somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাফর ইকবাল স্যারের সাথে কথোপকথনঃকিছু অদ্ভুত উপলব্ধি -২

০৬ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৬ মার্চ সকালে সার্ভেয়ীং প্র্যাকটিকেলের এক ফাঁকে ক্যাফেটেরিয়ার দিকে যাচ্ছিলাম সৌভাগ্যক্রমে দেখলাম স্যার গাড়ি থেকে নেমে অডিটোরিয়ামের সেমিনার রুম এর দিকে যাচ্ছে আমিও পিছু পিছু স্যার স্যার করে গিয়ে বললাম “স্যার আপনার সাথে গতকাল কথা হয়েছিল,কথা শেষ করতে পারিনাই” দু মিনিটের মত কথা হল।স্যার সেমিনারে চলে গেলেন।আবার সাড়ে বারোটার দিকে আমি সার্ভেয়ীং শেষ করে আবার অডিটোরিয়ামের দিকে গেলাম।অডিটোরিয়ামে ঢুকে আধা মিনিটের মত বসলাম দেখলাম স্যার সামনের কাতার হতে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অডিটোরিয়ামের বাইরে গেল আমিও স্যারের পিছু পিছু গেলাম।অডিটোরিয়ামে সামনে রেলিংয়ের মত বসার জায়গাটাতে স্যারের সাথে বসলাম।আরো কিছুক্ষন কথা হল।এভাবে ঐ দিন দুই দফা স্যারের সাথে কথা হল।

প্রথম লেখাটার মত পুরো কনভারসেশনটা ওভাবে লেখা সম্ভব নয় কারন স্যারের সাথে দুই দফা কথা হয়, আরেক সমস্যা হচ্ছে দ্বিতীয় দফায় একের পর এক স্যারের ভক্তরা এসে তার সাথে ছবি তোলা এবং অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।একথা বলে নিই স্যারের সাথে যখন তার ছেলে ও মেয়ে ভক্তরা ছবি তোলা শুরু করে আমি স্যারের পাশেই বসে ছিলাম।কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলাম।উঠে চলে যেতেও পারছিলাম না কারন স্যারের সাথে আমার কথা চলছিল।তো যা বলছিলাম আজ লেখাটায় স্যারকে যে সকল প্রশ্ন করেছিলাম সেগুলো তুলে ধরব সাথে সাথে আমি কি বলেছিলাম সেটাও বলার চেষ্টা করব।

স্যারের সাথে এ কনভারসেশনে স্যারকে আমি একটা অনুরোধ করেছিলাম। স্ট্রিং থিউরির উপর স্যারের একটা বই লেখা দরকার।স্যারকে আমি জানালাম “স্যার,আমি আপেক্ষিকতা নিয়ে আপনার বইটা পড়েছি।এবং এত সহজ ভাষায় আপেক্ষিকতা বুঝানো হয়েছে যা সত্যিই অসাধারন ছিল”,কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে স্যারের লেখা বইটা যদিও সময়ের অভাবে এখনো পড়তে পারিনি।একবার নিউ মার্কেটে গিয়ে দরদাম ও করেছিলাম।কিন্তু পরে সামনে পরীক্ষা না কি চিন্তা করে আর কেনা হয়নি।শুনেছি সেটাতেও কোয়ান্টাম মেকানিক্স খুবভাবে উপস্থাপন করেছেন।

স্যার বললেন আমার বই “একটুখানি বিজ্ঞানে স্ট্রিং থিউরীর বিষয়টা কিছুটা এসেছে”।
আমি স্যারকে জানালাম স্যার ঐ বইটা আমি পড়েছি।ওখানে খুব একটা বিষয় আসেনি,আমি চাই E=mc*c এর মত একটা বই।
স্যার সম্মতিসূচক জবাব দিয়েছিলেন।
স্যারের সাথে দ্বিতীয় দফায় যখন কথা বলছিলাম তখন স্যারের মায়ের ফোন এসেছিল।স্যারের মা সম্ভবত ঢাকায় থাকেন।স্যারের মায়ের সাথে স্যারের কথা বলার ধরনটা আমার ভাল লেগেছে।

