somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমারও ইচ্ছে ছিল এভারেস্ট ছোঁয়ার..

২৪ শে মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমারও ইচ্ছে ছিল এভারেস্ট ছোঁয়ার।
না সেই ইচ্ছে আমার কোনদিনই পূরণ হয়নি।
একবার ঘর পালিয়েছিলাম। পাঁচ ছয় ঘন্টার জন্য। স্কুল পড়ুয়া পূঁচকে ছেলে আমি, ভেবেছিলাম...দূরে চলে যাবো। সদরঘাট থেকে লঞ্চে চড়ে সোজা বরিশাল। তারপর সেখানে একটা হোটেল মোটেলে চাকরি নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করবো। একটা নৈশ স্কুলে পড়া গেলে মন্দ হয় না। আবার মনে হলো যদি, আশানসোলে রুটির দোকানে কাজ করতে করতে যেমন এক দারোগাকে পেয়েছিল নজরুল, তারপর তাকে নিয়ে গিয়েছিল মংমনসিংহ..তেমন যদি কাউকে পাওয়া যায়, তো বেশ হয়....
না এসবের কিছুই হলো না। আমার ইচ্ছে পূরণ হলো না।
কয়েক ঘন্টা পর আমায় চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাওয়া হলো বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে। ঐ একবারই তারপর একটু একটু করে যতই বড় হই ততই প্রথমে পুরানো রাজপথ কানাগলি, সব মুখেস্ত.. এরপর আর একটু বাদেই দেশ দেখা, এরপর বিদেশ...
......
প্রথমবার যখন নেপালে যাই, তখন আমার ইচ্ছে ছিল হিমালয়ে হামলে পড়বো। হলো না। ঢাকা ইন্টারনাশনাল বিমান বন্দর থেকে কাঠমান্ডু। বিমান এসে পৌছাচ্ছে নেপালের কাছে। ঘন কালো মেঘে ঢাকা সব। কিচ্ছুই দেখতে পাচ্ছি না। এক সহযাত্রী জানালো বিমান থেকে নাকি এভারেস্ট দেখা যায়, দেখা যায় কে টু..অন্নপুন্না... কাঞ্চনজঙ্ঘা...কিন্তু আমার কিছু্ই দেখা হলো না।
হোটেলে পৌছালাম। বাহ একটা বেশ ভালো নাম হোটেলটির। এভারেস্ট। বাংলাদেশের মানুষ নাকি গেলেই সেখানে ওঠে । আমরাও উঠলাম। কিন্তু হোটেল থেকে দেখা যায় না হিমালয়....

সাংবাদিকতা করি। তাই সেখানে নানা কাজ। মাওবাদীদের উপর রিপোর্ট করছি। কাজ শেষ করে আবার যখন দেশের দিকে ফিরছি..তখন রোদ জ্বলজলে অবস্থা। আমাদের বিমান উড়ে যাচ্ছে। উপরে নীল আকাশ। নীচে মাটি, দেখা যাচ্ছে না। আকাশ আর ভূমির মাঝে আছে সাদা পেজা তুলোর মতো মেঘ। সাদা... অসম্ভব সুন্দর সাদা। জানালার পাশে আমার বসার জায়গা। হঠাৎ চোখ গিয়ে পড়লো কিছু দূরে... যেখানে মেঘ ফুড়ে আকাশ ছুইতে চাইছে বেশ কয়েকটি শৃঙ্গ। কি এগুলো... সোনালি রং। ঝিলিক ঝিলিক...। আমি অবাক হচ্ছি প্রকৃতির এই সুন্দর উপহার দেখে। আমার ভালো লাগছে... খুব ভালো লাগছে... মনে হচ্ছে বিমানের দরজা খুলে ঝাঁপ দিই । দূরে হারিয়ে যাই... উড়ে যাই। কিন্তু সব কিছু চাইলেই তো সম্ভব নয়..
দূরে সূর্যটা একটু একটু করে অন্য পৃথিবীকে আলো দিকে যাচ্ছে। সেই চুরিয়ে যাওয়া আলোতে সোনার পর্বত... আমার সে পাহাড় ছোঁয়া হয়নি। যাওয়া হয়নি এভারেস্টে... দেখা হয়নি সেই বরফ শীতল হিম....
সবাই সব কিছু পারে না। কেউ কেউ পারে। আমি সেই দলের নয়...
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×