somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ প্রতিষ্ঠিত হলো....।

২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল [স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়] অধীনস্থ একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি হোমিওপ্যাথি কোর্সে স্নাতক এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করে।স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের অধীনে কোর্সের নামকরণ করা হয় ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (ডিএইচএমএস)। হোমিওপ্যাথিক কলেজ অনুমোদন, নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও পরিচালনা ছিলো এই বোর্ডের দায়িত্ব। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তিরা এই বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অধ্যাদেশ ১৯৮৩ জারি হলে বোর্ডটি স্বায়ত্তশাসনের অধীনে আসে এবং সৃষ্ট পদসমূহে ব্যাপক রদবদল আসে। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে বোর্ডটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হোমিওপ্যাথিক কলেজ গুলোতে ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) ডিগ্রি চালু করে। বাংলাদেশ সরকার ও কাউন্সিল স্বীকৃত হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বীকৃত কোর্সে পাসকৃত ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক ডা. (ডাক্তার)দের মানোন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণা ব্যবস্থা প্রভৃতির জন্য সময়ের চাহিদায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অধ্যাদেশ ১৯৮৩ রহিতকরণ করে ০২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে আইনটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত ও কার্যকর হয়ে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে প্রতিস্থাপিত করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের জায়গা ও অবকাঠামো এবং জনবল নিয়ে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

ইতিহাস
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের অধীনে কোর্সের নামকরণ করা হয় ডিপ্লোমা অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (ডিএইচএমএস)। হোমিওপ্যাথিক কলেজ অনুমোদন, নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও পরিচালনা ছিলো এই বোর্ডের দায়িত্ব। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তিরা এই বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অধ্যাদেশ জারি হলে বোর্ডটি স্বায়ত্তশাসনের অধীনে আসে এবং সৃষ্ট পদসমূহে ব্যাপক রদবদল আসে। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে বোর্ডটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসে ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) ডিগ্রি চালু করে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত আইন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ মাধ্যমে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে প্রতিস্থাপিত করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

গঠন
*** চেয়ারম্যান (নির্বাহী পরিষদ): ১ জন
***রেজিস্ট্রার: ১ জন
***সদস্য: ১৮ জন
সহ মোট ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে এই বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড) সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

কার্যক্রম
===হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা দিতে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়া;
===স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহে দক্ষতার মান নিয়ন্ত্রণ;
===হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিসমূহের পরীক্ষা অনুষ্ঠান ও সনদ প্রদান;
===হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দু’টি কলেজ ছাড়াও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা প্রদান করছে। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএইচএমএস ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

লিংক সমুহ ........।
http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-1482.html
https://www.dpp.gov.bd/upload_file/gazettes/50651_41703.pdf
https://mefwd.portal.gov.bd/sites/default/files/files/mefwd.portal.gov.bd/go_ultimate/1b41e965_d468_40d1_ae0b_0145961b22f5/ME-2-539.pdf

প্রচারে
ডা. মোঃ আম্মার আব্দুল্লাহ
রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×