-স্যারকে আমি প্রশ্ন করলাম স্যার পৃথিবীতে এত এত ধর্ম এত এত মতবাদ কোনটা ঠিক?
উত্তরে স্যার বললেন, “দেখ,আমার বাবা একটা কথা বলেছিলেন একটা বৃত্তের কেন্দ্রে অবস্থান করছেন স্রষ্টা,বিভিন্ন জন বিভিন্ন অংশ থেকে এক কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছে।একেকজন একেকভাবে স্রষ্টাকে পেতে চাচ্ছে।হিন্দুরা তাদের মত করে,খ্রিস্টানরা তাদের মত করে আর মুসলিমরা তাদের মত করে।যে যার মত করছে”

আমি বললাম “সব কি একসাথে ঠিক হতে পারে”?আপনি জিনিসটা বৃত্ত দিয়ে ব্যাখ্যা করলেন আমি যদি বিন্দু দিয়ে ব্যাখ্যা করি তাহলে বিষয়টা এমন “দুইটা বিন্দুর মধ্যে কেবলমাত্র একটাই সরলরেখা থাকবে,বাকী যত রকমের রেখা হতে পারে সবই বক্ররেখা।এখন মানুষকে যদি একটা বিন্দু আর স্রষ্টাকে যদি একটা বিন্দু ধরি তাহলে তাদের মধ্যে সোজা পথ,সরল পথ একটাই থাকবে,বাকীগুলো বক্রপথ”

সেটা তোমার চিন্তা।

আর ধর্মগুলোর শিক্ষাও তো অনেকক্ষেত্রে একটা আরেকটার সাথে সাংঘর্ষিক।ইসলামের অনেককিছু হিন্দু ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক।তাহলে সব একসাথে কিভাবে ঠিক হবে?
-যে যেভাবে দেখে বিষয়টা।

স্যার আরো বললেন, “দেখ, কোরানের ৫৪ নাম্বার পারায় না কোন পারায় যেন আছে -বড় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলে আল্লাহ ছোট গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন”
-স্যার কোরআনের পারা সংখ্যাই তো ৩০ (এটা মে বি স্যরের স্লিপ অব টাং ছিল।অবশ্য এরকম বেসিক ভুল নরমালি স্লিপ অব টাং হবার কথা না কারন এর আগের দিনই স্যার বলেছিলেন আমি তোমার চেয়ে কোরআন বেশি পড়েছি।তারপরো আমি পজিটিভলি চিন্তা করতেই পছন্দ করি আর এটাকে স্লিপ অব টাং হিসেবেই ধরে নিচ্ছি)

আর আপনি যে আয়াতটি বললেন সেটা আমার জানামতে সূরা নজমের আয়াত।আর এটা কোরআনের ৫৩ নং সূরা।(তখন অবশ্য মাথায় আয়াতটাও ঘুরছিল।৩১ অথবা ৩২ নং আয়াত।রুমে এসে দেখি আয়াতটা ৩২ নং। )

স্যারঃহতে পারে।তুমি আমার চেয়ে ভাল জানবা।
আমিঃকিন্তু স্যার কোনটা বড় গুনাহ আর কোনটা ছোট গুনাহ সেটা কিভাবে নির্ধারিত হবে?

