somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নীলিমা যেখানে মিশেছে নীলে: বান্দরবানের গহীনে - পর্ব ৩

৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নীলিমা যেখানে মিশেছে নীলে: বান্দরবানের গহীনে - পর্ব ১

নীলিমা যেখানে মিশেছে নীলে: বান্দরবানের গহীনে - পর্ব ২

নীলিমা যেখানে মিশেছে নীলে: বান্দরবানের গহীনে - ছবি ব্লগ

কেওক্রাডং বিজয়

২৩ এপ্রিল, ২০১১। ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙ্গে গেল। সারা শরীরে ব্যাথা। গতকালের রুমা টু বগা পর্যন্ত ট্র্যাকিংয়ের ধকল এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তারপরেও মনকে বোঝালাম যে, কেওক্রাডংয়ের এত কাছে এসে না দেখে ফিরে যাবার কোন মানে নেই।

সিয়াম দিদির দেয়া খিচুড়ি আর ডিম ভাজি খেয়েই তিন অভিযাত্রী অর্থাৎ তৌফিক, সালেহ এবং আমি সকাল ৬.৩০ মিনিটে বের হয়ে পড়লাম কেওক্রাডং জয় করার উদ্দেশ্যে। সাথে অবশ্যই রয়েছে আমাদের অভিজ্ঞ গাইড জামাল।

সিয়াম দিদির বাড়ি

সিয়াম দিদি ও তার ছেলে সূর্য

কেওক্রাডং যাবার রাস্তা

কেওক্রাডং যাবার প্রায় পুরো রাস্তাটাই ওপরে ওঠা। আমাদের হাতে সময় একদমই কম। কারণ আজকে রাতের মধ্যেই বান্দরবান পৌঁছে রাতের বাস ধরে ২৪ তারিখ ভোরে ঢাকা পৌঁছতে হবে। তাই সবাই দ্রুত পা চালালাম। বগা থেকে কেওক্রাডং পর্যন্ত চান্দের গাড়ি ভাগ্যে থাকলে মিলতেও পারে। কিন্তু গাড়ির ভরসা না করে আমরা পায়ে হেঁটেই রওনা দিলাম।

তৌফিক এবং সালেহ ট্র্যাকিং করছে

কেওক্রাডং-এর রাস্তা

প্রায় ঘন্টাখানেক চলার পর চিংড়ী ঝর্ণায় এলাম। ঝর্ণার পানিতে মুখ ধুয়ে পানি খেয়েই আবার শুরু হলো পথ চলা। পাহাড়ের সরু রাস্তা দিয়ে পায়ে চলা পথে উঠতে লাগলাম আমরা অভিযাত্রীরা। সামনে এগিয়ে চলা জামাল হঠাৎ চিৎকার করে উঠলো। অভিযাত্রীরা আমরা দৌড়ে তার কাছে গিয়ে দেখি প্রায় আড়াই হাত লম্বা একটা সবুজ রঙের পাহাড়ী বিষাক্ত সাপকে সে লাঠির বাড়ি দিয়ে মারার চেষ্টা করছে। জামাল জানালো, পাহাড়ীরা এটাকে পেলে রান্না করে নাকি খেয়ে ফেলবে। কি সাংঘাতিক ব্যাপার!

সাপ হাতে বীরোচিত জামাল

ট্র্যাকিং করতে করতে পাহাড়ের অনেক উপরে উঠে গেলাম আমরা। হঠাৎ দেখি গতকালের সেই পাগল লোকটা রাস্তার পাশেই একটা উঁচু জায়গাতে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। পরনে ময়লা নোংরা কাপড়, মুখ ভর্তি দাড়ি। জিজ্ঞেস করলেও কোন কথার উত্তর দিচ্ছেনা। সঙ্গে থাকা বিস্কুটের একটা প্যাকেট ছিঁড়ে তার সামনে রেখে দিল জামাল। আমরা আবার এগুলাম।

