এ কথা সবাই স্বীকার করবেন যে, জ্ঞানের শক্তিতেই একদিন মুসলমানরা সারা পৃথিবীকে শাসন করেছে। ১২৫০ সালে স্পেনের টলেডোতে আজকের সভ্য ইউরোপের শিক্ষক মুসলমানেরা প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র school of Orientation Studies স্থাপন করেন। কর্ডোভাতে পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় মুসলমানরা স্থাপন করেন। যেখানে সব সময়ে ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় দশ হাজার ছাত্র অধ্যয়ন করতো।
যখন ইউরোপে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরিটি ছিল রানী ইসাবেলার যাতে বইয়ের সংখ্যা ছিল মাত্র ২০১ টি। অপরদিকে তৎকালীন ফাতেমীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী কায়রোতে মুসলমানদের পাঠাগারে জমা ছিল ১০ লক্ষ বই।
জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত বাগদাদের মুসলমানরা একবার রোমান রাজা শার্লিমেইনের কাছে একটি উন্নতমানের যান্ত্রিক ঘড়ি পাঠিয়েছিল উপহার হিসেবে। কিন্তু শার্লিমেইন ও ইউরোপীয়রা বহু দিন ধরে এ ঘড়িটিকে সন্দেহের চোখে দেখত। তারা ভাবত যে এর ভেতরে একটি জিন রয়েছে, ওই জিন দিবসের সময় ও অতিক্রান্ত ঘণ্টাগুলো প্রদর্শন করছে!
এ থেকে বোঝা যায়, মধ্যযুগে মুসলিম বাগদাদ যখন গোটা বিশ্বে জ্ঞানের শীর্ষ-কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হত তখন ইউরোপ ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞানে অজ্ঞতার অন্ধকারে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




