বর্তমান সরকার কতগুলো মিথ্যা প্রচার প্রোপাগান্ডা এবং দেশি-বিদেশীদের নানা চক্রান্তে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে বলে অনেকের অভিযোগ। তবে, এই সব অভিযোগ জনগণ ভুলে যেত, যদি তারা তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করতে না পারলেও, বাস্তবায়নের চেষ্টা থাকত। কিন্তু দুঃখের বিষয় এইযে, বিগত এক বছরেরও বেশি সময় সরকারের কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে গেলে হতাশা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনা। ১০ টাকায় চালের প্রতিশ্রুতির কথা বাদই দিলাম। প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিচার বিভাগ পর্যন্ত যে নির্লজ্ঝ আওয়ামীকরণ করা হয়েছে, অতীতের সকাল খারাপ রেকর্ড় ছাড়িয়ে গেছে। দেশের বেশির ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের সোনার ছেলেরা বিরোধী ছাত্রসংগঠনের কর্মীদের হত্যা, জুলুম-নির্যাতন, ধর্ষণ, মেয়েদের বস্স্রহরণ, নিজেদের মধ্যে মারামারি, টেন্ডারবাজী, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ হেন কোন অপকর্ম নেই, যা তারা করছেনা। এখন এর সাথে তারা যুক্ত করেছে ছাত্রীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো, যার প্রতিবাদ করায় একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে ফোনে হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। আমাদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবি, মানবাধিকারকর্মী ও জাতির বিবেক (?)দের মুখে কুকুর বর্জ্য ত্যাগ করেছে বলে মনে হয়; তাই তারা চুপচাপ।
পানি নেই, বিদ্যুত নেই, গ্যাস নেই, মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কোন উদ্যোগ নেই। তেনারা যুদ্ধাপারাধী থুক্কু নতুন বোল মানবতা বিরোধীদের বিচার এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর মামলা হামলা নিয়ে ব্যস্ত আছেন।
সরকারকে রাম ও বামরা সম্পূর্ন ভুল পথে নিয়ে গর্তে ফেলার চক্রান্ত করছে। তাই এখনি উচিত জনগণকে প্রদত্ত অংগীকারগুলো আন্তরিক ভাবে বাস্তবায়নের দিকে নজর দেয়া, তাহলে আখেরে ভালো হবে। যত দ্রুত কর্তাদের বোধোদয় হয়, ততই মংগল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