গতকালের সেই পাগল লোকটি

পথে দেখা হয়ে গেল কেওক্রাডং পাহাড়ের মালিক লালা সাহেব এর সাথে। তার সাথে কিছু ছবি তুলে আবার হাঁটা শুরু করলাম। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে দার্জিলিং পাড়া পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম আমরা। পথ যেন আর শেষই হয়না।

কেওক্রাডং পাহাড়ের মালিক লালা সাহেবের সাথে তোলা ছবি

সামনেই দার্জিলিং পাড়া

অবশেষে বেলা ঠিক নয়টা বেজে ত্রিশ মিনিটে আমি প্রথম পা রাখলাম কেওক্রাডং-এর চূড়ায়। তারপর একে একে তৌফিক, সালেহ আর জামাল এলো। চূড়ার ওপরে একটা যাত্রী ছাউনীর উপরে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশের পতাকা পত পত করে উড়ছে। পাশেই ছনের একটা ছোট ঘরের কাঠের পাটাতনের ওপরে টি-শার্টটা খুলে শুয়ে পড়লাম। চারিদিকে বাতাস আর বাতাস। ঠাণ্ডা বাতাসে শরীরটা জুড়িয়ে গেল। কেওক্রাডং পাহাড়ে ঠিক ওঠার আগেই একটা ছোট দোকান আছে। ওখান থেকে পাহাড়ী পেঁপে আর বিস্কুট খেয়ে নিলাম।

কেওক্রাডং-এর চূড়ায়

এবার ফেরার পালা। বৃষ্টির আশঙ্কা করছিলাম আমরা। দেখলাম সত্যিই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। জামাল বললো তাড়াতাড়ি পা চালাতে। তা নাহলে বগাতে গিয়ে গাড়ি ধরতে পারবোনা। ফেরার পথে কমপক্ষে চারটা জায়গা খুব ভয়ঙ্কর রকম খারাপ রাস্তা। জামাল সাহায্য করলো পার হতে ওগুলো।

বেলা ঠিক একটায় বগাতে ঢুকলাম আমরা। শুনলাম, যে গাড়িটি আমাদেরকে নিতে এসেছে, সেটি বগা পর্যন্ত না উঠে নিচে অপেক্ষা করছে। পড়িমরি করে ব্যাকপ্যাক পিঠে ঝুলিয়েই বগার উপর থেকে পাহাড় বেয়ে নামতে শুরু করলাম। এমনিতেই ক্লান্ত শরীর, তার উপর দুর্গম পাহাড়ী রাস্তা বেয়ে নামতে হচ্ছে।

দুপুর দু'’টায় বগালেকের নিচ থেকে আমাদের রিজার্ভ চান্দের গাড়ি ছাড়লো রুমার উদ্দেশ্যে। ঝাঁকি খেতে খেতে রুমা বাজারে পৌঁছালাম ৩.৩০ এর দিকে। রুমা বাজার থেকে ১ নং ঘাট পর্যন্ত লাইনের নৌকাটি ২.৩০ মিনিটে ছেড়ে চলে গিয়েছে। নৌকা রিজার্ভ করে যাওয়া যায়। কিন্তু দুশ্চিন্তায় পড়লাম যদি ১ নং ঘাটে গিয়ে বান্দরবানের কোন গাড়ি না পাই, আবার রুমাতেই ফিরে আসতে হবে। এদিকে তৌফিক একটু অসুস্থ বোধ করছে। অগত্যা লাইনম্যান বক্করের সাথে বান্দরবান যাবার ডাইরেক্ট রিজার্ভ গাড়ির ব্যাপারে কথা বলতে হলো। বক্কর জানালো, ল্যাণ্ড-ক্রুজার একটা ভালো গাড়ি আছে যেটা আমাদেরকে রোয়াংছড়ি হয়ে বান্দরবান শহর পর্যন্ত নামিয়ে দিয়ে আসবে। ভাড়া ৪০০০ টাকা, সময় লাগবে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা। সাথে সাথেই রাজী হয়ে গেলাম।

