রাজশাহী চিনিকল গেটে বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকায়। অথচ সেখান থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে কাঁটাখালী বাজারে একই চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি দরে। আশপাশের বাজারগুলোতে ও একই দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি চিনিকলের সাশ্রয়ী দরে বিক্রি করা চিনি মাত্র আধাকিলোমিটার দূরে এসেই কেজিপ্রতি ১৯ টাকা বেশিতে বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাসাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এদিকে ডিলাররা দাবি করছেন, তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী মিল থেকে চিনি পাচ্ছেন না বলে জনগনকে কম দামে দেওয়া যাচ্ছে না।
রাজশাহী চিনিকল সূত্র জানিয়েছে, তাদের গুদামে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪০৩ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত রয়েছে, মিল গেটে যা নির্ধারিত ডিলারদের কাছে ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বেসরকারি চিনিকলগুলো ডিলারদের কাছে ৪০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করছে। তবে ডিলাররা সরকারি-বেসরকারি উভয় চিনিকল থেকে নেওয়া চিনিই বাজারে ৫২ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
রাজশাহী চিনিকল সূত্র জানা গেছে, এর আওতায় বিভাগীয় শহরটিতে মোট ৩৩ জন ডিলার রয়েছেন। যাঁরা প্রতি মাসে এক টন করে বছরে পাঁচ থেকে ছয় মাস চিনি বরাদ্ধ পান।
কাঁটাখালী বাজারে গত মঙ্গলবার দেখা গেছে, খুচরাপর্যায়ে ছোটখাটো দোকানগুলো প্রতি কেজি চিনি ৫২ টাকা আর পা্কারি বিক্রেতারা ৫১ টাকা দরে বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ী-ডিলাররা জানান রাজশাহী শহরে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ মেট্রিক টন আর গোটা জেলায় ১০০ থেকে ১৫০ মেট্রিক টন চিনির চহিদা রয়েছে।
রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, 'সরকারি চিনিকলের চিনি সাশ্রয়ী মূল্যে দেওয়া সরকারের সিদ্ধান্তটি প্রশংসনীয়। কিন্তু বেসরকারি চিনিকলের চিনির দাম বেশি ধরার কারনে জনগন এই সুবিধাটি ভোগ করতে পারছে না।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




