১৯৫২ সালে আমরা যতটুকু ঘৃণা করতাম
উর্দুতে কথা বলতে
“এক কুত্তা মাটিমে লেটা হেয়”
২০১৩ তে ঠিক তার
চেয়ে বেশী ভালবাসি হিন্দিতে কথা বল
আমরা নির্লজ্জের মত দীর্ঘ দীর্ঘ
স্ট্যাটাস মারি হিন্দিতে ...
হিন্দি গানকে ভালবাসি জাতিয়
সঙ্গীতের চেয়েও বেশি ...
“কিউ কি তুম হি হো”
মুসলিম দেশে চলে অমুসলিমদের কাপড়ের
রাজত্ব ...
বাংলাদেশের
মেয়েরা কি পরবে তা ঠিক করে দেয়
ইন্ডিয়ান ডিজাইনাররা ...
পার্টি , বিয়ে , জন্মদিন ,
কিংবা সুন্নতে খাৎনার
অনুষ্ঠানে চলে অশ্লীল সব হিন্দি গান
যা বাংলায় অনুবাদ করলে লজ্জায়
মাথা নিচু হয়ে যায় ...
মুসলিম
মেয়েরা শিখে নিয়েছে কিভাবে ধর্মীয়
রীতিনীতি কে সেকেল বলতে হয় আর
যুদ্ধে নামতে হয় নিজ ধর্মের বিরুদ্ধে ...
নারী জাগরণের নামে চলছে নারীর
পোশাক খুলে ফেলা ...
‘নারীকে তৈরি করা হচ্ছে ডিজিটাল
ভোগের বস্তু”
“এখন নারীকে জোর করে ধর্ষণ
করতে হয়না , নারী নিজেই
এসে বলে আমাকে শেষ করে দাও”
এখন আর কোন নারীর শরীর
দেখতে লুকিয়ে লুকিয়ে তার গোছল
খানার ছিদ্র দিয়ে উকি দিতে হয়না ...
টিভি চালু করলেই হয়...
“নারী সাবান ডলতে ডলতে নিজেই
বলে – লাক্স”
‘একটুখানি বডিস্প্রে দিলেই ব্রা-
পেন্টি পরা মেয়েরা ঝাঁপিয়ে পরে শরীর
উপর”
এগুলা বাংলাদেশি চ্যানেলে দেখায়
না ... দেখায় ইন্ডিয়ান চ্যানেলে ...
সপরিবারে এখন
আমরা শিলাকি জাওয়ানি দেখি ......
একটু অস্বাভাবিক ভাবে নিলে কিন্তু
ভাই বলে দিচ্ছি আপনি ক্ষেত হুম !
এভাবে চলতে থাকলে অদূর
ভবিষ্যতে আরেকটা ভাষা আন্দোলন
হতে পারে ...
সেটা বাংলার জন্যে নয় ,
বাংলাদেশে হিন্দি প্রতিষ্ঠা করবার
জন্যে ...
আজ ভাষা শহীদরা জীবিত
থাকলে হয়তো লজ্জায় ঘৃণায়
আত্মহত্যা করতো ...