এই ঐশ্বর্য নিয়ে যাও, এই যশ নিয়ে দু’হাত ভরো,
এই যৌবনের উদ্দামতা ? এই ধরো,
বিনিময়ে, দাও মোরে ফিরায়ে,
ছেলেবেলার বরষার দিন আনি,
কাগজের নৌকাখানি,
ঐ বরষার পানি ।
পাড়ার সবচেয়ে পুরনো চিহ্ন ছিল সে,
বুড়ি সেই নানী- বাচ্চাদের কত প্রিয় যে;
নানীর গল্পে চলে যাওয়া পরীদের দেশে,
বয়সের ভারে, কপোলের-ভাঁজে লেখাসে;
চাইলেও পেরেছে ভুলতে? আমিতো ভুলিনি,
ছোট্ট রাতে শোনা, দীর্ঘ কাহিনী।
চুপি চুপি ঘর পালানো ঐ ভর দুপুরে,
পাখিদের কলতানে প্রজাপতি ধরে;
পুতুলের বিয়েতে যত ঝগড়া আর খুন-টুসি,
দোলনা থেকে পড়ে, ধূলি ঝেড়ে হাসি।
ঐ পিতলের আংটি ছিল প্রিয় কত হায়,
ঐ ভাঙা চুড়ির টুকরোয় মনে পড়ে যায়;
কখন বালির ঢিপিতে উঠে খেলা,
কত ঘর বানান, আর ভেঙে ফেলা;
নিষ্পাপ কত ইচ্ছে সবি,
হয়ে আছে আজ শুধু ছবি,
আমি আজো ঐ স্বপ্ন আর খেলনার ধন লোভী;
না পার্থিব কোন যন্ত্রণা,
না সম্পর্কের বঞ্চনা;
কতনা মধুর ছিল তায়,
যে দিন চলে গেছে হায়!
সূত্রঃ জাগজিৎ সিং –এর গান ‘ ইয়ে দাউলাত ভি লে লো...’। ছবিঃ ‘আগ’ (১৯৮৫)।
ভাবান্তরেঃ আমানুস খান।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




