somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আঁধার রাতের মুসাফির
আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই, আমি বাংলায় হাসি, বাংলায় ভাসি, বাংলায় জেগে রই..। আমি বাংলায় ভালোবাসি, আমি বাংলাকে ভালোবাসি, আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি, আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়....।

একজন নোমানীর মৃত্যু এবং আমাদের মৃত বিবেক

১৫ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১৩ই মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে নিহত হন ছাত্রশিবির এর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান নোমানী। ঘটনার পরদিন জাতীয় দৈনিকগুলোতে রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম শপিংমল বসুন্ধরা সিটিতে সংগঠিত অগ্নিকান্ডটি হেড লাইনে আসাতে আমাদের সরকারী ছাত্রসংগঠন কতৃক এত বড় একটি বর্বর হত্যাকান্ড ও সন্ত্রাসের ঘটনা চাপা পড়ে যায়। পত্রিকাগুলো নির্লজ্জ ভাবে মুল খবরটি চেপে যায় এবং দায়সারা গোছের বিকৃত খবর পরিবেশন করে। পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি দেখে ধারণা করা যায় সেদিন ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা অস্র সজ্জিত অবস্থায় প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাবের সহযোগীতায় শিবিরকর্মীদের উপর নারকীয় হামলা চালায়। ছাত্রলীগ কর্মীরা শুধু হামলা ও খুন করেই শান্ত হয়নি, সাথে পুলিশকে সহযোগী শক্তি হিসাবে ব্যবহার করে শিবির কর্মীদের গণ গ্রেফতার চালিয়েছে। আমাদের ডটার অব পিস্‌ তাঁর সোনার ছেলেদের এই কীর্তিতে নিঃসন্দেহে খুব খুশী হয়েছেন। আবার যারা রাজনীতির নামে নোংরা নীতির মাধ্যমে জনগণকে ধোকা দিয়ে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত তারাও হয়তঃ বিরোধীপক্ষের ছাত্রনেতার মৃত্যুতে খুশী হয়েছেন। সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষ, যারা চান আমার সন্তান নিরাপদ ক্যাম্পাসে নিশ্চিন্ত মনে বিদ্যার্জন করে মানুষ হবে, তারা কি খুশী হয়েছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনিতো আমাদের সোনালী দিনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, জনগণ তা বিশ্বাসও করেছে। তাহলে কেন এই সন্ত্রাস, খুন? আমরা কবে দলমত নির্বিশেষে মিলেমিশে দেশ গড়ার কাজ নিয়োজিত হবো?সেদিন কি কখনই আসবেনা যেদিন আমাদের নবীনরা নিরাপদ ক্যাম্পাসে নিঃশংক চিত্তে পড়াশোনা করতে পারবে? বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়াতে সেশনজটের অভিশাপে পড়ে হাজারো ছাত্র-ছাত্রীদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, তাদের অন্তরের কান্না কি জাতীর নেতাদের হ্রদয়কে কখনো ষ্পর্শ করবেনা? আমাদের ডটার অব পিস(?) বিরোধীপক্ষকে হত্যা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্মূল করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান কি?

সরকারদলীয় সোনার ছেলেদের কল্যাণে দেশের অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে অবশ্য সরকার প্রধান ও তার মন্ত্রীদের তেমন কোন অসুবিধাই নেই। কারণ, তাদের সন্তানরা এই দেশের গরীব-দুখী অভাবী মানুষের ছেলেমেয়েদের সাথে এইখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেন না। তারা করেন আমেরিকা ও ইউরোপের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সুতরাং, এদেশের যদি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, আরো মায়ের বুক খালি হয়, তাহলে নেতাদের কিছুই যায় আসেনা। আজ পত্রিকায় পেলাম, সরকার দলীয় এম,পির লোকজন ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতাল দখলে নিয়েছেন, জবি ছাত্রলীগের কথামত এক ব্যাক্তকে টেন্ডার দেয়া হচ্ছে, ইডেনের অধ্যক্ষা ও পরীক্ষাকমিটির প্রধানকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীদের ভর্তি বাণিজ্যে সহযোগিতা না করার কারণে, পটুয়াখালী বি,প্র, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপে হল দখল নিয়ে মারামারি হয়েছে ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারে শুরুটা দেখে আমরা শংকিত। ওয়ান এলেভেনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে জন আকাংখা ছিলো দেশে সন্ত্রাস কমবে, মারামারি-খুনাখুনী হ্রাস পাবে, সহনশীল সুস্থ রাজনীতির চর্চা হবে। কিন্তু সার্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আমরা আগের মতই আছি, জন আকাংখাকে হ্রদয়ে ধারণ করতে না পারলে আখেরে কোন লাভ হবে কি?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২৯
৪৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×