
ফেসবুকে সহজেই বন্ধুত্ব গড়া যায়। এর সুযোগে অনেকে গড়ছেনও। তবে তা মাঝেমধ্যে দাম্পত্য জীবনকে ঝুঁকির মধ্যেও ফেলছে। এর কারণে খুনের ঘটনাও ঘটছে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যর লুধিয়ানা জেলায়।
ওই এলাকার গৃহবধূ সুখদ্বীপ কৌরও (৩২) সম্প্রতি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলেন। কয়েক দিনের মধ্যেই ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয় করমজিত্ সিং নামের এক কাবাডি খেলোয়াড়ের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে ফেসবুকে চ্যাটিং ও কথা চলতে থাকে। এরই মধ্যে মুঠোফোন নম্বর-বিনিময় হয়। তারপর সেটা গড়ায় প্রেমের দিকে। আর এই প্রেমের সম্পর্কের কারণে স্বামী হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং তা করেও ফেলেন সুখদ্বীপ।
ঘটনাটা এ মাসের ১১ তারিখে। স্বামীকে নিয়ে লুধিয়ানার একটি চক্ষু হাসপাতালে যান সুখদ্বীপ। হাসপাতালে গিয়ে কয়েকজন অপরিচিতের সঙ্গে স্বামী অমরজিত্ সিংকে (৩৬) পরিচয় করান তিনি। অপরিচিতদের নিজের আত্মীয় বলেও দাবি করেন সুখদ্বীপ। একপর্যায়ে চিকিত্সক দেখাতে দেরি হবে বলে ওই লোকদের সঙ্গে নিজ গ্রাম মল্লানপুর ঢাকায় যেতে স্বামীকে তাগিদ দেন তিনি। স্বামীও তাঁর কথা অনুযায়ী দুজনের সঙ্গে গাড়িতে করে মল্লানপুরের দিকেই রওনা হন। পথে অমরজিেক একটি মদের দোকানে নিয়ে যান গাড়িতে থাকা অন্য দুজন। অতিরিক্ত মদ্যপান করে অচেতন হয়ে পড়েন অমরজিত্। এরপর লোকশূন্য একটি স্থানে ছুরিকাঘাতে তাঁকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর অমরজিতের কাছে থাকা ২০ হাজার রুপিসহ স্বর্ণের একটি বালা ও আংটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ব্যাপারে লুধিয়ানার গ্রামীণ বিশেষ নিরাপত্তা পুলিশের কর্মকর্তা গুরপ্রিত সিং জানান, তেভার্ন এলাকায় মধ্যরাতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে অমরজিেক হত্যা করা হয়। এরপর লাশটিকে নিকটবর্তী সোহিয়ান গ্রামে ফেলে যায়। অমরজিত্ হত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করেছে তাঁর স্ত্রী সুখদ্বীপ। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেছে বন্ধু সাতনাম সিং ও প্রেমিক করমজিত্। তাঁরা দুজনই ফাতিহগড় সাহিব জেলার গোবিন্দগড়ের বাসিন্দা।
জানা গেছে, অমরজিত্ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কপি পেস্ট ফ্রম পুত্তুম আলু

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




