প্রাইভেট কম্পানীতে চাকরী
স্বর্গের দরজায় তিনজন লোক দাড়িয়ে আছে।
ঈশ্বরের অলৌকিক বজ্রকন্ঠ ভেসে এলো ‘ তোমাদের মধ্য থেকে কেবল একজন ভেতরে আসতে পারবে’
১ম ব্যক্তি: আমি ধর্মপূজারী। সারা জীবন আপনার গুনগান করেছি, আপনার
কথা মেনে চলেছি, স্বর্গে ঢোকার অধিকার আমার সবচেয়ে বেশী।
ঈশ্বর নিশ্চুপ।
২য় ব্যক্তি: আমি সমাজ সেবক, সারা জীবন আপনার সৃষ্টির সেবা করছি, তাদের দুঃখ
দুর করেছি, স্বর্গে ঢোকার অধিকার আমারই বেশী।
ঈশ্বর নিশ্চুপ।
৩য় ব্যক্তি: আমি সারা জীবন একটা প্রাইভেট কম্পানীতে চাকরী……….. ‘থাম’
ঈশ্বরের ধরা গলার আর্তনাদ ভেসে এলো ‘ আর একটা শব্দও বলবি না….আমারে কান্দাবি নাকি পাগলা…আয় ভেতরে আয়…. তোর সারা জীবন বসের ঝাড়ি খাওয়া, প্রমোশন না হওয়া, বছর শেষে বেতন না বাড়া, অফিস পলিটিক্স সামলানো, বিনা পয়সায় ওভারটাইম, রাত করে বাড়ি ফেরা, বাসে ঝুলে আসা যাওয়ার কষ্ট, উইকইন্ডে বাসায় কাজ করা, পরিবারকে সময় না দেওয়া, সংসার চালানোর কষ্ট…..কয়টা বলবো…সেন্টিমেন্টাল করে দিলি রে পাগলা……আয় ভেতরে…!!
আমার কি পাপ হয়েছে?
এক ইউরোপিয় লোক একদিন চার্চে এক ফাদারের কাছে এসে বললো—“ফাদার, আজ হতে সত্তর-পঁচাত্তর বছর আগের কথা…দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে । এক লোক জার্মান নাৎসী বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে আমার বাসায় লুকাতে চাইলো । আমি তাকে চিলেকোঠায় লুকাতে দিলাম ঠিকই তবে যুদ্ধের দুর্দিনের কথা ভেবে কিছু অর্থ উপার্জনের চিন্তাও করলাম…অর্থাৎ লোকটার আশ্রয়ের বদলে মাসে মাসে টাকা নিতে লাগলাম…লোকটাও উপায় না দেখে রাজি হয়েছিলো । আজ অ্যাতো বছর পর আমার সেই কথা মনে পড়লো । আমার কি পাপ হয়েছে? আমি কি পাপী? প্লিজ বলুন ফাদার ।”
ফাদার বললো—“মাই চাইল্ড, তখন যুদ্ধাবস্থা চলছিলো…সবাই বিপদে ছিলো, কাজেই ঐ অবস্থায় কিছু টাকা কামানো এমন কোনো পাপ বলে আমার মনে হয় না । তোমার পাপ হয়নি বাছা ।
”লোক–“আহ্ !!! আপনি আমায় বাঁচালেন ফাদার, আমার মনের ভার হাল্কা হয়ে গেলো । আমি যাই ।”
চলে গিয়ে একটুপর লোকটা আবার ফিরে আসলো ।
ফাদার বললো—“এখন কি চাও মাই চাইল্ড?”
লোকটা বললো—“ইয়ে মানে…ফাদার, আমি কি এখন চিলেকোঠায় গিয়ে লোকটাকে বলে দেবো যে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে?”
মাইক
চলন্ত প্লেন এ ঘোষনা দেওয়ার পর পাইলট মাইক
অফ করতে ভুলে যায়্।
একটু পর পাইলট তার কো-পাইলট
কে বলতেছেঃ আমি এখোন কফি খাবো,
কফি খেয়ে এয়ার হোস্টেস কে “kiss” করবো।
মাইক এ এটা সবাই শুনতে পারলো, এয়ার হোস্টেস
সেটা শুনে মাইক অফ করার জন্য দৌড় দিলো।
কিন্তু
দৌড়াতে যেয়ে হোচট খেয়ে পড়ে গেলো।
তখন পাশের এক লোক বলতেছেঃ আরেহ মেয়ে ,
এতো অস্থির হইয়ো না, পাইলোট এর
কফি খাইতে এখোনো দেরি আছে..