somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘শুভ্র সেই কাঠের দোতলায় রোমাঞ্চকর এক রাত’

১০ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারি সারি কাঠের দোতলা। প্রতিটি বাড়ীই দেখতে একই রকম। ধবধবে সাদা। আর বাড়ীর চারপাশে কমলা লেবুর গাছ। গাছে-গাছে সবুজ পাতার সাথে পাল্লা দিয়ে হাসছে হলদেটে রসালো কমলা। ফলের ভারে নুইয়ে পড়েছে ডাল। আমরা দুজন প্রথমেই ভুল করে ফেললাম। বাড়ীগুলো দেখতে একই রকম হওয়ায় একটি ভুল বাড়ীতে ঢুকে পড়ছিলাম। হঠাৎ বুঝতে পেরে থমকে দাড়ালাম। তারপর দিক পরিবর্তন করলাম। কিছু দূর হেটে আবার একটি বাড়ীর সামনে থামলাম। থামতেই হলো। এই ভিনদেশে ইংরেজির রাজত্বে ছোট্ট একটি বাড়ী থেকে ভেসে আসছে বাংলা গানের সুর! কৌতুহলী হয়ে আরেকটু ভালোভাবে কান পাতলাম। হুম, রবীন্দ্র সংগীত’ই তো! (আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে...দেখতে আমি পাইনি...!)। শতভাগ নিশ্চিৎ হলাম, এটিই আমাদের গন্তব্য। সেই কাঙ্খিত ঠিকানা!

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের লস্-এঞ্জেলস্ শহরে এটি ছিলো আমার প্রথম দিন। ঠিক দিন না, দিনের শেষ ভাগ। সাদা আর কমলা রাঙা সেই প্রকৃতিতে তখন নেমে এসেছে সূর্যের লালচে আভা। বাড়ীতে ঢুকতেই যিনি স্বাগত জানালেন তার চেহারায় দুর্লভ এক ব্যাক্তিত্বের ছাপ। সরলতার উঠোনে যার গোপনে জ্বলে উঠে প্রতিবাদের আগুন। মনে মনে ভাবলাম, তাকে না হয় পরেই আবিষ্কার করব। বরং প্রকৃতির শেষ আলোটুকু নিভে যাওয়ার আগে ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। স্যান্ডিয়াগো থেকে এত পথ পাড়ি দিয়ে ক্লান্তির বদলে তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়ায় উনারা বোধহয় একটু অবাকই হলেন।

যাইহোক, সত্যি বলতে আমি এক বিশেষ আকর্ষণেই বের হয়েছিলাম। আসার পথে চলন্ত গাড়ীর (হাইচ্) জানালায় যা দেখেছি তা ছুঁয়ে না দেখলে নিজের সঙ্গে প্রতারণা করা হতো। চোখে অতৃপ্তি থেকে যেতো। তাকে আলিঙ্গন না করলে দেহ-মনের অমঙ্গল হতো। আর ক্যামেরায় ধারন না করলে হতো চরম বোকামী।
জানতে চান, কী সেই আকর্ষণ? পরের লেখায় লিখছি ‘ছবি সহ’ ...

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×