মেক্সিকোর লস কাবোসে এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হলো জি-২০ সম্মেলন। সম্মেলনের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে এখন গোটা বিশ্বে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে, বিতর্ক হবে—বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সাফল্য-ব্যর্থতা নয়, সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে বিশ্বনেতারা যে হোটেলে ছিলেন, সবার আগে বিতর্ক শুরু হয়েছে সেটা নিয়ে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে যৌন-কামনা উদ্রেক করে এমন হোটেলে থেকেছেন বিশ্বনেতারা। হোটেলটি সম্মেলনস্থল থেকে মাত্র কয়েক শ গজ দূরে। এখানে পোশাক পরা বাধ্যতামূলক নয়। আগত অতিথিদের সঙ্গী বা অন্যদের সঙ্গে ইচ্ছামতো ফুর্তি করতে উত্সাহ দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। আরেকটি তথ্য জেনে রাখুন। কেউ চাইলেই এই হোটেলে থাকতে পারেন না। এখানে সঙ্গী নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক!
খবরে বলা হয়, বিশ্বনেতাদের উপস্থিতির কারণে হোটেলের চারপাশে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। বাড়তি নিরাপত্তা থাকায় সুবিধাটা একটু বেশিই হয়েছিল সবার! অনেকটা অবকাশ যাপনের মতো আনন্দ-ফুর্তি করেন অতিথিরা।
হোটেলের ১৯ বছর বয়সী অভ্যর্থনা কর্মী ঝাক্সিরি রয়টার্সকে জানান, বাইরে কড়া নিরাপত্তা থাকায় অতিথিরা নিজেকে আরও নিরাপদ মনে করেছিলেন।
ঝাক্সিরি বলেন, এখানে প্রথম রাতে নেতারা সবাই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন। দ্বিতীয় রাতে সঙ্গীদের সঙ্গে মিলিত হন তাঁরা। তৃতীয় বা চতুর্থ রাতে জামা-কাপড় খুলে সুইমিং পুলে নামতে শুরু করেন তাঁরা। এরই মধ্যে নতুন পরিবেশের সঙ্গে বেশ ভালো খাপ খাইয়ে নিয়েছেন সবাই।
এবারের সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল ঋণ-সংকট কমিয়ে আনা ও বিশ্ব অর্থনীতি সবল অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। সম্মেলনে বিশ্বনেতারা ইউরো জোনে ঋণ-সংকট কাটাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইউরোপের প্রতি আহ্বান জানান বিশ্বনেতারা। ইউরো জোনের এই সংকটকে ‘বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একক বড় ঝুঁকি’ বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।
১৮-১৯ জুন অনুষ্ঠিত এই জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার, বিশ্বব্যাংকের প্রধান রবার্ট জোয়েলিক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিএ) প্রধান প্যাসকেল লেমি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হোসে ম্যানুয়েল বারোসার মতো বিশ্বনেতারা অংশ নেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