লাঞ্চ সেরে রওনা দিতে দিতে প্রায় পৌনে চারটা বেজে গেল। জিপ-এর সামনে আমি, পিছে সালেহ আর তৌফিক। চালক মো: জাহিদ। বয়স তার ১৮। রোয়াংছড়ির পাহাড়ী দুর্গম রাস্তায় দক্ষ হাতে চালিয়ে সে সন্ধ্যা ৭ টায় আমাদের নামিয়ে দিল বান্দরবান শহরে। একটা কথা না বলে পারছিনা। রোয়াংছড়ির এই অবিশ্বাস্য রকমের খাড়া উঁচু দুর্গম পাহাড়ী রাস্তা দেখে আমার মনে হয়েছে, দার্জিলিং, কালিমপং কিংবা সিকিমে দেখা পাহাড়ী রাস্তা গুলো এর কাছে কিছুই না।

রোয়াংছড়ির রাস্তা

রাত সাড়ে নয়টার বাসে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে।

শেষের কথা:
মাঝে মাঝে আফসোস হয়। ভাবি, দেশের জন্যেতো কিছু করতে পারলামনা। তাই বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ানোর কাহিনীগুলো নিজ লেখার মাধ্যমে এ দেশকে, এ দেশের অপার সৌন্দর্যকে সবার সামনে তুলে ধরার এই ক্ষীণ প্রচেষ্টা আমার। মনে দুর্বার একটা আশা, মুষ্টিমেয় দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর অপূর্ব এই সবুজ সুন্দর দেশটি একদিন না একদিন পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবেই।

আশা করছি, সময় এবং সুযোগ হলে আপনারা অবশ্যই যাবেন বগালেকের অপরূপ সৌন্দর্য দু'চোখ ভরে দেখতে। দুর্গম পাহাড়ের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো আমাদের শহুরে মানুষদের মতো কৃত্রিম নয়। বরং তাদের নি:শর্ত সহযোগীতা আর নির্ভেজাল আতিথেয়তা মুগ্ধ করবে আমার মতো আপনাদেরকেও।

নিচের নম্বরগুলো টুকে নিন:
১. ফোর স্টার হোটেল (বান্দরবান): ০৩-৬২৪৬৬, ০১৫৫৩ ৪২১০৮৯, ০১৮১৩ ২৭৮ ৭৩১
২. হোটেল হিলবার্ড (বান্দরবান): ০১৮২৩ ৩৪৬৩৮২
৩. হোটেল পূর্বাণী (বান্দরবান): ০১৫৫৮ ৬৪২ ৭৪৩
৪. রয়্যাল হোটেল (বান্দরবান): ০৩৬১ ৬২৯২৬
৫. হিলসাইড রিসোর্ট (বান্দরবান): ০১৭৩০০৪৫০৮৩ বুকিং, ঢাকা অফিস, ০১৭১১২৯৮০০০ (খোকন সাহেব, মালিক)
** সাকুরা রিসোর্ট: বুকিং-এর জন্যে যোগাযোগ করুন: জনাব কামরুল, ০১১৯৫০১৭১৯১
৬. হোটেল ঢাকা (বান্দরবান শহরে খাবার ভাল দোকান): ০৩৬১ ৬৩৩৫৪, ০১৫৫৬ ৫৩৪ ০৯১, ০১৫৫৩ ৪০২ ১৮৯
৭. হেটেল হিলটন (রুমা): ০১৮২৩ ৯২২ ৬৯১
৮. আল মামুন হোটেল (রুমাতে খাবার ভাল দোকান): ০১৫৫২ ৩৫৮৭৮৩, ০১৫৫২ ৩৮৫১৫৬
৯. সিয়াম দিদির রিসোর্ট (বগা লেক): ০১৫৫৩ ১০৮ ৫২৭, ০১৮৪০ ১৫৮ ৭৫৭
১০. গাইড জামাল (রুমা): ০১৫৫৩ ৭৪৮ ৫১১, ০১৮২৩ ৯৬৮ ৮৫০
১১. জনাব বক্কর (রুমাতে চান্দের গাড়ির লাইন ম্যান): ০১৫৫৩ ১০৩ ৪৫৪
১২. বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি হয়ে রুমা যাওয়ার জন্য রিজার্ভ ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির ড্রাইভার মো: জাহিদ: ০১৮৪০ ১৫৮ ৭৬৪
১৩. শ্যামলী বাস কাউন্টার (সায়েদাবাদ): ৭৫৪০৯৯৩, ৭৫৪০৯৯১, ৭৫৫০০৭১, ৭৫৪১০১৯

