শাহাবাগে যখন আন্দোলন শুরু হল , প্রথম দুই দিন শাহাবাগের আন্দলনের প্রতিটি খবর খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে ও শুনতে শুরু করলাম ,জানার এবং বোঝার চেষ্টা করলাম , তৃতীয় দিন আর নিজেকে আঁটকে রাখতে পারলামনা, মতিঝিলের অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তা জ্যাম থাকার কারনে হাঁটতে হাঁটতে সোজা শাহাবাগ মোড়ে, রাত দশটা পর্যন্ত ছিলাম , যতক্ষণ ছিলাম রক্ত টগবগ করছিল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের দিন গুলোর শ্লোগানে । ( তোমার আমার ঠিকানা , পদ্মা মেঘনা যমুনা । আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ ) গর্বে বুকটা ফুলে উঠেছিল ।
আমার মোহ ভাঙল পঞ্চম দিনে যখন মঞ্চে দেখলাম, ছাত্র নামের এক রাজনৈতিক দলের সমাগম, এটাতো তাদের মঞ্চ নয় এখানে তারা কেন ? নানা প্রশ্ন মনে জাগতে লাগলো , তাদের এই মঞ্চে উঠতে দেয়া হল কেন ? ডাল ম্যা কুছ কালা হ্য ।
শুক্রবারে রাত ৮টা দিকে শুনলাম শাহবাগের আন্দোলনের সময় পুনঃ নির্ধারণ করা হয়েছে , পরিবর্তিত সময় সূচী বিকাল ৩ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত , ব্লগে বসে দেখলাম রাজীব ( থাবা বাবা ) নামের এক ব্লগার বাড়ির সামনে খুন , নড়েচড়ে বসতে হল। এ আরেক সন্দেহ
যারা আমার লেখাটি পড়ছেন, তারা একবার চিন্তা করে দেখুন কেন এই সময় রাজীব কে হত্যা করা হল ? কারা করল ? কেনই বা আজকে আন্দোলন শিথিল করার ঘোষণা দেয়া হল ? রাজিবের (থাবা বাবা ) লেখনি ধরন কেমন ছিল ?
জামাত যখন চারদিক দিয়ে কোন ঠাসা দেশের বেশির ভাগ মানুষ যখন জামাতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তখন আরেকটা অঘটন ঘটাবে বলে কি আপনার মনে হয় ? তারা কি এতই মূর্খ ?
রাজিবের ( থাবা বাবা ) লেখনি ধরন ছিল চরম নাস্তিকের, আর সেটাই হল তার মৃত্যুর মূল হাতিয়ার , কারন তাকে হত্যা করা হলে স্বাভাবিক ভাবেই সকল দোষ পরবে জামাত শিবিরের উপর , তাতে তরুন যুবক সমাজ আরও ক্ষেপে যাবে জামাত শিবিরের উপর , আর উত্তেজিত তরুন এবং যুব সমাজের আবেগকে পুঁজি করে ঘৃণ্য রাজনৈতিক সিদ্ধি হাসিলের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




