প্রায়, মাস খানিক হবে,
উদ্ভ্রান্ত ছিলাম, বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছে।
তারপর বুঝলাম, আমি তোমা তে আটকে গেছি,
বাচার উপায় নাই।
তারপর ছয়-ছয় টা মাস,
কত ধৈয্য ধরেছি, মুখ ফুটে কিছুই বলে নি।
প্রতিদিন, কথা বলতাম,
কবিতা লিখে লিখে দেখাতাম,
তুমিও বুঝতে সব (না বোঝার ভান করে)।
যখন, অনেক চেস্টা করেও বোঝাতে পারতাম না
অথবা তুমি বুঝতে চাইতে না
তখন, মাথা গরম হইয়ে যেত।
তুমি অপেহ্মাতে ছিলে,
কবে আমি বলি,
“ভালবাসি”
আর তুমি তখন ফিরিয়ে দিবে আমাকে।
আমি ও জানতাম,
একবার যদি ফিরিয়ে দাও, আমার আর কিছুই করার থাকবে না।
তাই আমিও , গেরিলা যোদ্ধাদের মত লুকিয়ে থাকতাম।
অবশেষে,
একদিন, তোমাকে ডাকলাম,
মনে পড়ে?
নদীর উপর, ভাঙ্গা ফেরিতে বসে
অনেক কথা বললাম, তুমি ধৈয্য ধরে শুনলে,
যদিও , সেবার ও বলতে পারলাম না
“ভালবাসি তোরে”,
পরে বললে, আগামি ছয় মাসে আমরা আর এ রকম ডেটিং এ যাব না।
আমি ও বললাম ঠিক আছে।
তার ঠিক পচিশ দিন,
পর কি ঝগড়া টাই না করলাম আমরা।
তারপর, প্রথম বারের মত সাহস করে বলেই ফেললাম
তোমাকে আমি ভালবাসি না।
তুমি ও বললে “আমিও তোমাকে আমি ভালবাসি না ”।
তারপর, তোমার মোবাইল নাম্বার রাগ করে মুছে দিলাম,
যদিও কাকে যেন, রিং দিতে গিয়ে
তোমার নাম্বারেই চলে গেল রিং।
বিশ্বাস কর, ওটা কনো নাটকের প্লট ছিল না,
শুধুই অবচেতন মনের কাজ।
মনে আছে?
তারপর তুমি আমাকে ডাকলে,
তুমি আমাকে ভালবাস না, এটা বুঝিয়ে বলার জন্য।
কি অদ্ভুদ, আমি কি করলাম?
মনে পড়ে?
স্পস্ট করে, সরল ভাসায় বললাম,
ভালোবাসার দরকার নেই,
আমার কল্পনা তে পাচ টা সন্তান আছে
তাদের মা হতে পারবা?
তুমি আর লোভ সামলাতে পারলে না।
আমার পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-সুরমা-হিমালয় পেয়ে গেল তাদের মা।
আর আমি ও থাকলাম তাদের সাথে।
বাবা-মায়ের বাসর, চার কন্যা ও এক পুত্র সমেত,
এমন ভাগ্য কার??
কিন্তু, সবার কপালে নাকি সুখ সয় না,
তাই
চারটি বছর পর,
এক ঈদের রাতে,
তুমি বললে, আমি যাই।
যে যেতে চায়, তাকে বাধা দেয়ার সাধ্য কি আছে আমার!
বুকে পাথর চাপা দিয়ে বললাম,
ঠিক আছে, যাও, ভাল থেক, আমাকে ভুলে যেও।
সাথে সাথে আমার চার কন্যা
ও এক পুত্র , সমস্বরে বলে উঠল “যাই বাবা, টাটা” ।
প্রকৃ্তি কত নির্মম হতে পারে,
এটা ছিল না জানা।
আজ সব কিছুই আছে কাছে, তবুও স্মৃতির শিকলে আমি বাধা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




