চৌদ্দশ’ বছর থেকে মোসলেম উম্মাহর ঘরে ঘরে দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে আলোচনা চোলে আসছে। আল্লাহর শেষ রসুল মানবজাতির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে যেসব কথা বোলে গেছেন, পৃথিবীতে কি কি ঘটনা ঘোটবে সেগুলি সম্বন্ধে আভাষ ও সরাসরি যা জানিয়ে দিয়েছেন সেগুলির মধ্যে দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণীগুলি যেমন চিত্তাকর্ষক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্বিগ্নকর। উদ্বিগ্নকর ও ভীতিপ্রদ এই জন্য যে দাজ্জালের শক্তি, প্রভাব ও প্রতিপত্তিসমগ্র মানবজাতির উপর প্রচণ্ড প্রভাব বিস্তার কোরে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেবে,সমস্ত মানবজাতিকে বিপথে চালাবার চেষ্টা কোরবে। শুধু চেষ্টা নয়, বেশ কিছু সময়ের জন্য দাজ্জাল (Dajjal) তার শক্তি ও প্রভাব বিস্তার কোরে গোটা মানবজাতিকেই বিপথে পরিচালিত কোরবে। কাজেই দাজ্জাল (Dajjal)কে কোনভাবেই ছোট কোরে দেখার বা অবজ্ঞা করার উপায় নেই। আল্লাহর রসুল বোলেছেন- আদমের সৃষ্টি থেকে কেয়ামত পর্যন্ত এমন কোন বিষয় বা ঘটনা হবে না, যা দাজ্জালের চেয়ে গুরুতর ও সংকটজনক (হাদীস- এমরান বিন হোসায়েন (রাঃ) থেকে মোসলেম)। তিনি এ কথাও বোলেছেন যে- নুহ (আঃ) থেকে নিয়ে কোন নবীই বাদ যান নি যিনি তাঁর উম্মাহকে দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে সতর্ক করেন নি (হাদীস- আবু ওবায়দা বিন যার্রাহ (রাঃ) ও আব্দুলাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে আবু দাউদ, বোখারী, মোসলেম ও তিরমিযি)। শুধু তাই নয়, আল্লাহর নবী নিজে দাজ্জালের সংকট (ফেত্না) থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন (হাদীস- আয়শা (রাঃ) থেকে বোখারী)। চিন্তা করার বিষয় হোচ্ছে, যে ব্যাপারটা মানবজাতির সৃষ্টি থেকে নিয়ে ধ্বংস পর্যন্ত যা কিছু ঘোটবে সে সমস্ত কিছুর চেয়ে বড়, গুরুত্বপূর্ণ, যে বিষয় সম্বন্ধে নুহ (আঃ) ও তাঁর পরবর্ত্তী প্রত্যেক নবী তাঁর জাতিকে সতর্ক কোরে গেছেন এবং যা থেকে শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীও আল্লাহর কাছে আশ্রয় (পানাহ্) চেয়েছেন সেটা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, বিরাট (হাদীসে বিশ্বনবী “আকবর” শব্দ ব্যবহার কোরেছেন) এবং আমরা সে সম্বন্ধে কতটুকু সজাগ ও সচেতন? বাস্তব অবস্থা এই যে আমরা মোটেই সজাগ নই এবং নই বোলেই আমরা বুঝছিনা যে ৪৭৪ বছর আগেই দাজ্জালের জন্ম হোয়েছে এবং সে তার শৈশব, কৈশোর পার হোয়ে বর্ত্তমানে যৌবনে আছে এবং এও বুঝছিনা যে সমস্ত পৃথিবীসহ আমরা মোসলেমরাও দাজ্জাল (Dajjal)কে রব, প্রভু বোলে স্বীকার কোরে নিয়েছি ও তার পায়ে সাজদায় পোড়ে আছি। প্রকৃত দীন থেকে বিচ্যুত হবার শাস্তি হিসাবে আল্লাহ এই জাতিকে (যেটা