বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ এবারের বিশ্বকাপ দলে অলোক কাপালিকে রাখার পক্ষপাতি। এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, কাপালি এ মৌসুমে দারুণ টাচে রয়েছেন। নিজের পছন্দের দলের ছয় নম্বর স্থানটিও তিনি অলোকের জন্য বরাদ্দ রেখেছেন।
প্রথম আলো অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় সব দলেই ব্যাটিংয়ের ছয় নম্বর স্থানে এমন ব্যাটসম্যানরা খেলেন, যাঁরা পরিস্থিতি অনুযায়ী এক-দুই নিয়ে রানের চাকা সচল রাখতে পারেন, আবার প্রয়োজনে ব্যাট হাঁকিয়েও খেলতে পারেন। অলোক কাপালি হচ্ছে সে ধরনেরই একজন ব্যাটসম্যান, যাকে এই নির্দিষ্ট দায়িত্বটি নিশ্চিন্তে দেওয়া যায়।’ খালেদ মাসুদ পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের চিরন্তর দুর্বলতার কথা বিবেচনা করে দলে অলোক কাপালির প্রয়োজনীয়তাও ব্যাখ্যা করেন
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মাসুদ। ’৯৯-এ এই দেশের প্রথম বিশ্বকাপ দলেরও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৫ সালে শারজাহতে এশিয়া কাপে ওয়ানডে অভিষেক হওয়ার পর এ দেশের ক্রিকেটকে অনেক কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। ঘরের মাঠে খেলা হওয়ার কারণে দলটার ওপর প্রচণ্ড চাপ থাকলেও এই দলের পক্ষে সেই চাপ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেন, দলের খেলোয়াড়েরা যদি ফোকাসড হয়, পরিশ্রম করে, তাহলে বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে কোয়ালিফাই করাটা খুবই বাস্তবসম্মত চিন্তা।
নিজে উইকেটরক্ষক বলেই দলের আর দশটা খেলোয়াড়ের চেয়ে মুশফিকুর রহিমকে তিনি একটু আলাদাভাবেই লক্ষ করেন। তাঁর মতে, মুশফিকের ব্যাটিং ক্ষমতাকে বাংলাদেশ ঠিকমতো ব্যবহার করছে না। তিনি ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে মুশফিকের ম্যাচ-জয়ী ইনিংসটি স্মরণ করে বলেন, ওকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরের দিকে খেলালে ওর কাছ থেকে ও রকম আরও ইনিংস বাংলাদেশ উপহার হিসেবে পেতে পারে। তিনি নির্বাচক হলে মুশফিককে সব সময়ই চার নম্বরে খেলাতেন বলে জানান।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তিনি আশরাফুল ও শাহরিয়ার নাফীসকে একই জায়গার জন্য চিন্তা করেন। তিনি বলেন, এ দুজনকেই স্কোয়াডে রাখা উচিত। তবে একাদশে খেলবেন যেকোনো একজন। আশরাফুলকে তিনি সব সময় তিন নম্বর স্থানের জন্যই উপযুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে অভিহিত করেন। শাহরিয়ার নাফীসও এ স্থানেরই খেলোয়াড়।
মাশরাফিকে ছাড়া বাংলাদেশের পেস বোলিং দুর্বল হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর মতে, মাশরাফি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই ফিট হয়ে যাবে। তাই তাঁকে বিশ্বকাপ দলেও রাখতে হবে। তবে মাশরাফিকে একটু সাবধানে ব্যবহার করার অনুরোধ জানান তিনি। তাঁর মতে, মাশরাফির ব্যাকআপ হিসেবে রুবেল হোসেন নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শফিউল নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই বিশ্বকাপ দলে নিজের স্থান নিশ্চিত করেছেন।
খালেদ মাসুদ প্রথম আলো অনলাইনকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বকাপ একাদশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি বারবারই মনে করিয়ে দিয়েছেন, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দের একাদশ। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচকদের চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে এ একাদশ মিলে গেলে তা হবে নিতান্তই কাকতালীয় একটি ব্যাপার।
খালেদ মাসুদের একাদশ—১. তামিম ইকবাল, ২. ইমরুল কায়েস, ৩. মো. আশরাফুল/শাহরিয়ার নাফীস, ৪. মুশফিকুর রহিম, ৫. সাকিব আল হাসান, ৬. অলোক কাপালি, ৭. মাহমুদউল্লাহ, ৮. নাঈম ইসলাম, ৯. আবদুর রাজ্জাক, ১০. মাশরাফি বিন মুর্তজা/রুবেল হোসেন ও ১১. শফিউল ইসলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