স্যর উত্তরে বললেন “বিবেক,আমার বিবেকই আমাকে বলবে কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিক নয়,যেমন মানুষ হত্যা খারাপ এটা সবাই এক কথায় বলবে।কিন্তু বোরকা সহ ইত্যাদি বিষয়ে মানুষকে চাপিয়ে দেয়ার কোন মানেই হয়না।(আজ আমি মোটেই বোরকার বিষয়টাতে আর যেতে চাইনি কারন গতকালের কথোপকথনে তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার।তারপরো বুঝলামনা স্যার এ বিষয়টা কেন নিয়ে আসলেন পাশেই স্যারের এক ভক্ত আপু দাঁড়িয়ে ছিলেন তার সাথে কথা বলার জন্য। বোরকার বিষয়টা আসার সাথে সাথে তার ঠোঁটের কোনায় একটা হাসি লক্ষ্য করলাম।কারন স্যার এটা বলেই তার দিকে তাকালেন।পরে আপুটার সাথে স্যারের কনভারসেশনের সময় আমি পাশেই বসা ছিলাম।জানতে পারলাম তার নাম পূজা।সেমিনারে তার থিসিসের উপর একটা প্রেজেন্টেশান ছিল।)

আপুটা স্যারের সাথে অনেকক্ষন কথা বলল আর আমাকে স্যারের সাথে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা থেকে কিছুক্ষন বঞ্চিত করে রাখল।আপুটার সাথে স্যারের আলোচনায় দুইটা পয়েন্ট তুলেনা ধরলেই নয়।

আপু বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েও সিলেক্ট হননি বিষয়টা স্যারকে জানানোর সাথে সাথে স্যার একটা সুন্দর কমেন্ট করলেন

“এখন তো সব জায়গায় DNA test করে চাকরিতে নেয়।নিজের দলের হইলেই কেবল এ টেস্টে উন্নীত হওয়া যায়”।

কথার এক পর্যায়ে স্যার আপুকে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে আর কি করা হয় জানতে চাইলে আপু জানালেন তিনি ডান্স করেন।

স্যার বললেন “তাই নাকি?আজকের প্রোগ্রামে একটা পারফর্ম করতে পারতে।ফিজিক্সের সাথে সাথে আমরা একটু আনন্দও পেতাম”।
(বুঝলাম, স্যার অনেক মুক্তমনা আর রসিক মানুষ।অবশ্য এর প্রমান আমরা আগেও পেয়েছি।শাহাজালাল ভার্সিটিতে যতদূর মনে পড়ে মেয়েদের হলের কোন প্রোগ্রামে তিনি “নো এনট্রি” গানের সাথে নেচেছিলেন।জনৈক লেখক এ বিষয়ে বলতে গিয়ে লিখেছিলেন “বাংলাদেশের মানুষ এখনো অনেক ব্যাকডেটেড।কোন স্বনামধন্য লেখক মেয়ের বয়সী যুবতীদের সাথে নাহয় তাহার নিতম্ব একটু দুলালোয় এতে এত হৈ চৈ করার কি আছে?মৌলবাদীতে দেশটা ভরে গেছে”।)

যা বলছিলাম স্যার সবকিছু এভাবে বিবেকের উপর ছেড়ে দিলেন কেন বুঝলামনা।যা আজকাল মুক্তমনা নাস্তিকদের মুখেই বেশি শোনা যায়। বিবেক কিছু চিন্তা ও বিশ্বাসের উপর নির্মিত হয়।যদি বিবেকের কোন রেফারেন্স ফ্রেম না থাকে তাহলে তা শয়তান দ্বারাই অনেকক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত হয়। সবচেয়ে আজব লেগেছে তিনি কোরআন দিয়ে সেটা ব্যাখ্যা করতে চাইলেন। এনিওয়ে ওনার বিশ্বাস নিয়ে কোন মন্তব্য আমি করতে চাচ্ছিনা।

কথার এক প্রসংগে স্যার কোরআনের বিভিন্নরকম ব্যাখ্যা নিয়েও কথা বলতে চেষ্টা করলেন।তিনি বললেন “কোরআনে মদ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত দুটো আয়াত আছে,আর বিভিন্ন জন এটাকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেন”।

আমি স্যারকে জানালাম স্যার মদ তিন স্টেপে নিষিদ্ধ হয়।সুরা বাকারার ২১৯,সুরা নিসার ৪৩ আর সূরা মায়িদার ৯০।( মদের বিষয়টা নিয়ে এত বেশিবার পাবলিকের সাথে ডিল করতে হয়েছে যে আয়াতগুলো পুরো মুখস্ত ছিল)

