আমি ব্লগ পড়ি ২০০৭ সাল থেকে, তখন থেকেই সামহোয়্যারইন-এ আছি। শুরুতে নাস্তিকের ভাষায় নাস্তিককে (মূলত ইসলাম-বিদ্বেষী) ডিফেন্ড করতাম, মানে গালা-গালি। পরে দেখি, ওরা গালাগাল করলে ওদের নিক ব্যান হয়না, অথচ আমার নিকের বারোটা বাজে। এভাবে অনেক নিকই হারিয়েছি একের পর এক। তবুও সামু ছাড়ি নাই। আগে নাস্তিকদের ইসলাম-বিদ্বেষ নিয়ে চরম বিরক্ত হতাম, এখনও হই, তবে এখন ইগনোর করি। অনেকগুলো নিক খোয়ানোতে বুঝলাম, নাস্তিকের ভাষায় নাস্তিককে ডিফেন্ড করা যাবে না। আমি জানি, আমার মত ভুক্তভোগী অনেকেই আছেন।
আজ যুদ্ধাপরাধের বিচার যখন সাফল্যের দিকে যাচ্ছিলো, তখন জামাত-শিবির খুব দক্ষতার সহিত জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, প্রজন্ম চত্বর মূলত নাস্তিক তথা ইসলাম-বিদ্বেষীদের আয়োজন। আর এর মধ্যে দৈনিক আমার দেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে যাতে ইসলাম-বিদ্বেষী ব্লগারদের স্ক্রিনশট আছে, সেখানে নিশ্চিতভাবেই অন্যান্য ব্লগের সাথে সাথে দেখা যাচ্ছে সামু ব্লগের স্ক্রিনশটও আছে। আর আমার দেশ যা প্রকাশ করেছে তা কিন্তু মিথ্যা নয়। তবে এটা মিথ্যা যে, প্রজন্ম চত্বরের সবাই নাস্তিক। ঐসব স্ক্রিনশট ফেইসবুকেও প্রকাশ হয়েছিল অনেক আগে, একটা গ্রুপে। সেই গ্রুপে ক্রিনশট দিয়ে বোঝানো হতো বা সহজেই বোঝানো যেত যে, সামু ইসলাম-বিদ্বেষী নাস্তিকতা প্রমোট করে। এটা শুধু আমার কথা নয়, ফেইসবুক ব্যবহারকারী এবং ব্লগ পড়ে এমন অনেকেই জানেন। লেখা-লেখি এবং মুক্ত আলোচনার প্লাটফর্ম হচ্ছে এই সামু, এটা এখন হুমকির সম্মুখীন। খড়গ ঝুলছে সামু'র কাঁধে। আমরা শঙ্কিত, সামু যদি বন্ধ হয়ে যায়!! তবে অভিযোগের দায় সামু এড়াবে কিভাবে!! তাই আজ খুবই দুঃখের সাথে বলতে হয়, আমাদের প্রিয় সামু নাস্তিকতার নামে ইসলাম-বিদ্বেষ প্রমোট না করলেও পারতো।
আমার এই লেখাটা সামু'র সমালোচনা হতে পারে, আবার নিন্দাও হতে পারে। আমাকে ব্লক করলেও কোন আপত্তি নেই। আমি আলরেডি অনেকবারই ব্লক হয়েছি, এখন আর ব্লগ পড়ার/লেখার সময়ই পাই না।
ধন্যবাদ সবাইকে।