(প্রিয় হুমায়ূন আহমেদকে নিবেদিত )
যা কিছু শুনি বা শোনাই
তা কী তবে আপেক্ষিক আবেশের ভ্রান্তিবিলাস?
নেই কোনো সুর, তান বা লয়
একঘেয়ে সারেগামাপানিসা
উদারা থেকে মুদারা--
অথচ ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁ'র সুর বেজেছিলো প্রথম প্রহরে
নন্দিত নরকে ও শঙ্খনীল কারাগার হাসে যুগল-প্রসবে,
পরে ঝানু মাঝির জালে ধরা পড়ে
ফেরারি ইলিশের ঝাঁক;
বহুপ্রজ জননীর পংগপালে এখন অপুষ্টির ছাপ।
যা কিছু দেখি বা দেখাই
তা কী শৃঙ্খলিত প্রমিথিউসের অন্যায্য হাজতবাস?
নাকি গ্রহণকালের অপরিমিত বিন্যাস--
দূরাগত এক শিংগা বাজে
আর স্বপ্নবাজের সবুজ প্রাসাদ ভেঙে খানখান,
আবার ফিরে চলা লাঙল কাঁধে
সেই মহাজনের কাছে--
এক চিলতে জমির খোঁজে;
অসুখি কিশানের ভূমিশয্যা নুহাশের বুকে।
নিক্তিতে হিসেব মেলেনা
ঘোর অমাবস্যা নয়, চেয়েছিলে শুধু চান্নিপসর রাইত;
তবু হাহাকার জাগানো ভোরের আলোয়
শ্রাবণের করুণাধারায়
ঘাসফুল কাঁদে- আহারে, আহারে!
মহালোকে প্লাবিতজন সোনালি হরফে লেখো- নূতন ময়ুরাক্ষী,
কান্নাভেজা কদমগুচছ তোমাকেই দিলাম।
৯ শ্রাবণ ১৪১৯, মাইল এন্ড, লন্ডন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


