somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনে বড় কষ্ট গুলাম আলি : পর্ব ২

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের বাইরে বাংলাদেশী দূতাবাসের বা কনসুলেট অফিসের সম্মানিত বড়কর্তাদের সাথে দেখা করছেন তো বিনোদন পাইছেন যেমন

* বড়কর্তা যখন শুনল আপনি পড়াশোনা করতে এসেছেন । আপনার একটা কাগজ লাগবে , সে আপনাকে বোঝাবে কাগজটা দেওয়াটা তার কাজ নয় , তার আরও বড় হাতিঘোড়া মারার কাজ আছে । সে, সেই কাজে ব্যস্ত । আপনি উঠে আসার আগে বলবে, আচ্ছা দেখি ।

* এরপর কথা বার্তার এক পর্যায়ে সে বলবে ,আপনি আর কি জানেন , কতটুকু পড়াশোনা করেছেন , আমি বুয়েট থেকে কম্পউটার সাইয়েন্স নিয়ে পাশ করা লোক । এরপর বিসিএস ক্যাডার হয়ে এখানে । ঠিক তখুনি পিয়ন এসে বলবে স্যার কম্পিউটার সারার লোক আসছে । অফিসার মেকানিক কে বলবে , দেখেন তো , বাংলা ফন্ট দেখা যাইতেছে না কেন ? আমার ইমেইল ও সকাল থেকে খুলতেছে না ।

* কাজের কাজ কিছুই হইল না । আপনি বিরক্ত এই অবস্থায় অফিসার বলবে । আমি এম্বাসির সেকেন্ড অফিসার, মন্ত্রী মর্যাদার , আপনারা ভাবেন আমরা কোন কাজই করি না । দেখেন হাতে কত কাজ । এত কাজ করেও আপনাদের মন পাই না । যান , সামনের সপ্তাহে আইসেন । পরে দেখবনে । এই বলে ফোনে বলবে , হ্যালো হানি ,আমি আসছি । গরুর মাংস ? বাহ আসতেছি আমি , বেশিক্ষণ লাগবে না । স্যার বাইর হইলেই আমি রওনা হব ।

* আপনি তার রুম থেকে বের হতেই আর কোন পিয়ন কাম স্বঘোষিত অফিসার বলবে , এই কাজের জন্য স্যারের কাছে যাওয়া লাগে ? আমারে কইতে পারলেন না ? আমি এইসব ই করি , বুঝলেন ? ঠিক তক্ষুনি ভিতর থেকে ডাক পড়বে পিওনের , সে ইয়েস স্যার বলে দৌড় লাগাবে । পরে জানবেন তার কাজ শুধুই চা পৌছে দেওয়া , ঘর ঝাট দেয়া ।

* পরের সপ্তাহে যাবেন ঠিক এই ঘটনাগুলাই লুপ আকারে ঘটতে থাকবে । উপরি পাওনা , আপনাকে শুনতে হতে পারে , এম্বাসিতে আমরা কারও ব্যক্তিগত কাজের জন্য বইসা থাকি না ।

হালারা কেন বইসা থাকে , এই প্রশ্ন সাথে করে ব্যর্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার ব্যর্থতার কাহিনী বলবেন , বিশ্ববিদ্যালয়ের সামান্য একজন কর্মকর্তা বলবেন , আপনার কাজ আমি করে দিচ্ছি । আর দূতাবাসে যাবার প্রয়োজন হবে না । হেহেহে

সমস্যার সমাধানগুলো আমাদের সবার ভাবনার মধ্য দিয়েই আসবে । আপনার সমাধানটা ?
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×