রোযার মাঝে চারুকলার ছেলেমেয়েরা গায়ে রং মেখে, আমাদের দেশের সংস্কৃতির বিপক্ষে কাজ করেছে; ইহা নিয়ে ৩/৪টি পোষ্ট এসেছে, মানুষের মনে ক্ষোভ জমেছে। অনেকে এসব উশৃংখল ছেলেমেয়েদের পক্ষেও কথা বলেছেন। ছেলেমেয়েরা দেশের আইন ভাংগেনি, মনে হয়; শুধু সংস্কৃতির বিপক্ষে গেছে।
ইহা তেহরান কিংবা কাবুল ইউনিভার্সিটিতে ঘটলে, ফলাফল হতো ভয়ংকর; ওখানকার ব্লগারেরা ইহার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে,কলম ধরার সাহস পেতো না; কারণ, দেশের আইনই উহাকে হ্যান্ডলিং করতো; ওখানে ব্লগিং'কে সহ্য করা হয় না।
আমাদের দেশের আইন/সংবিধান এই সমস্যার সমাধান করেনি বলেই ব্লগার ঢাবিয়ান পোষ্ট দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন; এই দেশের আইন নিয়ে ঢাবিয়ান হতাশ। ঢাবিয়ান যদি ইরানী কিংবা কাবুলী হতেন, উনি বসে বসে মিডিয়ায় দেখতেন যে, সরকারই ব্যবস্হা নিচ্ছে। সব দেশের সরকার, সব ধরণের ব্যবস্হা নিয়ে থাকে দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুসারে।
দেশের কতভাগ মানুষ ঢাবিয়ানের মতো সমাধান চান? মনে হয়, ৯০ ভাগ। ইউনিভার্সিটি পুলিশ কিংবা ইউনিভার্সিটির অথরিটি ব্যবস্হা না'নেয়ায়, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ হতাশ হয়েছে; অবস্হা দেখে কি মনে হচ্ছে, আমাদের রিপাবলিকান সংবিধানে কি মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে? নাকি ইহার স্হানে ইরান কিংবা আফগানিষ্তানের সংবিধান মতো কোন সংবিধান হলে ভালো হতো?