somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নরসিংদী রেল ট্রাজেটি -ঘটনার অন্তরালে

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছুদিন আগে স্বরন কালের ভয়াভহ রেল ট্রাজেটি ঘটে গেল নরসিংদীতে কিন্তু এই ঘটনার অন্তরালে এত কিছু অমানবিক যাহা আমার ভাবতেই খারাপ লাগে। ঘটনার দিন থেকেই সকল প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক অবস্থান নেয় আমার অফিসে। সকল নিউজ ডেলিভারী হয় আমার অফিস থেকে। এমনিতেই নরসিংদীতে বিভিন্ন সংবাদ কর্মীদের আইটি সহায়তা দেয়ার দৃষ্টান্ত আছে আমার। আর এ রকম বৃহত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমার অফিসের অবদান থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আপনারা যদি বিভিন্ন পত্রিকা পড়ে থাকেন তবে অবশ্যই জেনে থাকবেন মৃতের সংখ্যা। এত বড় একটা দুর্ঘটনা অথচ মৃতের সংখ্যা নরসিংদী ডিসি অফিস থেকে বলা হচ্ছে মাত্র সাত জন লোক মারা গেল। অথচ প্রত্যক্ষদর্শী সবাই বলছে আমরা অন্তত একশত লোকের লাশ দেখেছি। দুইটি ইঞ্জিন ছাড়াও চারটি বগি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চারটি বগিতে কম করেও ৭০০/৮০০ যাত্রী ছিল। আর মারা গেল মাত্র ৭ জন। এটা কি আদতে সম্ভব। ঠিক আছে মানলাম মাত্র সাত জন মারা গেল তাহলে যাদের স্বজন নিখোজ আছে তারা লাশের জন্য ঘোরাঘোরি করছে তাদের লাশ কই। প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত ১০০/১৫০ জন সবাই কি ভূল দেখেছে। আমি ঘটনার পাচঁ মিনিটের মধ্য তিন জন ক্যামেরা ম্যান পাঠাই ঘটনাস্থলে। সবাই বলল কম করে হলেও ১০০ লাশ দেখলাম। সাথে বাজারের দোকানদার তারাও কি ভূল দেখল। প্রথম অবস্থায় শুনলাম মৃতের সংখ্যা ১০/১৫/২০/২৫/৩০ এভাবে বাড়তে থাকল কিন্তু রাত ৭/৮টার দিকে আর্মি এসেই ১৪৪ ধারা জারি করে জনসাধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল। তারপর থেকেই লাশের সংখ্যা কমতে থাকল। আমি এটাই বুঝিনা লাশের সংখ্যা কম হলেই কি সুবিধা আর বেশী হলে কি অসুবিধা।পরে শুনলাম এটা নাকি সরকারের জন্য বিব্রতকর হতে পারে। আর লাশ যত বাড়তে ক্ষতিপূরন দিতে হবে। তাই লাশের সংখ্যা কম হলে একটু সুবিধা আছে বৈকি। কিন্তু ব্যাপারটা কতটুকু অমানবিক যে আমার ভাই মারা গেল আমরা তার চেহারাও দেখতে পারলাম না। কার স্বার্থে । ছি ছি ছি আমার ভাবতেই ঘৃনা হচ্ছে যাদের আমি সমর্থন করতাম তারাই এ রকম লাশ নিয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করে। আমার নিকট আগত সকল সাংবাদিককেই আমি প্রশ্ন করেছিলাম যে আপনার কেন প্রকৃত তথ্য গোপন করছেন তারা যা বলল তাতে বুঝলাম তাদের কোন দোষ নেই। তারা বলল ভাই প্রশাসন থেকে আমাদের প্রমান চাইলে কি প্রমান করতে পারব এতগুলো লোক মারা গেছে। ১৪ জন বলেছি তাতেই আমাকে বলে ১৪ জনের ছবি দেখান। এখন আমি যদি ৫০ বলি আমি কি প্রমান করতে পারব। তারা লাশ গুম করেছে আর প্রমান দিব আমি এটাকি সম্ভব। তাই বাদ্য হয়েই তাদের দেয়া বক্তব্য লিখেছি। তারপর ধরেছিলাম রেলের এক কর্মকর্তাকে যিনি দুর্ঘটনায় কাজ করেছে তিনি যা বললেন তাতে আরো অবাক হয়েছি। তিনি বললেন আমরা বিকেলেই যখন লাশ গুনে গুনে ২০ এর উপর চলে গেছে তখনই অনেকে বলতে থাকল ধর শালাদের তখন বাদ্য হয়েই চুপ হয়ে যাই। ঘটনার পর আমি অন্তত ২০ জনের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেছি সবাই ১০০% নিশ্চিত মৃতের সংখ্যা ১০০ এর কাছাকাছি হবেই হবে। কিন্তু অনেক লাশ গুম করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন ও ৭/৮ জনের হাত-পা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সবাই জেনেও কিছু বলতে পারছেনা বা করতে পারছেনা। আসল ঘটনা তাহলে দেশ বাসীর নিকট অজানাই থেকে যাবে।ঘটনার অন্তরালে কতকিছু ঘটে গেল যা কেউ জানবেনা।ভবিষ্যতে যেন আর কোনদিন এরকম ভয়াবহ দুর্যোগ কারো জীবনে না আসে সেই কামনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৬
১৫টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×