আমি স্যারকে জানালাম “স্যার এখন পর্যন্ত যত তাফসীর বা যত জায়গায় বিষয়টা পড়েছি আমি একটাই কারণ জেনেছি। একটাই ব্যাখ্যা জেনেছি”।

স্যা্রের সাথে বিবর্তনবাদ নিয়েও অল্প স্বল্প কথা হল।স্যারের কথানুযায়ী বেশিরভাগ বিজ্ঞানী এটাতে একমত।আমি স্যারকে জানালাম আমিও আপনাকে প্রচুর বিজ্ঞানীর নাম বলতে পারি যারা বিবর্তনবাদকে স্বীকার করেননি।উদাহরন হিসেবে জিনোম প্রজেক্টের প্রধান ফ্রান্সিস কলিন্সের নাম বললাম।

স্যার বললেন “দেখ,যারা এটার বিরোধী তারা হয় মৌলবাদী খ্রীস্টান নাহয় মুসলমান” ( আমি বুঝলাম না এটা কোন ধরনের যুক্তি হল? আমি কি বিবর্তনবাদকে এ বলে উড়িয়ে দেব যারা এটা নিয়ে কথা বলে তারা নাস্তিক।এটা কোন যুক্তি না।বিজ্ঞানে আদৌ এটার পক্ষে বিপক্ষে কেমন ডাটা এসেছে সেটাই মুখ্য বিষয়)

স্যার বিজ্ঞানের সাথে ধর্মকে মিলানোর বিরোধী।আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম স্যার বিজ্ঞানের কোন কিছু যদি ধর্মের বিরোধী হয় তখন আমি কি করব?
স্যার বললেন “সেখানে আমাকে বুঝতে হবে হয় ধর্ম সেখানে রুপক কিছু বুঝিয়েছে।নয়তো আগামীতে হয়ত প্রমানিত হবে”(কিন্তু বিজ্ঞান এখন যেটা বলে সেটা ভুল হতে পারে সেটা কেন যেন তিনি কখনো বলতে চাইছেননা।এমনকি ইভ্যুলশন থিউরীকেও ধর্মকে পাশ কাটিয়ে মেনে নিচ্ছেন।এখানে বিজ্ঞানের নামে যা চালানো হচ্ছে তা বিশ্বাস করার জন্য তিনি ধর্মের জিনিসটাকে রুপক ধরে নিচ্ছেন।তারমানে আল্টিমেটলি বিজ্ঞানই তার কাছে সব,আমি যতদূর বুঝলাম।)

স্যার, ধর্মের অনেক জিনিস পরিবেশের প্রেক্ষিতে পরিবর্তন করতে হবে সে ধারনায় বিশ্বাসী । তারমতে দাসপ্রথা আগে ছিল কিন্তু আধুনিক সভ্য সমাজে এর কোন অস্তিত্ব নেই।অতএব ধর্মের এ জিনিসটি এখন আর কার্যকর নয়।
(স্যারের বক্তব্যের প্রথম অংশের সাথে আমি একমত। ইসলামের মৌলিক কোন পরিবর্তন হবেনা।যা দেয়া আছে ঠিক তাই থাকতে হবে।তবে যুগের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক বিষয় আসবে যা মহানবী (সঃ) এর সময় ছিলনা সেক্ষেত্রে বিদগ্ধ আলেমরা ডিসাইড করবেন কি করনীয়।একে ইজতিহাদ বলে।কিন্তু উদাহরন হিসেবে দাসপ্রথাকে টেনে আনা অজ্ঞতাপ্রসূত বক্তব্য ছাড়া আর কিছুই নয়।দাসপ্রথা কি ইসলামের কোন করনীয় বিষয়?ইসলাম দাসপ্রথাকে উচ্ছেদে সবরকম কর্মসূচী গ্রহন করেছিল কিন্তু সময়ের প্রেক্ষিত বিবেচনা করে সরাসরি এটাকে হারাম ঘোষনা করেনি। একদিন জনৈক নাস্তিক আমাকে প্রশ্ন করল “ ভাই ,মহানবী (সঃ) যদি এতই দাসপ্রথা উচ্ছেদ চাইতেন তাহলে তিনি বিদায় হজ্জের ভাষনে বললেননা কেন “আজ থেকে বিশ্বে কোন দাসপ্রথা থাকবেনা”।