নিজেদের মোসলেম বোলে পরিচয় দেয় ও নিজেদের মোসলেম বোলে বিশ্বাস করে) কয়েক শতাব্দীর জন্য ইউরোপের খৃষ্টান জাতিগুলির দাসে পরিণত কোরে দিয়েছিলেন এবং ঐ দাসত্বের সময়ে প্রভুদের প্রবর্তিত শিক্ষার ফলে প্রকৃত দীন থেকে বিচ্ছিন্ন হোয়ে আছে। কাজেই দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। এরা আব্রাহাম লিংকনের কয়টা দাঁত ছিলো তা জানেন, শেক্সপিয়ের থেকে অনর্গল আবৃত্তি কোরতে পারেন, কিন্তু আল্লাহর রসুল যে মানবজাতির জীবনে দাজ্জাল (Dajjal) নামে এক মহাবিপদ আবির্ভূত হবার ভবিষ্যদ্বাণী কোরে গিয়েছেন তা তাদের কাছে এক কৌতুকপূর্ণ সংবাদ। এই জাতির যে অংশটা কোরান-হাদীস পড়েন তারা ছাড়া দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে কেউ চিন্তা-ভাবনাও করেন না, কোন গুরুত্বও দেন না। ঐ যে অংশটা কোরান-হাদীস নাড়াচাড়া করেন সেই অংশও দাজ্জাল (Dajjal)কে নিয়ে মাথা ঘামান না, প্রকৃতপক্ষে দাজ্জাল (Dajjal) কী তা বুঝতে চেষ্টা করেন না; কারণ তাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে তারা অপেক্ষায় আছেন যে আখেরী যমানায় বিরাট এক ঘোড়ায় চড়ে এক চক্ষু বিশিষ্ট এক দানব পৃথিবীতে আবির্ভূত হবে। যে হাদীসগুলিতে রসুলাল্লাহ দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী কোরেছেন সেগুলির শাব্দিক অর্থকেই তারা গ্রহণ কোরেছেন, তার বেশী আর তারা তলিয়ে দেখেন নি বা দেখতে পারেন নি। যে ঘটনাটিকে আখেরী নবী আদম (আঃ) থেকে কেয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির জন্য সবচেয়ে গুরুতর ও সাংঘাতিক ঘটনা বোলে চিহ্নিত কোরেছেন সেই মহা-গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে তারা কোনও গভীর গবেষণা করেন নি। এই মহা-প্রয়োজনীয় ব্যাপারটাকে বোঝার জন্য যতটুকু শ্রম দিয়েছেন তার চেয়ে লক্ষ গুণ বেশী শ্রম ও সময় দিয়েছেন দাড়ি-মোছ, টুপি-পাগড়ী, পাজামা, মেসওয়াক, কুলুখ আর বিবি তালাকের মত তুচ্ছ ফতওয়ার বিশ্লেষণে। অন্যান্য সবার মত আমিও অপেক্ষায় ছিলাম আখেরী যমানায় বিরাট আকারের এক ঘোড়ায় উপবিষ্ট এক চোখ অন্ধ এক দানবের, এবং তার রব, প্রভু হবার দাবির। এই আকীদায় প্রথম ধাক্কা পেলাম মোহাম্মদ আসাদ নামের এক ভদ্রলোকের লেখা রোড টু মেক্কা (Road to Mecca) বইটিতে। এই লেখকের নাম ছিলো Leopold Weiss (লিওপোল্ড ওয়াইস), ইনি অস্ট্রিয়ার এক ইহুদী পুরোহিত পরিবারে জন্মগ্রহণ কোরলেও আল্লাহ ও তাঁর রসুলের রহমে যুবক বয়সেই দীনুল এসলাম গ্রহণ করেন ও শেষ জীবনে সুন্দর তফসিরসহ কোরানের অনুবাদ করেন যেটা লন্ডন থেকে প্রকাশিত হোয়েছে। দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে লিখতে যেয়ে তিনি তার ঐ বইয়ে বোলেছেন যে পাশ্চাত্য বস্তুবাদী সভ্যতাই হোচ্ছে বিশ্বনবী বর্ণিত দাজ্জাল (Dajjal)। দুঃখের বিষয় মোহাম্মদ আসাদ ঐটুকু বোলেই ক্ষান্ত হোয়েছেন, আর কোন গবেষণা করেন নি। বইটি পড়েছিলাম খৃষ্টীয় উনিশ শ’ পঞ্চাশ দশকের শেষ বা ষাট দশকের প্রথম দিকে। তারপর যতই ও সম্বন্ধে ভেবেছি ততই পরিষ্কার হোয়েছে যে মোহাম্মদ আসাদ ঠিকই বুঝেছেন। রসুলাল্লাহর সময়ের নিরক্ষর আরবদের যান্ত্রিক সভ্যতার প্রযুক্তিগত কৌশলের ওপর ভিত্তি করা মহাশক্তিশালী সভ্যতা সম্বন্ধে বোঝাবার চেষ্টা অবশ্যই অর্থহীন হোতো, তাদের পক্ষে তা বোঝা মোটেই সম্ভব ছিলো না। তাই আল্লাহর নবী এটাকে তাদের কাছে রূপকভাবে(Allegorically) বর্ণনা কোরেছেন। চৌদ্দশ’ বছর আগের নিরক্ষর আরবদের পক্ষে সম্ভব না হোলেও বর্ত্তমানে দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে মহানবীর ভবিষ্যদ্বাণীগুলি যাচাই কোরলে সন্দেহের কোন স্থান থাকে না যে মহাশক্তিধর পাশ্চাত্য বস্তুবাদী সভ্যতাই হোচ্ছে আল্লাহর রসুল বর্ণিত সেই নির্দিষ্ট দাজ্জাল (Dajjal)। বিশ্বনবীর দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণীগুলির উৎস হোচ্ছে হাদীস। সবাই জানেন যে হাদীসের বেশ কয়েকটি শ্রেণী আছে। এর মধ্যে প্রধান তিনটি; প্রথম শ্রেণী হোল সহিহ অর্থাৎ সঠিক। দ্বিতীয় হোল হাসান, এটাও সঠিক কিন্তু প্রথম শ্রেণীর মত নয়। তৃতীয় হোল দয়ীফ্ অর্থাৎ দুর্বল, কিন্তু দয়ীফ্ হোলেও গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়াও হাদীসের গরীব, মুনকার, মা’রুফ ইত্যাদি আরও অনেক শ্রেণী আছে। হাদীসের সত্যতা-অসত্যতা যাচাইয়ের কঠিন প্রক্রিয়ায় যেমন বহু অসত্য, বানোয়াট হাদীস পরিত্যক্ত হোয়েছে, তেমনি অনেক সত্য হাদীসও সত্য হওয়া সত্ত্বেও এসনাদের অভাবে বাদ পোড়ে গেছে। কোন একটি বিষয়ে পূর্ণ ধারণা করার জন্য প্রয়োজন ঐ বিষয়টি (Subject) সম্বন্ধে সহিহ, হাসান, দয়ীফ, এমন কি পরিত্যক্ত হাদীসও পর্যালোচনা কোরে একটি সম্যক ধারণা করা। তাতে ঐ বিষয়টি সম্বন্ধে একটি পূর্ণ চিত্র মনে ফুটে ওঠে। দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে আলোচনাতেও আমি এই নীতিই গ্রহণ কোরেছি, যদি ভিত্তি অবশ্যই রোয়েছে সহিহ হাদীসগুলির ওপর। দাজ্জাল (Dajjal) সম্বন্ধে মহানবীর হাদীসগুলিকে আমি দু’টো ভাগে ভাগ কোরেছি। একটা ভাগ দাজ্জালের আবির্ভাবের গুরুত্বের ব্যাপারে, অন্যটি দাজ্জালের পরিচয়জ্ঞাপক। মানবজাতির জীবনের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ, সর্ববৃহৎ বিপদের সম্বন্ধে মানুষ বেখেয়াল নিরুদ্বেগ। যারা ধর্মের ব্যাপারে মহা-আলেম হোয়েছেন ও ধর্মচর্চার মধ্যে ডুবে আছেন তারাও সংকীর্ণ ও প্রায়ান্ধ দৃষ্টির জন্য দেখতে ও বুঝতে সক্ষম হন নি যে দাজ্জালের আবির্ভাব মানবজাতি ধ্বংসকারী নুহের (আঃ) মহাপ্লাবনের চেয়েও, প্রলয়ঙ্করী বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও কেন বড় (আকবর) ঘটনা; কেন মহাভারতে