somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রচলিত তাবলীগ জামাত বনাম ইসলামের বিধান (১ম)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সকল প্রশংসা এক আল্লাহর যিনি আমাকে লেখার তৌফিক দান করেছেন । অসংখ্য দুরুদ ও সালাম নবী মোহাম্মদ সা: এর উপর।

আমাদের আগে শিরক সম্পর্কে জানা প্রয়োজন । আল্লাহ শিরক সম্পর্কে কোরআন বলেছেন-

=> আল্লাহ শিরক এর গুনাহ মাফ করেন না । (সূরা নিসা-৪:৪৮)
=> শিরক সম্বন্ধে মহানবী সাঃ কে বাদ দিয়ে ১৮ জন নবীর নাম উচ্চারণ করে বলেছেন, তারা যদি শিরক করতো আল্লাহর সাথে তাহলে তাদের আমলগুলো বরবাদ হয়ে যেতো । (সূরা আনআম-৮৮)
=> এবার নবী মোহাম্মদ সাঃ কেই বলা হইছে, (হে নবী) যদি তুমি আল্লাহর সাথে শিরক করো তোমার আমলও বাতিল এবং তুমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে । (সূরা যুমার-৬৫) নবীকেও ছাড় দেওয়া হয় নাই ।
=> সর্বশেষ যারা শিরক করে তাদের জন্য জান্নাত হারাম করে দেওয়া হইছে । (সূরা মায়িদাহ-৫:৭২)

ফাজাযেলে আমল পড়লে অনেক আমল শিখা যায় । কিন্তু যদি শিরকও করি আমলও করি । তাহলে সেই আমলের কোন মূল্য নাই আল্লাহর নিকট । সত্য সঠিক অল্প আমলই এনাফ । কারণ আল্লাহর নিকট এখলাসপূর্ণ শিরকমুক্ত ইবাদাতও গ্রহণযোগ্য । (সূরা যুমার-৩)

============================================

কি কি বিষয় তাবলীগ বা প্রচার করবো আমরা ?

আল্লাহ আমাদের সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবীর উম্মত করেছেন এবং আমাদের জানিয়েছেন কি কি বিষয় তাবলীগ বা প্রচার করতে হবে ।
সূরা মায়িদাহ-৫:৬৭> হে রসূল, পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে ।
এখানে যা অবতীর্ণ হয়েছে বলতে কোরআন ও সহীহ হাদিসকে বুঝানো হয়েছে পৃথিবীর সকল আলেমদের মতে ।
যদি নবী কোরআন বাদ দিয়ে অন্তর বা মনের বা খেয়ালখুশির অনুসরণ করতেন তাহলে কি হত ?
সূরা রা'দ-১৩> এমনিভাবেই আমি এ কোরআনকে আরবী ভাষায় নির্দেশরূপে অবতীর্ণ করেছি । যদি আপনি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করেন আপনার কাছে জ্ঞান পৌঁছার পর, তবে আল্লাহর (আজাব) কবল থেকে আপনার না কোন সাহায্যকারী আছে এবং না কোন রক্ষাকারী ।
হে মানুষ, চিন্তা করেন নবীকে কতবড় থ্রেট । যদি মনো বাসনা বা প্রবৃত্তির অনুসরণ করেন তো আল্লাহর আজাব উনাকেও ঘিরে ধরবে ।

=============================================

প্রচলিত তাবলিগ জামাআতের কিছু প্রমান পত্রঃ-

০১) আমরা মসজিদে জামাতে নামায পড়ার পর অর্থাৎ সালাম ফেরানোর পর বিভিন্ন ধরনের কায্যকলাপ করে থাকি । আমাদের ইবাদতের গুরুত্বের ক্রমানুসারে ঐগুলো কত নম্বরে পড়ে ? যেমব ফরজ, ওয়াজীব, সুন্নত, নফল ইত্যাদি । কোনটার গুরুত্ব বেশী ?
আরো সহজ ভাবে বলি- ফরজ নামাযের পর যারা তাবলিগ জামায়াত করেন তারাও উচ্চস্বরে কিতাবি তালিম আছে, ঈমান-আমল সম্বব্ধে আলচোনা হবে ইত্যাদি বলে থাকেন যা পরে আসা নামাযী ব্যক্তির নামাযে বিঘ্ন ঘটে ।
ফরজের ক্ষতি সাধন করে বা ফরজ আমল বিনষ্ট করে অন্য কোন আমল করা কুরআন হাদিসের কোন দলিল কেউ কি দেখাতে পারবে ?

০২) ফাজায়েল আমাল বইয়ের লেখক জনাব মাওলানা যাকারিয়া বইটির ভূমিকায় তাবলীগ জামাআতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াসকে লক্ষ করে লিখেছেনঃ
এত বড় বজুর্গের সন্তুষ্টি হাসিল করা আমার পরকালে নাজাতের উসীলা হইবে মনে করিয়া আমি উক্ত কাজে সচেষ্ট হই ।
সুপ্রিয় দ্বীনি ভাইগণ ! আমরা জানি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া কোন মানুষই কিয়ামতের দিন নাজাত পাবে না । তাই সকল এবাদত একমাত্র আল্লাহকে রাজী-খুশী করার জন্যই করতে হবে । এটি সকল প্রকার আমল কবুল হওয়ার মূল শর্ত । সুতরাং আল্লাহ ছাড়া অন্যকে খুশী করার জন্য আমল করা শির্ক । এতে কোন সন্দেহ নেই । আল্লাহ তাআলা বলনঃ وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে । (সূরা বায়্যেনাহঃ ৫)
এখন তাবলীগি ভাইদের কাছে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনারাই বলুন ফাযায়েলে আমাল বইয়ের ভূমিকার কথাটি যদি শির্ক না হয়, তাহলে এটি কোন পর্যায়ের কথা ? দয়া করে জানাবেন কি ?

০৩) “আবু আলি রোদবারি (রঃ) বলেন, ঈদের দিন একজন ফকির আসিয়া আমাকে বলিল যে এখানে কি কোন পরিস্কার জায়গা যেখানে একজন ফকির মরিতে পারে ? আমি ইহা বাজে কথা মনে করিয়া বলিলাম, ভিতরে এসে যেখানে এসে মর । সে ভিতরে আসিয়া ওযু করিয়া দুই রাকাত নামাজ পড়িল ও মারা গেল । আমি তাহার কাফন দাফনের ব্যবস্থা করার পরে দেখিবার জন্য কাফন হটাইয়া দেখিতেই সে চোখ খুলিয়া ফেলিল । আমি তাকে বলিলাম, মৃত্যুর পরেও জীবন ? সে বলিল আমি জীবিত ও আল্লাহর প্রত্যেক আশেকই জীবিত থাকেন । আমি তোমায় কাল কিয়ামতে স্বীয় প্রতিপত্তিতে সাহায্য করিব” । (ফাজায়েল সাদাকাত, ২য় খণ্ড, ২৮০ পৃষ্ঠা)

এখন দেখা যাক কুরআন কি বলে- আল্লাহ বলেন,
“… কেউ জানেনা আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানেনা কোন স্থানে সে মৃত্যুবরন করবে ।” (সূরা লুকমানঃ ৩৪)
এই আয়াতের ব্যখ্যায় নবী (সঃ) বলেন, “এগুলো গায়িবের কথা এবং এগুলো আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা ।” (সহিহ বুখারি)
আল্লাহ বলেন, “মৃতকে তো তুমি (নবী) কথা শুনাতে পারবে না” । (সূরা নামলঃ ৮৪)
তাহলে কিভাবে ঐ ব্যক্তি মৃত ফকিরকে প্রশ্ন করল এবং সে শুনল ?
আল্লাহ বলেছেন, “জীবিত ও মৃত কখনো সমান না” । (সুরা আল ফাতিরঃ ২২)
অর্থাৎ, কিন্তু গল্পে জীবিত ও মৃত- উভয়েই কথা বলছে অর্থাৎ উভয়েই সমান ।

০৪) বিষয় বস্তু (সংক্ষেপে লিখে দিলাম)ঃ- নামাযের হেফাজত করিলে পাঁচটি পুরুষ্কার লাভ করিবে ।
অর্থঃ একটি হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি এহ্‌তেমামের সহিত ও গুরুত্ব সহকারে নামায আদায় করিবে আল্লাহ তায়ালা তাহাকে পাঁচ প্রকারে সম্মানিত করিবে ।…………।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নামাজে শৈথিল্য প্রদর্শন করে, আল্লাহ পাক তাহাকে পনের প্রকার শাস্তি প্রদান করিবেন ।……………( ফাযায়িলে আমলের ফাযায়িলে নামায ৩৬ পৃঃ বাংলা অনুবাদ ৪৫ পৃঃ)
আমাদের ছিয়া সিত্তা সহ বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে যত হাদিস সংকলিত হয়েছে তাতে জ্ঞানীরা বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করে বলেছেন- মাকবূল (গ্রহণযোগ্য) হাদীছ যথা- ছহীহ ও হাসান এবং (মারদূদ) অগ্রহণযোগ্য হাদীছ যথা- যঈফ (দুর্বল) ও জাল (বানোয়াট) ।
আর যে হাদিস কোন হাদিস গ্রন্থে হুবহু পাওয়া যায় না জুড়াতালি দিয়ে মনগড়াভাবে লিখা হয় ঐ হাদিসটি কোন প্রকারের হতে পারে ??!!!
প্রশ্নঃ হদিসটি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না । হাদিসটি কোন গ্রন্থের পূর্ণাঙ্গ দলিল সহ জানাবেন ? (প্রয়োজনে আপনার জ্ঞানীদের সাহায্যে)

০৫) সালাতের ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে জনাব শায়খুল হাদীস সাহেব তার ফাযায়েলে আমালে লিখেছেন, উম্মে কলসুমের স্বামী আব্দুর রহমান অসুস্থ ছিলেন, একবার তিনি এমন অচেতন অবস্থায় পতিত হলেন যে, সকলেই তাকে মৃত বলে সাব্যস্ত করল, উম্মে কলসুম তাড়াতাড়ি নামাজে দাড়ালেন, নামাজ শেষ করা মাত্রই আব্দুর রহমান জ্ঞান লাভ করলেন, তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আমার অবস্থা কি মৃত্যুর অনরুপ হয়েছিল ? লোকজন বলল, জি হাঁ, তখন তিনি বললেন, আমি দেখলাম দু জন ফেরেশতা এসে বলল, চল আল্লাহর দরবারে তোমার ফয়সালা হবে, এই বলে তারা আমাকে নিয়ে যেতে উদ্যত হল, ইত্যবসরে তৃতীয় এক ফেরেশতা এসে তাদেরকে বাধা প্রদান করে বলল, তোমরা চলে যাও ইনি এমন এক ব্যাক্তি যিনি মাতৃগর্ভেই সৌভাগ্যবান বলে সাব্যস্ত হয়েছেন, তার সন্তান সন্ততিগণ আরও কিছুদিন তার কাছ থেকে অনুগ্রহ লাভের সুযোগ পাবে, তার পর তিনি আরো একমাস জীবিত ছিলেন (ফাযায়েলে নামাজ ৫৫)
মুহতারাম শায়েখ উক্ত ঘটনা উল্লেখ করার আগে বা পরে কোন রেফারেন্স উল্লেখ করেননি, জনাব শায়েখ উক্ত ঘটনার মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছেন, মানুষরাই শুধু ভুল করেনা বরং ফেরেশতা এবং আল্লাহ তায়ালাও ভুলের উদ্ধে নন, নাউযুবিল্লাহ, নইলে শায়খের দ্বারা এমন বর্ণনা কিভাবে লিখা সম্ভব হল যে, দুজন ফেরেশতা ঐ ব্যক্তির জান কবজ করার জন্য যখন উদ্যত হলেন তখন অপর ফেরেশতা এসে বাধা প্রধান করে তাকে মৃত্যু থেকে এক মাসের জন্য অব্যাহতি দিতে পারলেন, এ থেকে কি প্রমাণিত হয়না যে ,প্রথম দুজন ফেরেশতা ভুল করে এসেছিলেন তাহলে ব্যাপারটা কি আল্লাহ তায়ালার অগোচরেই ঘটেছিল, নাকি আল্লাহ তায়ালা প্রথমে ভুল করে পাঠিয়ে পরে সংশোধন করলেন অন্য ফেরেশতা দিয়ে, আর আজরাইল আ: ইবা ছিলেন কোথায়, মহান আল্লাহ তায়ালাও ভুলের উদ্ধে নন .এটাকি খৃষ্টানী আকিদার বীজ বপন নয়, সুপ্রিয় ভাইয়েরা : এ ব্যাপারে আপনাদের যথার্থ মন্তব্য দিয়ে সত্যান্বেষী মানুষকে সঠিক পথ দেখাবেন বলে আশা করি ।

০৬) ফাযায়িলে আমলের ফাযায়িলে রমাযান ২০ পৃঃ বাংলা অনুবাদ ৩০ পৃঃ দেখুন ।
প্রশ্নঃ ইফতারের দু’আটি কি হাদিসের মোতাবেক ? (দেখুন আবু দাউদ ১ম খন্ড ৩২২ পৃঃ; মারাসিলে আবু দাউদ ৮ম পৃঃ)

০৭) ফাযায়িলে আমলের ফাযায়িলে যিক্র ৩৬ পৃ বাংলা অনুবাদ ৫০ পৃঃ দেখুন ।
অর্থঃ রাছুলুল্লাহ (ছঃ) এরশাদ করেন, যদি কাহারও নিকট অনেক অনেক টাকা থাকে এবং সে উহা আল্লাহর রাস্তায় দান করে আর অপর এক ব্যক্তি শুধু আল্লাহর জিকির করিতে থাকে তবে জিকিরকারীই উত্তম ।
প্রশ্নঃ উক্ত হাদিসটি কি কুরআন ও সহীহ হাদিস বিরোধী নয় ?
দেখুন সুরা তাওবা আয়াত ২০ -ঃ যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর রাহে; নিজেদের মাল ও জান দিয়ে জেহাদ করেছে; তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহর কাছে আর তারাই সফলকাম ।

নবী প্রেমের বিভিন্ন কাহিনী শিরোনামে একটি অধ্যায় । যেখানে আল্লাহ বলেছেন কোরআন ও সহীহ হাদিস তাবলীগ করতে সেখানে তাবলীগ করা হইতেছে নবী প্রেমের কাহিনী । দেখেন কোন শিরক আছে কি না ?

০৮) শায়েখ আবুল খায়ের বলেন, একবার মদীনা মোনাওয়ারায় হাজির হইয়া পাঁচ দিন পর্যন্ত আমাকে উপবাস থাকতে হয় । খাওয়ার জন্য কিছুই না পেয়ে অবশেষে আমি হুজুর এবং শায়ইখানের কবরের মধ্যে সালাম পড়িয়া আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল । আমি আজ রাতে আপনার মেহমান হবো ।
এই কথা আরজ করে মিম্বর শরীফের নিকট গিয়ে আমি শুইয়া পড়লাম । স্বপ্নে দেখি, হুজুরে পাক (সাঃ) তাশরীফ এনেছেন । ডানে হযরত আবু বকর, বাম দিকে হজরত ওমর এবং সামনে হজরত আলী রাঃ । হযরত আলী রাঃ আমাকে ডেকে বলেন, এই দেখ, হুজুর সাঃ তাশরীফ এনেছেন । আমি উঠা মাত্রই মহানবী সাঃ আমাকে একটা রুটি দিলেন, আমি অর্ধেক খেয়ে ফেলি
তারপর যখন আমার চোখ খুলিল তখন আমার হাতে বাকী অর্ধেক ছিল (রুটি অবশিষ্টাংশ) । সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৬ পৃষ্ঠা ।
সম্মানিত মুসলিম ভাইগণ ! => আল্লাহকে ছেড়ে মৃতু্র পর নবীর রওজায় গিয়ে খাদ্যের প্রার্থনা করা স্পষ্ট শিরক নয় কি ?
=> মৃতুর পর নবী কবরে থেকেও খাওয়াতে পারেন এ আক্বিদাহ পোষন করা শিরক নয় কি ?
=> এই রকম শিরকী আকিদাহ কি মানুষকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়, নাকি জাহান্নামের দিকে ?
অথচ মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন, ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর । (সূরা হুদ-৬)

০৯) বিখ্যাত সূফী (?) ও বুজুর্গ হজরত শায়খ আহমদ রেফয়ী (রঃ) ৫৫৫ হিজরী সনে হজ্জ সমাপন করিয়া নবীজির রওজা জিয়ারতের জন্য মদিনায় হাজির হন । সেখানে তিনি নিম্নোক্ত রওজার সামনে দাঁড়াইয়া নিম্নোক্ত দুটি বয়াত পড়েন ।
"দূরে থাকা অবস্থায় আমি আমার রুহকে হুজুর সাঃ এর খেদমতে পাঠাইয়া দিতাম । সে (রুহ) আমার নায়েব হইয়া আস্তানা শরীফে চুম্বন করিত । আজ আমি শ্বশরীরে দরবারে হাজির হইয়াছি । কাজেই হুজুর আপন হস্ত বাড়াইয়া দেন যেন আমার ঠোট উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করে । বয়াত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে (??) কবর হইতে হাত মোবারক বাহির হইয়া আসে এবং হযরত রেফায়ী উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করেন । বলা হয় যে, সে সময় মসজিদে নববীতে ৯০ হাজার লোকের সমাগম ছিল । সকলেই বিদ্যুতের মতো হাত মোবারকের চমক দেখিতে পায় । তাহাদের মধ্যে মাহবুবে ছোবহানী আব্দুল কাদের জিলানীও ছিলেন । সূত্র: ফাজায়েলে হজ্জ-২৫৮ পৃষ্ঠা ২৩ তম নবী প্রেমের কাহিনী ।
নবীজি সাঃ কখনো আবু বকর (রাঃ) ওমর (রাঃ), ওসমান (রাঃ), আলী (রাঃ) এর জন্য হাত বাড়ালেন না । কখনো নবী পরবর্তী এত যুদ্ধ হাঙ্গামার সময় হাত বাড়ালেন না । আর কোন জায়গার কোন রেফায়ীর জন্য কবর থেকে হাত বাড়ান ।
=> আবার দেখেন রুহকে ইমেইলের মতো সেন্ড করে, প্রতিবারই নবীজি সাঃ কবর থেকে চুমা দেন ।
এই সব কাহিনী একমাত্র সূফীদেরই হয়ে থাকে যেমন দেওয়ানবাগীর ১৯৯৮ সালের সম্মেলনে নাকি স্বয়ং আল্লাহ ও রাসূল সাঃ দেওয়ান শরীফে এসেছেন । নাউজুবিল্লাহ ।
বুখারীর প্রথমে দিকের সহীহ হাদিস> যে নবীর নামে মিথ্যারোপ করে সে জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয় ।

১০) জনৈক বেদুঈন হুজুর (ছঃ) এর কবর শরীফের নিকট দাড়াইয়া আরজ করিল,
হে রব ! তুমি গোলাম আজাদ করার হুকুম করেছো । ইনি (নবী সাঃ) তোমার মাহবুব, আমি তোমার গোলাম । আপন মাহবুবের কবরের উপর আমি গোলামকে (জাহান্নামের) আগুন হইতে আজাদ করিয়া দাও । গায়েব হইতে আওয়াজ আসিল, তুমি একা নিজের জন্য কেন আজাদী (ক্ষমা) চাহিলে ? সমস্ত মানুষের জন্য কেন আজাদী চাহিলে না । আমি তোমাকে আগুন হইতে আজাদ করিয়া দিলাম । (সূত্র: ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৪ পৃষ্টার ১ম কাহিনী)
সম্মানিত জ্ঞানী মুসলিম ভাইগণ, রাসুলের মৃত্যুর পর তার মাজারে গিয়ে প্রার্থনা করা মাজার পূজারীদের সাদৃশ্য নয় কি ?
গায়েবী আওয়াজ শুনা তো নবুওয়াতের কাজ । ঐ বেদুঈন কি নবী ছিল যে গায়েবী আওয়াজ এলো " আমি তোমাদের আগুন থেকে আজাদ করিয়া দিলাম" ।
কোরআন থেকে আমরা জানতে পারি আল্লাহ শুধু মাত্র মুসা আঃ এর সাথে দুনিয়ায় জীবনে কথা বলতেন । এবং অন্য আয়াতে আছে মানুষের এমন কোন যোগ্যতা নাই যে সে আল্লাহর সাথে কথা বলবে । কিন্তু তাবলীগি নিসাব পড়লে বুঝা যায় আল্লাহ গায়েবীভাবে মানুষের সাথেও কথা বলেন ।
আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি না আল্লাহ নবীর পরে আমাদের সাথে কথা বলবেন । এই আক্বিদাহ একমাত্র দেওয়ানবাগী, সুরেশ্বরী, পীরগণ ও সূফীবাদিরাই রাখতে পারেন । কারণ তাদের হজ্জ করা লাগে না । কাবা এবং স্বয়ং আল্লাহ ও রাসুল তাদের বাসায় আসেন । নাউজুবিল্লাহ ।

১১) শায়েখ ইব্রাহিম এবনে শায়বান (রঃ) বলেন, আমি হজ্বের পর মদিনা পাকে পৌছাইয়া কবর শরীফে হাজির হইয়া হুজুর পাক সাঃ এর খেদমতে ছালাম আরজ করিলাম । উত্তরে হুজরা শরীফ হইতে ওয়ালাইকুমুস্সালাম শুনিতে পাই । সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্ব-পৃষ্ঠা-২৫৫ (৫ নং কাহিনী)
এই কাহিনী দিয়া এটাই বুঝাইতে চায় যে ইব্রাহিম এবনে শায়বান আল্লাহর অলী ছিল । তিনি পরকালে চলে গেছেন । অতএব এখন তোমাদের সামনে যারা আছে অর্থাৎ পীরগণ তাহাদের খেদমত কর । তাদের পুজা কর, সিজদা কর, ইবাদাতের না, সম্মানের সিজদাহ ।

১২) আল্লামা কাস্তালানী (রঃ) বলেন, আমি একবার এমন কঠিন রোগে আক্রান্ত হই যে, ডাক্তারগণ পর্যন্ত নিরাশ হইয়া যায় । অবশেষে আমি মক্কা শরীফ অবস্থানকালে হুজুর সাঃ এর উছিলায় দোয়া করিলাম । রাত্রি বেলায় আমি স্বপ্নে দেখি, এক ব্যক্তির হাতে একটি কাগজের টুকরা, তাহাতে লেখা রহিয়াছে, ইহা আহমাদ বিন কাস্তালানীর জন্য ওষুধ । হুজুরে পাক (সাঃ) এর তরফ থেকে তাহার নির্দেশে (?) ইহা দান করা হইয়াছে । আমি ঘুম হইতে জাগ্রত হইয়া দেখি আমার মধ্যে রোগের কোন চিহ্ন নাই ।
সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৫ পৃষ্ঠা (৬ নং কাহিনী)
=> মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম আঃ অসুস্থ হলে কি করেছিলেন আল্লাহ তায়ালা তা কুরআনে বর্ণনা করেন ।
আমি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি, তখন আল্লাহই আমাকে আরোগ্য দান করেন । (আশ শুয়ারা-৮০)
আইয়ুব আঃ অসুস্থ হয়ে প্রার্থনা করেনঃ "আর স্মরণ কর আইয়ুবের কথা যখন সে তার প্রতিপালকের আহ্বান করে বলেছিল, আমি দুঃখ কষ্টে পড়েছি, আর আপনি দয়াবানদের চেয়েও সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবাদ । (সূরা আল আম্বিয়া-৮৩)
=> আল্লাহ তাদের আরোগ্যতা দান করেছিলেন । আর এই কাহিনী বলে নবীজির নির্দেশে এই ওষুধ । তাহলে আল্লাহ কই ?
বিশ্বনবী সাঃ যখন কোন অসুস্থ লোককে দেখতে যেতেন তখন এই দুয়া পাঠ করতেনঃ
"হে মানবমন্ডলীর প্রতিপালক ! এই রোগ দূর করে দিন, আরোগ্য দান করুন । একমাত্র আপনিই আরোগ্য দানকারী । আপনার শিফা ব্যতিত আর কোন শিফা নেই । আপনার শিফা এমন যে কোন রোগকে ছাড়ে না । (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম মিশকাত হাঃ ১৫৩০, মুসলিমের দোয়া পৃঃ ১৩৪)
মৃত্যর পরও নবী সাঃ ডাক্তারী করেন, রোগী আরোগ্য করেন, স্বপ্নযোগে ফি ছাড়া ওষুধ পাঠান, এমন আক্বিদাহ কি মুসলিমরা রাখতে পারে ?

১৩) ছাবেত বিন আহমদ বলেন, তিনি একজন মোয়াজ্জেনকে মসজিদে নব্বীতে আজান দিতে দেখিয়াছিলেন । মোয়াজ্জেন যখন আচ্ছালাতু খায়রুম মিন্নাওম বলিল, তখন এক খাদেম আসিয়া তাঁহাকে একটি থাপ্পড় মারিল । মোয়াজ্জেন কাঁদিয়া উঠিয়া আরজ করিল, ইয়া রাসুলুল্লাহ, আপনার উপস্থিতিতে আমার সাথে এইরূপ হইতেছে ? (মানে বিচার দিল) সঙ্গে সঙ্গে সেই খাদেমের শরীর অবশ হইয়া গেল । লোকজন তাহাকে উঠাইয়া ঘরে লইয়া গেল এবং তিন দিন পর সে মরিয়া গেল ।
---------(ফাজায়েলে হজ্জ্ব ২৬২পৃ)
যখন নবীকে এ্যাড করা হইছে তখনই আমাদের মুসলিমদের সমস্যায় পরিণত হইছে । কারণ নবীর নামে মিথ্যা বলা বা বানিয়ে অবাস্তব কাহিনী বলা, কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কাহিনী বর্ণনা করা, আক্বিদা বিনষ্টকারী কাহিনী প্রচার করা মুসলিমরা কখনো মেনে নেয় না । এই কাহিনী নিশ্চিতভাবে কবরপূজারী, মাজারপূজারীদের কর্মকান্ডকে সমর্থন করে । এই কাহিনী নিশ্চিতভাবেই মুসলিমদের কবর পুজায় উৎসাহিত করে ।
হাদিসে এসেছে— عن أنس رضى الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : كنت نهيتكم عن زيارة القبور، ألا فزوروها فإنها ترق القلب وتدمع العين وتذكر الآخرة، ولا تقولوا هجرا ( صحيح الجامع رقم الحديث : ৪৫৮৪) আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে করিম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, হ্যাঁ এখন তোমরা কবর জিয়ারত করবে । কারণ কবর (১) জিয়ারত হৃদয়কে কোমল করে, (২) নয়নকে অশ্রু সিক্ত করে ও (৩) পরকালকে স্মরণ করিয়ে দেয় । তবে তোমরা শোক ও বেদনা প্রকাশ করতে সেখানে কিছু বলবে না । (সহিহুল জামে, হাদিস নং ৪৫৮৪)
=> নবী যেখানে বলছেন বেদনা প্রকাশ করতে কিছু বলবে না, সেখানে মহিলা গিয়ে বিচার দেয়, শরীর অবশ হয়, মারা যায় । চিন্তা করেন । এই কাহিনীরে কোন ক্যাটাগরিতে ফালামু বুঝতে পারছি না ।