মহানবী (সঃ) এর ভাষন খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনার ভাষন নয় যে কেউ লিখে দেবে আর দেখে দেখে বলবে।যে এরকম প্রশ্ন করে সে কি ভাবে, মহানবী (সঃ) তার চিন্তা অনুযায়ী ভাষন দেবেন? এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী হয়ে এসেছে।আর আল্লাহ কেন একবারে মদ হারাম করলেননা বা দাসপ্রথা কেন চিরতরে হারাম বললেননা এটা জানার জন্য মুহাম্মদ কুতুবের “ভ্রান্তির বেড়াজালে ইসলাম” বইখানি পড়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি। এ স্বল্প পরিসরে এসবের ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব নয়।)

স্যারের আরো কিছু বিষয় আছে যা তিনি বলেছিলেন যা এ স্বল্প পরিসরে আলোচনা করব না। অন্য কোন আর্টিকেলে আলোচনার আশা রাখছি।ইনশা আল্লাহ।যেমন স্যার মহানবী (সঃ) কে পুরোপুরি সঠিক এবং ১০০% অনুসরনীয় বলে মনে করেননা।তিনি মনে করেন মহানবী (সঃ) কিছু ভুল করেছেন যা দু একটা উদাহরন ও তিনি দেয়ার চেষ্টা করেছেন।অতি দুঃখনের সাথে জানাচ্ছি তার জ্ঞান পশ্চিমা লেখকদের থেকেই ধার করা ।তিনি সরাসরি কোরআন বা হাদীস পড়ে এমন কথা বলছেননা।এবিষয়গুলো অন্য কোন নোটে আলোচনা করার চেষ্টা করব।যদি আল্লাহ তৌফিক দেন।

চলে যাওয়ার আগে স্যারকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম স্যার আপনি তো কোরআনের আয়াত ব্যবহার করলেন আপনার বক্তব্যের দৃঢ়তার জন্য।আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করি-সুরা আলে ইমরানে আছে”আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহনযোগ্য জীবনব্যবস্থা ইসলাম”,আপনি যে সবকিছুকে ঠিক বলছেন এ আয়াতের ব্যাখ্যা আপনি কিভাবে করবেন?

স্যার জবাবে বললেন “তাহলে দেখতে হবে সেখানে আদৌ ইসলাম বলতে কি বুঝানো হয়েছে”?
(আমি বুঝলাম না নবী (সঃ) ,সাহাবী,তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীরাসহ বিদগ্ধ আলেমরা তাহলে কোরআন অধ্যয়ন করে কি বুঝলেন?)

পরিশেষে বলতে চাই,এ অধমকে স্যার তার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য তাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।জুমার নামাযের সময় হয়ে গিয়েছিল বলে স্যারের কাছে থেকে বিদায়ের প্রাক্কালে তিনি আমাকে শাহজালাল ভার্সিটি যাওয়ার জন্য বললেন।এবং বিজ্ঞান ধর্ম এবং ফিলোসফির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তার সাথে কথা বলে সত্যিই ভাল কিছু অভিজ্ঞতা লাভ করেছি যা আমার আগামী দাওয়াতী জীবনে কাজে লাগবে, ইনশা আল্লাহ।আর আমি স্যারের কথা হুবহু (অনেক ক্ষেত্রে নিজের ভাষায়) লেখার চেষ্টা করেছি।দুএকজায়গায় হয়ত নিজের অজ্ঞাতে ভুল হয়ে যেতে পারে।এজন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।



আল্লাহ হাফেজ.
সংগ্রহঃMuZahid Rasel (ফেসবুক হতে)
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×