বর্ণিত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের (যদি সে ঘটনা সত্য হোয়ে থাকে) চেয়েও সাংঘাতিক, যে যুদ্ধে আঠারো অক্ষৌহিণী অর্থাৎ প্রায় এক কোটি আদম সন্তান নিহত হোয়েছিলো। অন্য ভাগের হাদীসগুলিতে আল্লাহর শেষ রসুল মানবজাতি যেন দাজ্জাল (Dajjal)কে ঠিকভাবে চিনতে পারে ও সাবধান হয়, দাজ্জাল (Dajjal)কে প্রত্যাখ্যান করে, তার বিরোধিতা করে, সে জন্য তার পরিচিতির জন্য চিহ্নগুলি বোলেছেন। কিন্তু তার সময়ের মানুষের শিক্ষার স্বল্পতার জন্য তাঁকে বাধ্য হোয়ে দাজ্জাল (Dajjal)কে রূপকভাবে বর্ণনা কোরতে হোয়েছে। কিন্তু সে রূপক বর্ণনা আজ পরিষ্কারভাবে ধরা দিয়েছে, যদিও আমাদের প্রায়ান্ধ দৃষ্টির জন্য সে বর্ণনাও আমরা বুঝতে সক্ষম হোচ্ছি না, দাজ্জাল (Dajjal)কে চোখের সামনে দেখতে পেয়ে ও দাজ্জালের পায়ে সাজদায় পোড়ে থেকেও বুঝতে পারছিনা যে এই সেই বিশ্বনবী বর্ণিত দাজ্জাল (Dajjal), মাসীহ উল কায্যাব। প্রথমেই দাজ্জালের নামটাকে নেয়া যাক। আল্লাহর রসুল একে দাজ্জাল (Dajjal) নামে অভিহিত কোরেছেন। কিন্তু এটা কোন নাম নয়, এটা একটা বর্ণনা, অর্থাৎ বিষয়টার বর্ণনা। যেমন এমাম মাহ্দী কোন নাম নয় বর্ণনা। মাহ্দী অর্থ হেদায়াহ প্রাপ্ত, যিনি সঠিক পথ, হেদায়াহ পেয়েছেন, তাঁর নিজের অন্য নাম থাকবে সবার মত। তেমনি দাজ্জাল (Dajjal) শব্দের অর্থ চাকচিক্যময় প্রতারক, যেটা বাইরে থেকে দেখতে খুব সুন্দর কিন্তু ভেতরে কুৎসিত। যেমন মাকাল ফল, দেখতে অতি সুন্দর, মনে হবে খেতেও অতি সুস্বাদু, কিন্তু আসলে খেতে বিস্বাদ, তিক্ত। পাশ্চাত্য যান্ত্রিক সভ্যতা বাইরে থেকে দেখতে চাকচিক্যময়, এর প্রযুক্তিগত সাফল্য মানুষকে মুগ্ধ কোরে ফেলে, চোখ ধাঁধিয়ে দেয়, কিন্তু এর প্রভাবাধীন পৃথিবী সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অবিচারে, দুঃখে, ক্রন্দনে, অশ্রুতে ভরপুর। বিগত শতাব্দীতে এই ‘সভ্যতা’ দুইটি বিশ্বযুদ্ধ কোরে চৌদ্দ কোটি আদম সন্তান হতাহত কোরেছে এবং তারপর থেকে বিভিন্ন ছোট খাটো যুদ্ধে আরও দুই কোটি মানুষ হত্যা কোরেছে। আহত বিকলাঙ্গের সংখ্যা ঐ মোট সংখ্যার বহুগুণ। বিধবা, সন্তানহারা, গৃহহারা, দেশত্যাগীদের কোন হিসাব নেই। আর এই নতুন শতাব্দীতে শুধু এক ইরাকেই হত্যা কোরেছে দশ লক্ষ মানব। ইরাক ছাড়াও আফগানিস্তানসহ আরও অনেকগুলো দেশে তার এই হত্যাযজ্ঞ আজও চোলছে। এই ‘সভ্যতা’র অধীনস্ত সমস্ত পৃথিবীতে খুন, চুরি, ডাকাতি, হাইজ্যাক, ধর্ষণ, অত্যাচার সীমাহীন এবং প্রতিদিন প্রতি দেশে ধাঁ ধাঁ কোরে বেড়ে চোলেছে। তাই এর নাম দাজ্জাল (Dajjal), চাকচিক্যময়, চোখ ধাঁধানো প্রতারক।`
ইসলামী রাজনীতি/ইসলামী রাষ্ট্র বিহীন ইসলাম কোন ইসলামই নয় : পর্ব-৩৩ - দাজ্জাল
সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো
রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন