কারণ ওই দিনটাতেই বাংলার বাঘিনীরা হিমালয়ের বরফ বিদীর্ণ করে ছিনিয়ে এনেছিল বিরল ভালোলাগার এক চিলতে অনুভূতি । ওই দিনটাতেই আমি নিরাপদ বস্তুতে পরিণত হবার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম । দিনটি তাই মনে পড়বে ।
শহুরে মানুষের কাছে শহুরে প্রতিবেশে এক পশলা বৃস্টির পর মাটির সোঁদা গন্ধের দারুণ অনুভূতিটুকু যেমন সহজলভ্য নয়; তেমনি ১৯-৯-২০২২ তারিখে স্বাগতিক নেপালের মেয়েদের ৩-১ গোলে হারিয়ে বাংলার অদম্য মেয়েদের সাফ নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া, হাতে গোণা কিছু সাফল্যের একটি।
নেপালি মেয়েদের ডিফেন্স কিছু সময়ের জন্য বরফের শক্ত প্রাচীর হয়েছিল বটে, কিন্তু বাংলাদেশের মেয়ে ফুটবলারদের সুনিপুণ থাবায় সেই বরফ গলে হয়ে গেছে একাকার, তাই সাফল্যের মনজিলে তারা পৌঁছে গ্যাছে অভাবনীয় দক্ষতায় ।
এই জয়ের পেছনে আমার কাছে পিভট পয়েন্ট মনে হয় ভারতকে ৩-০ গোলে হারাবার ব্যাপারটি। ধারণা করি, সেই জয়ের পর মেয়েদের মানসিক দৃঢ়তা দ্বিগুণ তিনগুণ হয়ে গিয়েছিল ।
আমাদের এই অনেকটা একঘেয়ে জীবনে উল্লাসের উপলক্ষ্য এনে দেবার জন্য হে বিজয়ী বীরেরা, তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ।
(কা_ভা ভাইয়ের উৎসাহে একটি নয়-ছয় লেখার অপচেস্টা)
ছবি কৃতজ্ঞতা ঃ https://bangladeshinfo.com/
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৪