জাফনার এখনো পাঁচ বছর পুরো হয়নি। ছয় এ পড়তে আরো দুমাস বাকী। তার দাঁতগুলো আগেভাগেই উঠেছিল সাত মাস বয়সে। ওর দাদীর মন খারাপ হয়েছিল। উনি বলতেন দেরী করে দাঁত উঠলে দাঁত শক্ত হয়, যেমন ন' মাস বয়সে। আমি বলেছিলাম উঠে গেলে আর কি করা যাবে।
আজ বিকেলে তার নিচের পাটির একটা দাঁত নড়ল। সে আমাকে দেখাল মা দেখ নড়ে। তার দুবছরের বড় বন্ধুর দাঁতগুলো আগেই পড়েছে, তাই সেও অধীর কবে তার দাঁত পড়বে! আমি খুব মজা পেলাম। হৈচৈ করলাম। আমার পুচকা টা আর পুচকা নেই। বড় হয়ে যাচ্ছে। প্রথম দাঁত নড়ার জন্য আনন্দ হচ্ছে। সে বারবার দাঁত নাড়াচ্ছে।
কিছুক্ষন আগে জিজ্ঞেস করলো "হোয়াই আর ইউ সো হেপী"? (আজকাল ইংলিশ বলে । আর ওর আব্বা বলে "মাইয়া আমার ইংরেজীতে গাইল পাড়ে"..............হোয়দার হোসেনের "ফাইসা গেছি" গানটার অনুকরনে । )
আমি বললাম কারন আমার মেয়ের প্রথম দাঁত নড়ল। এটা একটা নতুন ধাপ। তাই আমার আনন্দ।
আপডেট: রাত ৯টা ১৮/০৬/২০১০
যতটা আনন্দময় মনে হচ্ছিল ব্যপারটা তা নয়। তার আমের আটি খাবার শখ হল। একপাশ এর দাঁত দিয়ে কুটকুট করে কামড়ে কামড়ে খেল।
এরপর আসল যুদ্ধ শুরু হল। রাতের খাবারের সময়। হরষে বিষাদ। লোকমা টা বড় করা যাচ্ছে না। সেটা নড়া দাঁতকে চাপ দিচ্ছে। ফলে ব্যথা শুরু হল। আর ভেউ ভেউ কান্না। অল্প অল্প করে লোকমা দেয়া হল। ভয়ে ভয়ে খাবার শেষ হল। বুঝলাম, নতুন আনন্দ পাওয়ার সাথে সাথে নতুন যত্ন ও শুরু হল।
তার পাশের বাড়ীর বন্ধু একবার আপেল খেতে খেতে দাঁত গিলে ফেলেছিল। তাই আমরা জাফনাকে বারবার বলছি, দেখ আবার দাঁতটা গিলে ফেল না।
সকালের আপডেট: "আজ দাঁত ব্রাশ করা যাবে না মা"। সব সময় একাজটাতে ফাকিবাজি চলে। কাজেই একটা ভাল মওকা পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ৯:২৩