সাথে নিয়ে যেতে ভুলবেন না:
১. ওডোমোস (গুলশান-১ মার্কেটে বড় সাইজ ক্রিমের দাম ৯০ টাকা)
২. মোজা
৩. গামছা
৪. ক্যাপ
৫. রেইনকোট (বসুন্ধরাসিটির লেভেল-২ তে অথবা বাংলামোটর মোড়ে ৮৫০ টাকা করে)
৬. লবণ
৭. ইমার্জেন্সি ওষুধ (যেমন: নাপা এক্সট্রা, পেইন কিলার ডাইকোফেনাক, স্যাভলন, তুলা, গজ, বমির ওষুধ, হেক্সিসল ইত্যাদি)
৮. চুইংগাম
৯. পানির খালি বোতল

না বলা কথা:
১. বান্দরবানের রুমা বাস কাউন্টার থেকে কাইক্ষংঝিরি হয়ে ১ নং ঘাট পর্যন্ত প্রতি এক ঘন্টা পর পর বাস ছাড়ে।
২. এক নং ঘাট থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে প্রতি দেড় ঘন্টা পর পর বাস ছাড়ে।
৩. এক নং ঘাট থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে প্রথম বাস সকাল ৮.৩০ মিনিটে এবং শেষ বাস ছাড়ে বেলা ৩.৩০ মিনিটে।
৪. রুমা বাজার থেকে এক নং ঘাটের উদ্দেশ্যে এবং এক নং ঘাট থেকে রুমা বাজারের উদ্দেশ্যে শেষ লাইনের নৌকা ছাড়ে ২.৩০ মিনিটে।
৫. এক নং ঘাট থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে শেষ বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৮০ টাকা। কিন্তু বাস অনেক দেরি করে বান্দরবান পৌঁছায় এবং ভিড় অনেক বেশি হয়।
৬. রুমা বাজার থেকে রিজুক ঝর্ণাতে যাওয়া-আসার জন্যে রিজার্ভ নৌকা ভাড়া ৭০০ টাকা। যাবার সময় দুই ঘন্টা, আসার সময় সোয়া এক ঘন্টার মতো লাগবে।
৭. বর্ষার সময় রুমা বাজার থেকে রিজুক ঝর্ণাতে যাওয়া-আসার জন্যে রিজার্ভ ট্রলার ১৫০০ টাকা। যাওয়া-আসার মিলিয়ে দুই ঘন্টার কিছু কম লাগবে।
৮. রুমা বাজারে বাংলা লিংক এবং এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক পেলাম না। বাকী গুলো ঠিক মতোই আছে।
৯. রুমাবাজারে এবং বগালেকে পৌঁছে এবং ফেরার পথে দুইবার আর্মি ক্যাম্পে স্বশরীরে গিয়ে নাম, ঠিকানা এন্ট্রি করতে হয়। ফিরে আসার পথে আবার এন্ট্রিকৃত নাম কাটাতে হয়। এ ব্যাপারে গাইড সহায়তা করবে।
১০. রুমা থেকে বগালেক-কেওক্রাডং ছাড়া আরও যেসকল দর্শনীয় স্থান রয়েছে: পুকুর পাড়া, তিনমুখ পাহাড়, তাজিংডং, শাখাহাফলং ইত্যাদি।
১১. মনে রাখতে হবে, পাহাড়ীদের আধা ঘন্টার রাস্তা মানে সেটা আমাদের কমপক্ষে ১ ঘন্টা।
