খবরটা শুনে বাবা বললেন,“আমার এত গর্ব কোথায় রাখব !” সত্যি বলতে নিজেও ভাবিনি এই সম্মাননাটি আমিই পাবো! আন্তর্জাতিক নারী দিবসে স্কয়ার গ্রুপ এর পক্ষ থেকে আমাকে 'কীর্তিমতি নারী সাংবাদিক' এর সম্মাননা দেয়া হবে। বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে ওই দিন আরো দুইজন নারী তাদের অসাধারন কাজের স্বীকৃতি স্মরূপ 'কীর্তিমতি হিতৈষী' ও 'কীর্তিমতি উদ্যোক্তা' হিসেবে সম্মাননা পাবেন। এটি রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে এবং পুরো অনুষ্ঠানটি মাছরাঙা টেলিভিশন (৮মার্চ) রাত ৯ টায় সম্প্রচার করবে।
রাজশাহী থেকে যারা আমাকে মনোনায়ন দিয়েছেন সেই সব বড় ভাই এবং সহকর্মীদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা রইল। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে রাজশাহীতে সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে যা কিছু করতে পারিনি সেসব কাটিয়ে উঠে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে যেন ঢাকায় সফলভাবে কাজ করে যেতে পারি- সবাই সেই দোয়া’ই করবেন।
আজ নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। সেই যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষ থেকেই বাংলাদেশ প্রতিদিন এ সাংবাদিকতা শুরু করেছিলাম। তৃতীয় বর্ষে উঠে জেলার স্টাফ রির্পোটার হিসেকে কাজ করি। পাশাপাশি দেশের প্রথম কমিউনিটি রেডিও-“রেডিও পদ্মায় কাজ করেছি দুই বছর। এরই মধ্যে আমি ব্রিটিশ কাউন্সিলের অর্থায়নে ইংল্যান্ডে স্ট্যাডিট্যুর এর সুযোগ পেয়েছি। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জার্নালিস্ট’ (আইসিএফজে)’র একমাত্র নারী ফেলো হিসেবে নেপালে ওয়ার্কশপ এবং সাংবাদিকতা করতে পেরেছি। এছাড়া গত কয়েকমাস আগেই আমেরিকার সরকারের অর্থায়নে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন জার্নালিজম এর উপর বিশেষ ট্রেনিং এবং ইিউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় এক সেমিস্টার পড়াশুনার সুযোগ পেয়েছি। স্বচক্ষে দেখেছি ইউনিভার্সাল স্টুডিও, হলিউড। মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে গত একমাস হলো বাংলাদেশ প্রতিদিন এ ঢাকা অফিসে পলিটিক্যাল বিটে কাজ শুরু করেছি। স্বপ্ন বহুদূর। তবে তা বিদেশে পাচারযোগ্য না! আমি আমার দেশেকে ভালোবাসি। ভালেবাসি এ দেশের মানুষকে। এ দেশের জন্যই কিছু করতে চাই। এ দেশের মাটিতেই মরতে চাই। সবাই দোয়া করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৩