১৪) ইউসুফ বিন আলী বলেন, জনৈক হাশেমী মেয়েলোক মাদীনায় বাস করিত । তাহার কয়েকজন খাদেম তাহাকে বড় কষ্ট দিত । সে হুজুরের দরবারে ফরিয়াদ লইয়া হাজির হইল (বিচার চাইতে হাজির) । রওজা শরীফ হইতে আওয়াজ আসিল, তোমার মধ্যে কি আমার আদর্শের প্রতি আনুগত্যের আগ্রহ নাই । তুমি ছবর কর যেমন আমি ছবর করিয়াছিলাম । মেয়েলোকটি বলেন, এই সান্তনাবাণী শুনিয়া আমার যাবতীয় দুঃখ মুছিয়া গেল । ঐদিকে বদ আখলাক খাদেমগুলো মরিয়া গেল ।
---------- (ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৯ পৃ)
সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা ! উল্লেখিত ঘটনাদ্বয় পড়ুন আর একটু ভেবে দেখুন, নাবী সাঃ ক্ববরে থেকেও মানুষের মুসিবত দূর করেন এবং বেয়াদবীর কারণে মানুষ মেরেও ফেলেন । জীবদ্দশায় নবী সাঃ কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন, দাঁত শহীদ হল, মাথায় হেলমেট ঢুকে গেল । তখনতো নবী সাঃ এভাবে কাফিরদের মেরে ফেলতে পারতেন । কিন্তু তাতো করলেন না । কিন্তু মরার পরে এ জাতীয় ক্ষমতায় বিশ্বাস তো মাজার ভক্তরা করে থাকে । যা বিবেকেরও পরিপন্থী । যার সাধারণ জ্ঞান আছে সেও কি এ জাতীয় বিশ্বাস করতে পারে ?
=> সাহাবারা কখনো কবর থেকে বিপদের ফায়সালা পেল না, আর সাধারণ খাদেম রা গিয়ে বিপদের কথা বললেই শুধু গায়েবী আওয়াজ আসে । এই ধরণের আক্বিদাহ একমাত্র সূফীবাদীদেরই হয়ে থাকে । এমদাদউল্ল্যাহ মক্কী, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী সহ উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ মোটামুটি সবাই ছিলেন সূফীবাদী । তাই তাদেরও দোষ দেওয়া যায় না । কারণ সূফীরা মিথ্যা বলে না, মিথ্যা অটোমেটিক তাদের মুখ দিয়ে বের হয় ।
মাত্র একটা উত্তর দেন, বিপদ থেকে উদ্ধারকারী নবী সাঃ না আল্লাহ ?
সূরা ফাতিহা-৪ নং আয়াতে আমরা বলি, আমরা তোমারই ইবাদাত করি, তোমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি ।
কিন্তু এখানে কবরবাসীর নিকট সাহায্য চাওয়া হচ্ছে । অদৃশ্য বা গায়েবের নিকট কিছু চাইতে হলে সেটা একমাত্র আল্লাহর নিকটই চাইতে হবে । হ্যা এমনে পৃথিবীতে আমরা জীবিত মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে পারি । কিন্তু """গায়েবী ভাবে সাহায্য""" একমাত্র আল্লাহর নিকটই চাইতে হবে । আরো পড়ুন সূরা বাকারাহ-১৬০, আনআম-১৭-১৮, আরাফ-৩৭, ১২৮, ১৯৭ ।
=> আল্লাহকে বাদ দিয়ে নবীকে বিপদ থেকে রক্ষাকারী, গায়েবী সাহায্যকারী হিসেবে নির্ধারণ করা কি শিরক ? নাকি সওয়াব ?

