ইতিবাচক মানসিকতা পোষণ ও আনন্দে থাকলে দীর্ঘায়ু হওয়া যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। শুধু মানুষ নয়, অন্যান্য প্রাণীদের জন্যও এ কথা প্রযোজ্য বলে দাবি করছেন তারা।
১৬০টির বেশি গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার 'অ্যাপ্লাইড সাইকোলজি : হেলথ অ্যান্ড ওয়েল-বিইং' জার্নাল এ তথ্য প্রকাশ করে।
গবেষণাটিতে আটটি ভিন্ন ধরনের ১৬০টিরও বেশি গবেষণা ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা হয়। এগুলোতে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের ওপর দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা চালানো হয়।
এতে দেখা গেছে, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হলে ও আনন্দে সময় কাটালে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং দীর্ঘায়ু হওয়া যায়। এমনকি অতিরিক্ত স্থূলতার কারণে আয়ু কমে যাওয়ার সম্ভাবনার চেয়েও এর সম্ভাবনা বেশি।
গবেষণাটিতে নেতৃত্বদানকারী ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েসের প্রফেসর এমিরেটাস এড ডাইনার বলেন, বিভিন্ন সময়ে করা গবেষণাগুলোর ফলাফলের ধারাবাহিকতা দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। দু'একটি ছাড়া বেশিরভাগ গবেষণার ফলাফলই বলে দেয়, আনন্দে থাকার সঙ্গে দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের সম্পর্ক গভীর।
গবেষণাগুলোতে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। এর ফলাফলে দেখা যায়, নেতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা কম বয়সে মারা গেছেন।
গবেষণাগারেও দেখা গেছে, ইতিবাচক মনোভাব শরীরের হরমোন নিঃসরণে তারতম্য ঘটায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ থেকেও রক্ষা করে।
বিভিন্ন প্রাণীর উপর গবেষণায় দেখা যায়, যেসব প্রাণী খাঁচা বা অন্য কোনো আবদ্ধ জায়গায়, নিরানন্দ পরিবেশে থাকে তারা খোলা জায়গায় থাকা প্রাণীদের চেয়ে কম বাঁচে।
Source: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/কিউএইচ/সিআর/১৪০০ঘ.