে এরা কি পরিমাণ সম্পদ ব্যয় করে তা আমাদের মত গরীব দেশগুলির মুসলিম(Muslim)রা ধারণাও কোরতে পারবেনা, লক্ষ লক্ষ ডলার তাদের কাছে কিছু নয়। তাদের ঐ অঢেল সম্পদের একটা মোটা ভাগ চলে যায় ঐ ইউরোপ, আমেরিকায়, জাপান ইত্যাদি দেশের কাছে, বিলাসিতার সামগ্রীর দাম হিসাবে। পৃথিবীর সবচেয়ে দামী গাড়ীগুলো কেনে এরাই। শুধু তাই নয়, রোলস, মার্সিডিস, আলফা-রোমিও, সিট্রন, ক্যাডিলাক ইত্যাদি গাড়ী শুধু কিনেই তারা খুশী নয়, এই গাড়ী গুলির বামপার লাইনিং ইত্যাদি তারা খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দেয়। এদের বিলাসিতার বিভৎসতার সম্বন্ধে লিখতে গেলে আলাদা বই হোয়ে যাবে। কাজেই একটা ধারণা দেবার জন্য একটি মাত্র ঘটনার উল্লেখ কোরছি। কিছুদিন আগে তেল সমৃদ্ধ একটি দেশের বাদশাহ অবসর যাপনের জন্য কয়েক দিনের জন্য ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় শহর 'নীসে' গিয়েছিলেন। এই শহরে তিনি এর আগেই একটি প্রাসাদ তৈরী কোরেছেন। এতে কামরা আছে একশতটি এবং কামরাগুলি ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান আসবাব দিয়ে সজ্জিত। এই প্রাসাদ তৈরী কোরতে খরচ হোয়েছে মাত্র ছয় হাজার কোটি টাকা (আমাদের টাকার হিসাব)। এই বাদশাহর সোনার পাত মোড়ানো রোলস গাড়ীগুলির এক একটি দাম এক কোটি বিশ লাখ টাকা। তার নিজের ও পরিবারের ব্যবহারের জন্য যে বিমানগুলি আছে তার এক একটির দাম সাতচলি্লশ কোটি টাকা। এদের মধ্যে তাসাওয়াফের কিছুমাত্র প্রভাবও থাকলে এরা এমন কদর্য বিলাসিতায় নিজেদের ডুবিয়ে দিতে পারতেন না। নিজেদের অতি উৎকৃষ্ট মুসলিম(Muslim) বোলে মনে কোরলেও এবং তা প্রচার কোরলেও আসলে ইউরোপ, আমেরিকা বস্তুতান্ত্রিকদের (Materialist) সাথে তাদের কার্যতঃ কোন তফাৎ নেই। এরা এই উম্মাহর কেন্দ্র কাবা এবং নেতার (দঃ) রওযা মোবারকের হেফাযতকারী হোলেও এই উম্মাহর জন্য তাদের মনে কিছুমাত্র সহানুভূতি নেই। তার প্রমাণ হোচ্ছে এই যে, নিজেদের ঘৃণ্য বিলাসিতার সামগ্রী কিনতে তাদের বিপুল সম্পদ চলে যায় ইউরোপ, আমেরিকা আর জাপানে। তারপরও যে বিরাটা সম্পদ তাদের থেকে যায় তা বিনিয়োগ করেন সেই ইউরোপ, আমেরিকা, ভারত আর জাপানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে, শিল্পে। টাকা জমা রাখেন ঐসব দেশের ব্যাংকেই যা থেকে লাভবান হয় ঐসব অমুসলিম(Muslim) দেশ ও জাতিগুলিই। ইসলাম(Islam) ও মুসলিম(Muslim) জাতির প্রতি তাদের কিছুমাত্র ভালোবাসা যদি থাকতো তবে ঐ বিরাট সম্পদ তারা অমুসলিম(Muslim) দেশগুলিতে বিনিয়োগ না করে গরীব মুসলিম(Muslim) ভৌগোলিক রাষ্ট্রগুলিতে বিনিয়োগ করতেন। এতে অন্ততঃ পার্থিব দিক দিয়ে এই হতভাগ্য জাতির কিছু অংশ উপকৃত হোতে পারতো। অন্যান্য অতি দরিদ্র মুসলিম(Muslim) দেশগুলির জন্য তারা কিছু কিছু মাঝে মাঝে খয়রাত করেন যখন কোন দেশে বন্যা, ঝড় বা প্লাবনের মত প্রাকৃতিক কারণে মহা ক্ষতি হয়। এইসব দেশগুলির মানুষকে তারা ডাকেন মিসকীন বোলে। যে ঐক্য ছাড়া শক্তি নেই জাতির সেই ঐক্য সুদৃঢ় রাখার জন্য রসুলাল্লাহ (দঃ) তার জীবনের শেষ জনসমাবেশে বিদায় হজ্জ্বে বোলে গেলেন আরবের মানুষের উপর অ-আরব মানুষের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই যেমন নেই অ-আরব মানুষের ওপর আরবের মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব, অর্থাৎ সবাই সমান। মানুষে মানুষে প্রভেদের একটিমাত্র সংজ্ঞা দিয়ে গেলেন, কে কত ভাল মুসলিম(Muslim)। ঐ 'উৎকৃষ্ট মুসলিম(Muslim)দের' আজ মহানবীর (দঃ) ওসব কথা কিছুই মনে নেই। থাকলেও ওসব কথার কোন গুরুত্ব তারা দেয়না। তারা আরব, সবার শ্রেষ্ট এই অহংকারে স্ফীত হোয়ে অন্যকে অনুকম্পার পাত্র মনে কোরছে। অবশ্য এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতিকে এড়াতে পারছেনা। ইসলাম(Islam) দ্বীনে ফিতরাত প্রাকৃতিক আইন, নিয়মের ধর্ম, সেই নিয়ম মোতাবেকই বিপুল সম্পদ ও আধুনিক অস্ত্র শস্ত্রে বলীয়ান পনেরো কোটি আরবের পেটের হালুয়া বের হোয়ে যাচ্ছে ত্রিশ লাখের ক্ষুদ্র ইসরাইলদের লাথি খেতে খেতে। তবুও তারা অহংকারী, কারণ বাকী অ-আরব 'মুসলিম(Muslim)দের' মত তাদেরও অপমান বোধ লোপ পেয়েছে।

এই আরব দেশ ও আমীরাতগুলির বাদশাহ ও আমীরদের এলাহ হলো তাদের যার যার সিংহাসন ও আমীরত্ব। এই সিংহাসন ও আমীরত্বের নিরাপত্তার জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের ও ইউরোপের কথায় ও আদেশে উঠেন বসেন, অন্য মুসলিম(Muslim) রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেন। মুখে ইসরাইলের বিরুদ্ধে লোক দেখানো চিৎকার কোরলেও কার্যতঃ ইসরাইলের ক্ষতি হবে এমন কোন কাজ করেন না, ঐক্যবদ্ধ হোয়ে ইসরাইলকে ধ্বংস করেন না, কারণ তা করতে গেলে প্রভু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ বিরক্ত হবে এবং তাতে তাদের সিংহাসন ও আমীরত্ব হারাতে হোতে পারে। যদি এমন কোন পরিস্থিতি কখনও হয় যে তাদের সিংহাসন বা আমীরত্ব রক্ষা এবং কাবা ধ্বংস করা এ দু'টোর মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে, তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, তারা কাবা ধ্বংসকেই বেছে নেবেন।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×