১৫) শায়েখ আহমেদ বলেন, আমি তের মাস পর্যন্ত ময়দানে, জঙ্গলে ঘুরিতে ফিরিতে থাকি । উহাতে আমার চামড়া পর্যন্ত খসিয়া যায় । অবশেষে হুজুর ও শায়খাইনের খেদমতে সালাম করিতে যাই । রাত্রি বেলায় স্বপ্নে হুজুর সাঃ আমাকে বলেন, আহমদ তুমি আসিয়াছ ? আমি বলিলাম, হুজুর আমি আসিয়াছি । আমি বড় ক্ষুদার্ত, আমি হুজুরের মেহমান । হুজুর বলিলেন, দুই হাত খুল । আমি দুই হাত খুলিলে দেরহাম দিয়া দুইহাত ভরিয়া দিলেন । জাগ্রত হইয়া দেখি আমার হাত দেরহাম দিয়া ভর্তি । আমি উহা দ্বারা কিছু খাইয়া আবার জঙ্গলে ফিরিয়া আসিলাম ।-----ফাযায়েলে হজ্জ-২৬২ পৃঃ
ভাইয়েরা, উপরোল্লিখিত ঘটনা কি এ শিক্ষা দেয় । শিক্ষা দেয় সব জায়গা থেকে ফিরিয়া গেলেও অলী আল্লাহগণের কবর থেকে ফিরার চান্স চাই । শায়খ আহমদ কাজ কাম না কইরা জঙ্গলে জঙ্গলে মোরাকাবা করে ঘুরে বেড়াইছে । পরে নবীর কবরে যেয়ে দেরহাম নিয়া আসছে । তাহলে যারা বলে নিচের কথাগুলো তাদের কি দোষ,
কেউ ফিরে না খালি হাতে, খাজার বাবার দরবার হতে
আল্লাহর ধন রাসূলকে দিয়ে, আল্লাহ গেছেন খালি হয়ে
ভাগ্যভাল নবীর সময় ফ্লেক্সীলোড ছিল না । থাকলে এটা নিয়াও কাহিনী শুরু করত যে নবী তার মোবাইলে ৫০০ রিচার্জ করছে, হের মোবাইলে ১০০০ রিচার্জ করছে ।

রাসুল বলেছেন, “নেতা, উপনেতা বা দাম্ভিক ধোঁকাবাজ লোক ছাড়া আর কেউ কিচ্ছা কাহিনী বর্ণনা করেনা” । (আবু দাউদঃ ৩৬২৪)

(১ম পর্ব চলবে ২য় পর্যন্ত)

৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিঝুম মজুমদার: সত্যের পক্ষে এক নির্ভীক কণ্ঠ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

নিঝুম মজুমদার: সত্যের পক্ষে এক নির্ভীক কণ্ঠ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যত দ্রুত বদলাচ্ছে, তত দ্রুতই বদলে যাচ্ছে সত্যের রূপ—কেউ লুকিয়ে ফেলতে চায়, কেউ বিকৃত করে, কেউ আবার নিজের স্বার্থে তা ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামাজিক আলাপ

লিখেছেন শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০১

সেদিন দেখলাম নায়িকা বুবলি কোন এক প্রোগ্রামে জ্ঞান দিচ্ছেন কিভাবে সংসার করতে হয়, কিভাবে সঠিক লাইফ পার্টনার চয়েজ করতে হয়। অথচ তার নিজের লাইফ পার্টনার চয়েজ, সংসার কোন কিছুরই ঠিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুলকে ১৩ বছর পুর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭



সামুর সুসময়ের আদর্শ ব্লগারদের মাঝে মাঈনউদ্দিন মইনুল হচ্ছেন একজন খুবই আধুনিক মনের ব্লগার; তিনি এখনো ব্লগে আছেন, পড়েন, কমেন্ট করেন, কম লেখেন। গত সপ্তাহে উনার ব্লগিং;এর ১৩ বছর পুর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিয়তির খেলায়: ইউনুস ও এনসিপিনামা

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৪



২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান চলচ্চিত্র 'আনব্রোকেন' একটি সত্যি ঘটনার ওপর নির্মিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, আমেরিকান বোমারু বিমানের কিছু ক্রু একটি মিশন পরিচালনা করার সময় জাপানিজ যুদ্ধ বিমানের আঘাতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাষ্ট্রপতি হিসাবে ড. ইউনুসের বিকল্প বাংলাদেশে নেই !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৪


রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাহেবের মন ভালো নেই। জুলাই আন্দোলনের পর থেকে তিনি রীতিমতো কোণঠাসা! শেখ হাসিনা ভারতে প্রস্থানের পূর্বে তাকে জানিয়ে যান নি। শেখ হাসিনা চুপ্পু সাহেবকে উনার দুরবস্থার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×