নিচে নতুন আপডেট দিলাম, দেখতে পারেন।
১ম প্যারা[/su
বেশ কিছু দিন-যাবত সামুতে “ইভটিজিং রোধ” একটি আলোচ্য বিষয়।
এবং প্রায় সব ব্লগারই এই কর্ম-কান্ডর সাথে সহমত প্রকাশ করেছে।
কিন্তু কিছু “উর্বর মস্তস্কের” মানুষ(?) “অতি পন্ডিতে”র ভাব নিয়ে ঊল্টা-পাল্টা পোস্ট দিচ্ছেন।
তারা মাথা ব্যাথার জন্য পুরা মাথাটাই কেটে ফেলতে বলছেন।
আমি কোনো গালা-গালি করেতে পারলাম না।
সুধু বলি কোনো কিছু লিখলে যেনে-শুনে লিখবেন।
সিমা-থেকে- শিউলি, যারা ইভটিজিঙ্গের শিকার হইছিল তারা কি কোনো খারাপ ড্রেস পরছিল???
ওরা বেশির ভাগই নিন্ম আয়ের সংসারে মেয়ে এবং গ্রাম-গঞ্জের মেয়ে ছিল। ওরা থ্রিপিস-ই পড়াছিল।
এর মধ্যে একজন আবার মাদ্রাসায় পড়ত। (অর্থাৎ বোরখা-হিজাব পরা ছিল)
এমন কি মাত্র ১১-১২ বছরের মেয়েরাও আপনাদের মত কুলাঙ্গারের চোখ থেকে বাদ পরে নাই।
আপনার কাছে প্রশ্নঃ তারা কেন ইভটিজিঙ্গের শিকার হয়ে আত্তহত্যা করেছিল??
সুধু গত এক বছরে ১৫০ জন নারী “মারাত্তক” ভাবে ইভটিজিং এর শিকার হন (যে গুল রেপ/এটেম টু রেপ/ মার্ডার হিসেবে গন্য করা যায়)।
এর মধ্যে কয় জনের "বাজে পোষাক" পড়া ছিল???
ইভটিজিং বিষয়ে নিয়মিত নিউজ পেপার পড়েন, ১৯৯১ থেকে ২০১২ এর নিউজ গুল দেখেন/পড়েন তার পর লিখালেখি করেন প্লিজ।
আপডেট২য় প্যারা
যে কারনে আমি “পোষাক”কে ইভটিজিঙ্গের মুল কারন হিসাবে দেখি নাঃ
আমি/আমরা বেশ কিছু "কেস স্টাডি" করেছি, কিছু ভিকটিমের বক্তব্য শুনেছি, কিছু আত্তহত্যার বর্ননা পড়েছি। (সুধু মাত্র সত্য জানতে পারার আগ্রহে )
অতি সংক্ষিপ্ত আকারে তার কিছু পয়েন্ট তুলে ধরলাম।
পোষাকঃ
* পোষাক নিয়ে আমরা যা উপলব্দি করলাম তা হল "মর্ডান ড্রেস" পরে সমাজের হাই সোসাইটির মানুষেরা। তখন হয়তবা কিছু বখাটেরা "শিষ" দেয় বা পিছন থেকে "গান" শুনায়। কিন্তু বখাটেরা এর বেশি কিছু করার সাহস পায় না। এই কারনেই "তথাকথিত বাজে পোষাক" ধারিদের কাছ থেকে তেমন অভিযোগ/আপত্তি আমরা পেপারে পাই না। {{যেহেতূ এই “ওভার স্মার্ট” মেয়েদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পত্রিকায় আসেনা তাই যুক্তিসঙ্গত কারনেই আমরা তাদের কে হিসেবের বাহিরে রেখেছিলাম}}(হয়তবা এই কারনেই আপনারা আমাকে ভুল বুঝতেছেন)
* আমরা দেখতে পেলাম যে গত ৫ বছরের মধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা প্রায় সবাই (নিম্ন/মধ্যবিত্ত পরিবারে মেয়ে) "মর্ডান ড্রেস" পড়া তো দুরের কথা চোখেও দেখে নাই।
*স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্রিরা "ইউনিফর্ম" পড়া অবস্থায়ও নর-পশুদের শিকার হচ্ছে।
* আমরা দেখতে পাই বোরখা পড়া মাদ্রাসার ছাত্রিদেরও রেহাই দেয়া হয় নাই।
*১০-১১ বছরের মেয়ে যার কিনা ঠিক মত শারিরিক গঠনও হয়নি তাকেও যৌন হয়রানি করা হয়।
*আজ শুনলা এক ইউনিভার্সিটির "শিক্ষিকা"কেও টিজ করা হয়েছে। (সে তো আর বাজে ড্রেস পড়ে ক্লাস নিতে যায় নাই)
*ফেবুর গ্রুপে পড়লাম "বোরখা" পড়া এক নারি আরো বেশি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
শিক্ষাঃ
*পরিমল একজন শিক্ষক ছিলেন অর্থাৎ শিক্ষিত লোক।
* ওয়ান ব্যাংকের এক নারি কর্মচারি তার উর্ধতন কর্মকর্তার কাছ থেকে “যৌন হয়রানির” শিকার হন। অর্থাৎ এখানে শিক্ষিত লোকের ব্যাপার স্যাপার।
*সিলেটের ঘটনা মনে আছে?? এক বখাটে প্রেমের পস্তাব দিয়ে সাড়া না পাওয়ায় মেয়েকে তো কুপাইছেই ফাউ হিসেবে মেয়ের বাপেরেও কুপিয়ে মেরে ফেলে।এ রকম শত-শত উদাহরন দিতে পারি।
তাই আমরা সিধান্তে আসি যে শিক্ষিত-অশিক্ষিত উভয়ই করতে পারে। অর্থাৎ শিক্ষা কোনো বিষয় না।
এ রকম ভাবে নিন্মের বিষয় গুল কে আমি/আমরা বেশি গুরুত্ব দেই না।
স্থান- (সমগ্র দেশেই হয়)
সময় (সকাল/বিকাল/রাত্র, সব সময়ই এই ইভটিজিং হচ্ছে)
পারিপার্শিকতা/পরিবেশ (সব পরিবেশেই হয়)
আচরন- একটু বেশি ভদ্র/লাজুক আবার ঊল্টা সাহসি উভয়ই আক্রান্ত হয়েছেন। তাই আচরনও বিষয় না।
এর পর “অন্তরজালে” সাত সমুদ্র-তের নদী চসে বেরালাম। (কানাডা থেকে জাপান, রাশিয়া থেকে মালেয়শিয়া, ডেনমার্ক থেকে আফ্রিকা)
বিসাল হিসাব নিকাশ শেষে আমার মনে হয় যে নিচের দুটি বিষয়ই "ইভ টিজিং এর মুল কারন"
১) আইনের ব্যাবহার।
২)ব্যাক্তির মানষিকতা।(ধর্মিয় অনুশাষনের মাধমেই মন-মানষিকতা পরে)
উপরে প্রকাশিত লেখা গুলি সামুর কোনো শুশিল-কুটিল ব্লগার, ফেবুর কোনো পন্ডিত বা মৃত-অর্ধমৃত-জীবিত কোনো রাজনৈতিক ব্যাক্তির না। ইহা সম্পুর্ন আমার ব্যাক্তিগত মতামত।
(সময় পেলে ৩য় প্যারাটা লিখব)