যতবার ভাবি, ততবারই কৃতজ্ঞ বোধ করি।
আপনারা আসলেই ভীষণ পরস্ত্রীকাতর !
থুক্কু, পরশ্রীকাতর ! নাহ, আবারও ভুল বললাম !!
গুরু শচিন-ই ঠিক। আপনারা আসলে প্রশ্রয়কাতর
তা না হলে, আমার সব অনর্থক কাজকে কেন প্রশ্রয় দেবেন?
আমি তথ্য প্রযুক্তির লোক।
IT বাদ দিয়ে অন্য কিছু করলে, ধমক দেবেন।
তা না করে - সময়, সুযোগ ও মনোযোগ দিয়ে আমাকে উৎসাহ দেন !! হাওয়া দেন, গ্যাস দেন!!
এসব করে আমাকে ফ্র্যাংকেস্টাইন যখন বানিয়েই ফেলেছেন, আমার দায় আপনাদেরকেই নিতে হবে।
সাথে খুশি মনে, আমার আর একটা পাগলামিকে প্রশ্রয় দিতে হবে।
আমাকে নতুন করে গানে ধরেছে ! শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে!
সারাদিন গান শুনি, গান খাই, গান দেখি (স্বপ্নেও)।
লেকে কম্পোজার হয়, গাতক হয়, বাদক হয়, ক্রিটিক হয়। আমাকে দিয়ে ওর কোনটাই হবে না।
কিন্তু গানের একটা কিছু নিয়ে তো থাকতে হবে।
অনেক চিন্তা করে দেখলাম - শ্রোতা হওয়া যেতে পারে। ১ নম্বর রসিক শ্রোতা।
ওই মাইন্ডসেট নিয়ে লেখাপড়া শুরু করেছিলাম।
ভাবছিলাম বওয়া কাম (sitting job), সহজেই পারবো।
কিন্তু এর মধ্যে ঢুকে দেখছি - ভাল শ্রোতা হয়ে ওঠা, বেগম জিয়া জামাতকে ছাড়ার মতই কঠিন
উপায় হিসেবে একটা ২ নম্বরি বুদ্ধি বের করলাম।
বুদ্ধিটা হল - কোন বিষয় বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায়, সে বিষয়ে একটা বই লিখে ফেলা (কে জানি কইছিল?)।
যেহেতু সপ্তকই চিনি না, তাই সঙ্গীত বিষয়ে বই লেখার মুরদ আমার হবেনা।
নিজেকে চেক দিয়ে - একটা চোথা লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম (পপি গাইড টাইপ)।
চোথার শিরনাম - গান খেকো। বিষয়বস্তু - কিভাবে হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শোনা শেখা যায়, মজা নেয়া যায়।
এই চোথাটির যতটুকু লেখা হবে, সেটুকু আপনাদের সামনে পেশ করবো।
আপনারা ধৈর্য ধরে পড়ে, লাইক দেবেন, ফিডব্যাক দেবেন !!
আমি জানি - মনেমনে খুব বিরক্ত হলেও, খুশি হবার ভান করবেন। এবং আমাকে উৎসাহ দিতেই থাকবেন।
প্রশ্রয়কাতরতার জয় হোক !!!