১২. বগা লেকের ওপরে ওঠার রাস্তা খুব বেশি মাত্রায় বিপজ্জনক বলে মাত্র ৩/৪ টা গাড়ি উঠতে পারে। বাকি গুলো বগালেকের নিচে অপক্ষা করে। বগালেকের ওপর থেকে চান্দের গাড়িতে ওঠার জন্য পাহড়ের ওপর থেকে নিচে পায়ে হেঁটে নামতেও কমপক্ষে ৩০-৪০ মিনিট লেগে যাবে।
১৩. রুমাবাজার থেকে বগালেক পর্যন্ত রিজার্ভ চান্দের গাড়ি ভাড়া ২০০০ টাকা। আর শেয়ারেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ভাড়া ৭০-১০০ টাকা করে।
১৪. বর্ষাতে বেশি বৃষ্টি হলে রুমা বাজার থেকে বগালেক পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। পায়ে হেঁটেও চলাচল করা তখন বিপজ্জনক।
১৫. রুমা এবং বগালেকে বর্ষাকালে জোঁক এবং ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি।
১৬. রুমা বাজারে থাকার জন্য একটাই মোটামুটি মানের হোটেল আছে। নাম 'হোটেল হিলটন', যার ২০১, ২০২, ২০৭ এবং ২০৮ নম্বর রুম অপক্ষাকৃত ভালো।
১৭. রুমাতে মারমা এবং বম উপজাতি বেশি।
১৮. ধূমপায়ীরা স্থানীয় তামাক পাতার তৈরি মোটা চুরুটের স্বাদ নিতে পারেন। আর গাইডের সহযোগীতায় ’'চু’' বা 'দো-চোয়ানী' চেখে দেখতে পারেন একবার।
১৯. রুমা থেকে হাঁটা পথে বগা লেকের দূরত্ব প্রায় ১৮ কি.মি.। বান্দরবান থেকে কাই্যংঝিরি হয়ে রুমার দূরত্ব প্রায় ৪৪ কি.মি.। রুমা থেকে রোয়াংছড়ি হয়ে বান্দরবানের দূরত্ব প্রায় ২৫ কি.মি.।
২০. রুমা বাজারে সিটিসেল, বাংলালিংক এবং এয়ারটেল-এর কোন নেটওয়ার্ক পেলাম না। গ্রামীণফোন এবং রবি পেয়েছি। বগালেকের ওপরে গ্রামীণের নেটওয়ার্কের অবস্থা খারাপ। একমাত্র রবি-ই ভরসা।
২১. রুমা বাজার থেকে বগালেকের উদ্দেশ্যে ট্র্যাকিং শুরুর আগে আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করা ছাড়াও ওইদিন ভোর বেলাতে স্থানীয় থানাতেও আমাদের নাম ঠিকানা জানাতে হয়েছে।
২২. চার রাত তিন দিনের এই ট্যুরে তিন জনের জনপ্রতি ৫৫০০ টাকা করে খরচ হয়েছে।
২৩. শ্যামলীর নাইট কোচের সিটগুলো আরামদায়ক। কিন্তু চালকের বেপরোয়া চালনা দেখে মনে হয়েছে ভিডিও গেইম NFS-2 খেলা দেখছি।
২৪. সার্বিক সহযোগীতার জন্য বান্দরবানের ডা: উথ্যান কে আমাদের তরফ থেকে ধন্যবাদ।
২৫. ছবিগুলো সালেহ এর সৌজন্যে। ওর নাইকন ক্যামেরাটা বেশ কাজে দিয়েছে। ব্যাক্তি বিশেষের কনট্যাক্ট নম্বর এবং ছবিগুলো তাদের অনুমতি সাপেক্ষে দেয়া হলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×