আমারও ইচ্ছে ছিল এভারেস্ট ছোঁয়ার।
না সেই ইচ্ছে আমার কোনদিনই পূরণ হয়নি।
একবার ঘর পালিয়েছিলাম। পাঁচ ছয় ঘন্টার জন্য। স্কুল পড়ুয়া পূঁচকে ছেলে আমি, ভেবেছিলাম...দূরে চলে যাবো। সদরঘাট থেকে লঞ্চে চড়ে সোজা বরিশাল। তারপর সেখানে একটা হোটেল মোটেলে চাকরি নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করবো। একটা নৈশ স্কুলে পড়া গেলে মন্দ হয় না। আবার মনে হলো যদি, আশানসোলে রুটির দোকানে কাজ করতে করতে যেমন এক দারোগাকে পেয়েছিল নজরুল, তারপর তাকে নিয়ে গিয়েছিল মংমনসিংহ..তেমন যদি কাউকে পাওয়া যায়, তো বেশ হয়....
না এসবের কিছুই হলো না। আমার ইচ্ছে পূরণ হলো না।
কয়েক ঘন্টা পর আমায় চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাওয়া হলো বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে। ঐ একবারই তারপর একটু একটু করে যতই বড় হই ততই প্রথমে পুরানো রাজপথ কানাগলি, সব মুখেস্ত.. এরপর আর একটু বাদেই দেশ দেখা, এরপর বিদেশ...
......
প্রথমবার যখন নেপালে যাই, তখন আমার ইচ্ছে ছিল হিমালয়ে হামলে পড়বো। হলো না। ঢাকা ইন্টারনাশনাল বিমান বন্দর থেকে কাঠমান্ডু। বিমান এসে পৌছাচ্ছে নেপালের কাছে। ঘন কালো মেঘে ঢাকা সব। কিচ্ছুই দেখতে পাচ্ছি না। এক সহযাত্রী জানালো বিমান থেকে নাকি এভারেস্ট দেখা যায়, দেখা যায় কে টু..অন্নপুন্না... কাঞ্চনজঙ্ঘা...কিন্তু আমার কিছু্ই দেখা হলো না।
হোটেলে পৌছালাম। বাহ একটা বেশ ভালো নাম হোটেলটির। এভারেস্ট। বাংলাদেশের মানুষ নাকি গেলেই সেখানে ওঠে । আমরাও উঠলাম। কিন্তু হোটেল থেকে দেখা যায় না হিমালয়....
সাংবাদিকতা করি। তাই সেখানে নানা কাজ। মাওবাদীদের উপর রিপোর্ট করছি। কাজ শেষ করে আবার যখন দেশের দিকে ফিরছি..তখন রোদ জ্বলজলে অবস্থা। আমাদের বিমান উড়ে যাচ্ছে। উপরে নীল আকাশ। নীচে মাটি, দেখা যাচ্ছে না। আকাশ আর ভূমির মাঝে আছে সাদা পেজা তুলোর মতো মেঘ। সাদা... অসম্ভব সুন্দর সাদা। জানালার পাশে আমার বসার জায়গা। হঠাৎ চোখ গিয়ে পড়লো কিছু দূরে... যেখানে মেঘ ফুড়ে আকাশ ছুইতে চাইছে বেশ কয়েকটি শৃঙ্গ। কি এগুলো... সোনালি রং। ঝিলিক ঝিলিক...। আমি অবাক হচ্ছি প্রকৃতির এই সুন্দর উপহার দেখে। আমার ভালো লাগছে... খুব ভালো লাগছে... মনে হচ্ছে বিমানের দরজা খুলে ঝাঁপ দিই । দূরে হারিয়ে যাই... উড়ে যাই। কিন্তু সব কিছু চাইলেই তো সম্ভব নয়..
দূরে সূর্যটা একটু একটু করে অন্য পৃথিবীকে আলো দিকে যাচ্ছে। সেই চুরিয়ে যাওয়া আলোতে সোনার পর্বত... আমার সে পাহাড় ছোঁয়া হয়নি। যাওয়া হয়নি এভারেস্টে... দেখা হয়নি সেই বরফ শীতল হিম....
সবাই সব কিছু পারে না। কেউ কেউ পারে। আমি সেই দলের নয়...
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।