
খুবই তাচ্ছিল্য করে, কলকাতার বাবুদের দেখা যায় আমাদের কাংলাদেশী বলছে, অর্থনীতির একজন ছাত্র হিসেবে সংক্ষেপে আমি ভারতের আর্থসামাজিক দিক ব্যবচ্ছেদ করতে চাই।
জি ডি পি আর নানা উন্নয়ন সূচকে আছে শুভংকরের ফাঁকি, যদি নমিনাল জি ডি পি ধরা হয় ভারত ধরনীর ৬ নম্বার অর্থনীতি। আর যদি পার ক্যপিটা ইনকাম ধরা হয় ২১৩৪ ডলার নিয়ে ১৩৩ তম অবস্থানে রয়েছে! মধ্য আফ্রিকার মত গরীব।
বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৪ তম।
জি ডি পি তে ফাঁকিবাজি আছে। সবচাইতে গুরুত্ব বহন করে হিউম্যন ডেভেলাপমেন্ট ইনডেক্স, ভারতের অবস্থান ১৩১, আর বাংলাদেশের ১৩৯। কেউ কাউকে গরীব বললে মনে হয় এক ভিখারি অন্য ভিখারি কে ভিক্ষুক বলে গালি দিচ্ছে। যদিও সাধারনত বাংলাদেশীরা অন্যদেশীদের সন্মান করেন।
ভারতের কংরেস সরকারের সময় ৮% বা তার চেয়ে বেশী গ্রোথ রেট থাকত সেখানে মোদী সরকার ৬ এর নিচে নামিয়ে এনেছে।
ভারত মিডিয়াতে সিনেমায় নিজেদের চীনের সাথে যাহির করলেও বাস্তবতা হচ্ছে যদি চীন একই ইকোনোমি ধরে রাখে আর ভারত ৩০% করে গ্রোথ করে তবে ২০৩০ সাল নাগাদ ভারত চীনের সমান হতে পারবে! আর ওরা চলছে ৬% এর নিচে।
জি ডি পি কমে যাওয়ার অন্যতম কারন হচ্ছে গরুর মাংশ ও চামড়া রপ্তানী বন্ধ, নোট ব্যন করা, ব্যপক দুর্নিতি।
গরু ও নোটে ব্যন দিয়ে ২ কোটি মানুশ নিজের কাজ হারিয়ে পথে বসেছে এই বছরেই। চিন্তা করা যায় ২ কোটি মানুশের পরিবার পরিজন নিয়ে কি অবস্থায় আছে মানুশ গুলো?
মনে হতে পারে সামরিক দিক দিয়ে বুঝি অনেক এগিয়ে আছে ভারত।
আসলে বাংলাদেশের যেখানে কোন তেমন শত্রু নেই সেখানে ভারতের আছে পাকিস্তান আর চীন নামের সীমান্তবর্তী মহাশত্রু। ভারতে চীনের সাথে দোকলাম সীমান্তে শো অফের সময় বিপুল পরিমান সৈন্যের ছুটির আবেদন অবশ্যই চিন্তায় রাখতে হবে।
একটা পরিসংখ্যান দেই ২০০১ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত ১৩৩২ জন সৈন্য দৈন্য দশার জন্য আত্মহত্যা করেছে। (তথ্যসূত্র বিবিসি ৩ মে ২০১২)

ভবছেন এখন হয়ত কমে গেছে?
না এখন ২০১৭ সালের রিপোর্ট এক সালে ৫০০ জনের বেশী আত্মহনন করেছে। দিন দিন বাড়ছে, খাবার না দিয়ে ঘুমাতে না দিয়য়ে দিন রাত ডিউটির ফলে এমন ঘটেছে বলে সামরিক বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন। সীমান্তে শত্রুর চেয়ে বেশী সুইসাইড করে ভারতীয় জওয়ান মারা যায়।
বাংলাদেশে ঐরকম দৈন্যদশা কোনোদিন ছিলনা।
সারা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় চলছে স্বাধীনতা যুদ্ধ। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভয়ংকর খারাপ।

ভারতীয় রেপিষ্ট বাবা গন, যাদের রয়েছে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ভক্ত ও লাখ লাখ অপদার্থ গরু ছাগলের দল অনুসারী ।
শুধু দিপিকা পাডুকোনের স্তন দেখালেই তো পেট ভরে না।

৩ মে ২০১৭ সালে ইন্ডিয়া টাইমস বলছে ভারতে ১২০০০ এর বেশী কৃষক দারিদ্রতার জন্য আত্মহনন করে, একতা ইন্ডিয়ান দাঁত কেলিয়ে নিজেকে ধনী বলে, ইচ্ছে করে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলি বেশী টাকা থাকলে কয়টা নিজের দেশের মানুশ বাঁচিয়েছ?
আমাদের দেশে তো এমন কখনই শুনিনি! জীবন যাত্রার এত অধঃপতন কেন বাবু তোমাদের?

মায়ের মুত্র মনে করে মুত্র খাওয়ার চিত্র।
যদি গাভী মা হয় ষাঁড় পিতা, তবে এক গাভীর সাথে কিন্তু অনেক ষাঁড় সংগম করে, বি জে পি র গোরক্ষা ক্যাম্পেইনে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় হলেও , অনেক প্রান ঝড়ে যাচ্ছে আর ধর্মবিদ্দেষ চড়মে উঠেছে, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি, সেই সাথে সকলেরই ক্ষতি হচ্ছে। মানুশের দাম এখন গরুর নিচে, বি জে পি জিতে গেলেও হেরে গেছে ভারত।
ভারতের চাকচিক্য কিন্তু তার পরও দেখতে পাই, কিন্তু কিভাবে?
ধরা যাক একটা পরিবারের ২০ জন সদস্য ১৯ জন অনাহারে অর্ধাহারে আছে আর একজন দামী গগলস চড়িয়ে পেট পুরে ঘুরে বেরাচ্ছে। অন্যদের হক মেরে হিন্দিভাষী শহুরে এলাকায় কিছুটা উন্নয়ন হচ্ছে। এই জন্যেই দিকে দিকে ভারত ভাংগার গান ।
সাবমেরিন, সামরিক বিমানবাহী জাহাজ চাকচিক্য, দিপিকা পাডুকোন আর পুনম পান্ডের ভারত নয়, পিপলী লাইভ আর, স্লামডগ মিলিওনিয়ার হচ্ছে প্রকৃত ভারত। সিনেমার আর ক্রিকেটের নেশায় বুঁদ হওয়া ভারতীয়দের সিনেমা দিয়েই চিনে নিলাম ফাঁকা আওয়াজের সুপার পাওয়ার ভারতকে। যদি ভারত এভাবেই চলতে থাকে তবে আগামী ৫০ বছরে সুপার পাওয়ার হওয়া সম্ভব?

ভারতের মত একটা ফেইল্ড নেশনের সাথে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের অতি ঘনিষ্ঠ পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বাংলাদেশের মানুশের আবশ্যই পুনঃ বিনেচনা করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




