দীর্ঘ ক্লান্তিকর ভ্রমন শেষে হিথ্রো বিমানবন্দরে এসে পৌ্ঁছলাম।বিদেশ বিভুঁইয়ে দুজন সতীর্থকে দেখে আশ্বস্হ হলাম। অপরাহ্ণের ম্লান আলোয় আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি- হালকা নীল আকাশে ছোপ ছোপ বিষন্নতা।একটু পরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এলো। আবার, শেষলগ্নের গোধুলী আভায় হেসে উঠলো চারপাশ।মনে পড়লো, ইংলিশ নারী ও আবহাওয়াকে নিয়ে চলমান বাগধারা-শি চ্যান্জেস লাইক ওয়েদার।
টিউবে চড়ে রওয়ানা দিলাম আপটন পার্কের দিকে।স্মর্তব্য, ভূ-গর্ভস্হ পাতাল রেলে রবি ঠাকুর গীতাঞ্জলির পাণ্ডলিপি হারিয়ে ফেলেছিলেন।
স্টেশন থেকে হেঁটে বাসায় আসতে লক্ষ্য করলাম, এখানকার ব্যস্ত মানুষজন হা্ঁটেনা, বরং দৌড়ায়।রবি ঠাকুরের উক্তি-আমাদের দিন চলতো রয়ে সয়ে, এখন অচল।
বাসার লোকজন বললো-আমি নাকি ভাগ্যবান, এ বছর এখনও শীত আসেনি।এমনিতে এ সময়ে শীত ঝে্ঁকে বসার কথা।
অক্টোবর পেরিয়ে যায় শীতের নামগন্ধ নেই। ঠাণ্ডা প্রত্যাশী বিলেতি সহপাঠীদেরকে হাসতে হাসতে বলি-আমি এসেছি বলেই বসন্ত দীর্ঘায়িত হলো। আধো মাতাল ফ্রেন্চ তরুণী শরীরে তরঙ্গ ফুটিয়ে বলে উঠলো- ইউ আর আ্য পোয়েট, গ্রেট। মেয়েদের মদির চাহনি, গ্লাশের টুং টাং আর উচ্চ হল্লায় ক্লাশ পার্টি ততক্ষণে বেশ বর্ণিল হতে শুরু করেছে। কিশোরি রাতের বয়স বাড়ছে।
নবেম্বর/২০১১, মাইল এন্ড, লন্ডন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১২ রাত ৩:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


