somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাবেয়া রাহীম
কস্তুরী খুঁজে ফিরে তার সুবাস..হায় মৃগ, যদি জানত গন্ধ কার! পাখিও খুঁজে ফিরে শিস--হায়, যদি সে জানত! সুর থাকে ভেতরে, অন্তরে.। চুপটি করে এই তো এখনো ডাকে, ব্যকুল হয়ে - ডাকে আর ডাকে ।।

" লেখাজোকা-১" নিয়ে যত লেখা

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাচ্চাদের স্কুলের গেটে অনেক সময় লেখা থাকে "খেলতে খেলতে হাতেখড়ি"। আমাদের লেখাজোকা গ্রুপের শুরু অনেকটা তেমন বলা যায়।
অনেক আগে থেকেই ফেসবুকে সামুর প্রায় সব ব্লগারদের সাথে আমরা যুক্ত হয়ে আছি। ফেসবুকে পোস্টকৃত বিভিন্ন পোস্টে নানা রকমের কমেন্টে আমাদের সবার সতস্ফুরত অংশগ্রহন বেশ এনজয় করতাম সবাই। মজার মজার কমেন্টে সবচেয়ে প্রানবন্ত ছিল কাজী ফাতেমা ছবি, কি করি আজ ভেবে না পাই ( ইমরান হাসান জেসন) , জাহিদ অনিক, অক্ষর অনিক, বিদ্রোহী ভৃগু ( মীম মাশকুর ), গিয়াসুদ্দিন লিটন, মনিরা সুলতানা, শায়মা,সোহানী সোহানী, গুলশান কিবরিয়া, গেমু অন সামু ( ও গেমস তোমাকে আমরা সবাই খুব মিস করি ) কোন কোন সময় সবার করা কমেনটের উত্তরে কমেনট বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠত।

জাহিদ অনিক সামুর জনপ্রিয় কবি। প্রায় প্রতি পোস্টে তার করা বুদ্ধিদীপ্ত কমেনটে আমরা সবাই খুব এনজয় করতাম। প্রতি পোস্টে আমি তাকে বলতাম "তোমার এই কমেনট সেরা"।

একদিন জাহিদ অনিক কমেনট করলো “তাহলে সেরা কমেনট দাতাকে পুরস্কার করা হোক “ ।

তার বলা এ কথাটা বেশ মনে ধরলো। কি করি আজ ভেবে না পাই এর সাথে আলাপ করলাম কি করা যায়।
জেসনের তড়িৎ উত্তর আমরা একটা গ্রুপ বানাই তোমার নামে । আমি সাথে সাথে মানা করলাম। বললাম "গ্রুপ হতে পারে তবে আমার নামে নয়"

কয়েকদিন পর কি করি আজ ভেবে না পাই নিজে থেকেই গ্রুপ ক্রিয়েট করে নাম দেয় “ যা খুশি তাই “
শুরু হোল "যা খুশি তাই" গ্রুপের যাত্রা।

“যা খুশি তাই “ গ্রুপে যার যেমন ভালো লাগে যে যা করে তেমন পোস্ট করতে লাগলাম। যেমন - কামরুন নাহারের ঘুরে বাড়ানো নেশা। তিনি পোস্ট করতে থাকলেন প্রাকৃতিক রুপ সৌন্দর্যের কিছু ছবি। আবার নীলা নাজমা তার বাগান করার শখ সে পোস্ট করলো তার বাগানের শাকসব্জি। শায়মা পোস্ট করলো তার চিত্র কলা । আমি আর জেসন পোস্ট করতে থাকলাম কৌতুক জাতীয় পোস্ট। গ্রুপটিকে যা ইচ্ছে তাই বানিয়ে ফেললাম।

অল্প কয়েকদিনেই মেম্বার হিসেবে সামুর অনেকেই জয়েন হতে লাগলো। সামু পরিবারের আমরা কিছু সংখ্যক মেম্বার একটা ড্রয়িং রুম পেয়ে গেলাম যেনো। সেখানে গল্প আর আড্ডা । সামুতে মেম্বারদের নতুন কোন পোস্ট গেলে সেটা গ্রুপে শেয়ার করা হতে লাগলো।

এভাবে যা খুশি তাই চলতে লাগলো ।

বইমেলা আসন্ন। লেখকগন নিজেদের বই প্রকাশ নিয়ে ব্যস্ত । গ্রুপটাও কেমন যেনো ঝিম ধরে গেছে।
কেউ আর তেমন কৌতুক বা ঘুরে বেড়ানোর ছবি বা শাক সবজীর ছবি পোস্ট করেনা। জেসনের কাছে প্রস্তাব করলাম গ্রুপ কে চাংগা করো । জেসন জানতে চায় "কেমন করে?"। বললাম "ভাবো"। তাকে ভাবতে দিয়ে আমিও ভাবতে থাকলাম।

ভাবতে ভাবতে দুজনার ভাবনা গ্রুপের সব মেম্বারদের ভেতর ছডিয়ে দিতে চাইলাম। ভাবনা মোতাবেক পরিকল্পনা হোল গ্রুপের পক্ষ থেকে সব মেম্বারদের লেখা নিয়ে একটি সংকলন বের করা। কি করি আজ ভেবে নাই পাই যেনো এমন একটি প্রস্তাবের জন্য রেডি হয়েই ছিলো। তার সেকি দারুন উৎসাহ! তার উতসাহ দেখে আমিও দ্বিগুণ উৎসাহিত।

এতোদিন আমরা সামুর ব্লগাররা ব্লগে যত লেখা লিখেছি তার থেকে কিছু কিছু লেখা ছাপার অক্ষরে এক মলাটে বন্দী হবে এটাই ছিল ভালো লাগার প্রধান কারন।

ইতিমধ্যে কি করি আজ ভেবে নাই পাই লেখা চেয়ে গ্রুপে এনাউন্স করে দিয়েছে। বেশ সাড়া পেলাম। অনেকেই বেশ উৎসাহ নিয়ে লেখা পাঠাতে লাগলেন। শুরু হলো লেখা বাছাইয়ের কাজ। এই কাজের গুরু দায়িত্ব নেওয়ার মতন শায়মা আর গিয়াসুদ্দিন লিটন ভাই এই দুই জনকেই যোগ্যতর মনে হলো।

সাহিত্য নিয়ে যাচ্ছে তাই তো করা যায় না। তাই এবার গ্রুপের নাম পরিবর্তনের তাগিদ অনুভব করলাম।

“যা খুশি তাই” নামে বই প্রকাশ করা যাবেনা । জোর তাগিদ দিলাম গ্রুপের নাম পরিবর্তন করার জন্য।

সব এডমিনদের গ্রুপ চ্যাটের ফলাফল মনিরা সুলতানার প্রস্তাব "লেখাজোকা" নামটি খুব পছন্দ হয়ে যায় সবার ।

"লেখাজোকা-১" ছাপার অক্ষরে মলাট বন্দী হয়ে "এক রংগা এক ঘুড়ি" স্টলে জায়গা করে নিয়েছে সবার ভালোবাসায় ।

"লেখাজোকা-১" যাদের লেখা ছাপা হয়েছে তাদের সবাইকে গ্রুপের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন জানাই।

৩৭ জন ব্লগারের লেখা এই বইতে রয়েছে। বইটা এখনো হাতে পাইনি। সম্পাদনায় আমি ছিলাম না। তাই বলতে পারছিনা কোন ৩৭ জনের লেখা ছাপা হয়েছে। বইটি হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবো। ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা।

ভালোবাসা সবার জন্য।

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৫
২৮টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×