somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ- দুঃসময়

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাসর রাতে জানতে পারলাম,"আমার বউ-এর করোনা ভাইরাস"!
তাই ভয়ে তার থেকে ৬ মিটার দূরে অবস্থান করছি।একটু আগে, বাসর রাতে ঢুকার পর, আনন্দে দরজা-জানালা সব কিছু একে একে প্রথমত বন্ধ করি। যখন কাছে যাবো,ঠিক তখন আমার বউ চেঁচিয়ে
বলল," আমার কাছে আসবেন না! প্লিজ, দূরে থাকুন!"বাংলা ফিল্মেও আমি এমনটা দেখেছিলাম।ফিল্মের নায়িকা বলে,"আমাকে ছুঁবেন না! আমি আরেকজনকে ভালবাসি।দেহ পাবেন কিন্তু মন পাবেন
না!"এদিকে, আবাল নায়কও তাই মেনে নেয়। সেও রুমে বালিশ আরেকটা নিয়ে
সোফায় গিয়ে অসহায়ের মতো ঘুমায়।
আমিও এমনটা ভেবেছিলাম।
তা ভেবে, হো হা হা হা..করে অট্টহাসি হাসতে থাকলাম।হাসি থামিয়ে, দূরে থাকার কথা টেনে বললাম," ওগো!
এমন প্রেম ভালবাসা,বিয়ের আগে একটু-আধটু থাকে।আমারও যে ডজনখানেক
নাজায়েজ সম্পর্ক ছিল। এটা এখন কমন। সব কিছু বাদ দিয়ে,আসো নতুন একটা জায়েজ সম্পর্ক আমরা করি। যে সম্পর্ক বিশ্ব দেখবে!"
-- বাসর রাতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছেন নাকি? (বউয়ের ভয়ার্ত
জিজ্ঞাসা)
--আরে না! মানে, এমন ভালবাসা হবে, যা বিশ্ব জানবে। খারাপ কিছু না।
---ও! (বউ বুঝতে পারল)আমি আস্তে আস্তে বউয়ের পাশে যেতে লাগলাম, কিন্তু
যখনি একদম বউয়ের পাশে, ঠিক তখন বউ বলে কিনা,
"আমার করোনা ভাইরাস!বাকিটা আপনার ইচ্ছা।ভাইরাস-টাইরাস হলে
আমাকে কিছু বলতে পারবেন না কিন্তু।"
আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম।
করোনা ভাইরাসের ভয়ে,এমনিও দুটো তাবিজ এক্সট্রা লাগিয়েছি। এখন বউ বলে
কিনা তার ভাইরাস?
আমি "আস্তাগফিরুল্লাহ" পড়েই দিলাম লাফ।তাড়াতাড়ি ভিতর থেকে কাপড় মাপবার ফিতা একটা নিয়ে এলাম। বউয়ের শরীর
থেকে ফিতা মাপিক ৬ মিটার দূরত্ব অবলম্বন করলাম।
----
এই অসময়ে বিয়ে করতাম না।আসলে, হায়াত মওতের বিশ্বাস নেই। যদি করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিয়ের আগে মারা যাই,তাই আব্বাকে বলে-কয়ে
বিবাহ করে নিলাম। কিন্তু কথায় আছেনা,"যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে রাত হয়!"
আমারো তাই হয়েছে। রাত নয় ; আরো বাসর হয়েছে।এদিকে, ৬মিটার দূরুত্ব
মেপে দেখি, সোফা থেকে সীমানা দূরে চলে গেছে।যেখানে মাপ পড়েছে,সেখানে সোফাও নেয়া সম্ভব নয়। তাই দরজা খুলে
পালিয়ে যাবো চিন্তা করলাম।কিন্তু,যখন এক দৌঁড় দিয়ে দরজা খুলতে লাগলাম, তখন দেখি বাইরে থেকে লক দেয়া। নিশ্চিত দুলাভাইয়ের কাজ হবে। এমন
কাজ দুলাভাই-ই করতে পারেন।
দুলাভাইকে ফোন দিয়ে কান্না করে বললাম,"
দুলাভাই! প্লিজ, দরজা খুলে দেন। আমার ভয় লাগতেছে।"দুলাভাই হাসতে হাসতে
বললেন,
-আমি জানতাম, তুমি ভয়ে বাসর রাত থেকে পালিয়ে যাবে, তাই তো দরজা
বাইরে থেকে লাগিয়ে দিয়েছি। আমার শ্বশুড়ও নাকি আমার শাশুড়ির
চেহারা দেখে বাসর রাত থেকে পালিয়ে
গিয়েছিলেন,তাই আমার এই পদ্ধতি। তখন যদি আমি থাকতাম তাহলে তুমি আসতে দুনিয়াতে আরো আগে।
-দুলাভাই! প্লিজ,দরজা খুলে দেন। আমি এত তাড়াতাড়ি মরতে চাইনা।( আমার
আবেগী চাওয়া).
-আরেহ্! লাইট বন্ধ করে দাও।দেখবে, সব ভয় শেষ। বাসর করলে, কেউ মরে নাকি!শালা!"
--মরে রে দুলাভাই,মরে..আপনার পায়ে পড়ি,আমারে বের করেন।
--আরেহ্ পাগল! ভয় পেলে হবে?
ভয়কে জয় করতে হবে না?
কান্নার কিছু নেই। আমি সকালে উঠে, ভালো খবর শুনতে চাই। আর কোনো কথা
শুনতে চাইনা, কাজ শেষ করে,গোসল করে বাইরে আসো। দুলাভাইকে,বউয়ের করোনা ভাইরাসের কথা বলার আগেই ফোন বন্ধ করে দিয়েছে।এদিকে আমি অনুভব করলাম,আমার অটোমেটিক চোখ
বেয়ে পানি পড়ছে।আমার কান্না দেখে, কে
যেন নাক ডাকছে?
এই কোন বেয়াদব, যে অন্যের দুঃখে নাক ডাকে?
তাকিয়ে দেখি, আমার বউ।নতুন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বউ দেখি, নাক
ডেকে, মহা শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। আর আমি এদিকে ভয়ে শেষ। আমি ৬ মিটার দূরুত্বে
মেঝেতে শুয়ে পড়লাম।বালিশ যে নেবো, সে খুদরতও নেই; যদি বালিশে জীবাণু
লেগে আমারে আক্রান্ত করে? যদি আমি মরার আগে মারা যাই? তা ভেবেই
শিউরে উঠলাম।মেঝেতে শোয়ার পরেই
চিন্তা এলো, যদি নতুন বউ এর করোনা হয়, তাহলে আজ আমার সাথে যাওয়া বর
যাত্রী, আমার মা-বাবা,আমার বন্ধু-বান্ধব, আমাদের সমাজ, আমার চৌদ্দ গোষ্ঠি
সবারই তো করোনা ভাইরাস হবে। তার মানে কি আমাদের "খান" বংশ নির্বংশ হতে চলেছে? তার মানে কি এই সমাজে কাক
ডাকতে চলেছে?
হায় হায়...আমি সমাজে মুখ দেখাবো কীভাবে?
সকালে,যখন বাবা শুনবেন,তার বউয়ের করোনা ভাইরাস, বাবা তো হার্ট এটাক করবেন! বাবা কতবার যে মাথায় হাত দিয়ে আমার স্ত্রীকে দুয়া করেছেন, তার
হিসাব নেই।মাও কতবার বউয়ের কান্না
দেখে বুকে টেনে নিয়েছেন,তারো ঠিক ঠিকানা নেই।তার মানে কি আমাদের
পরিবার নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে?
আর এদিকে, আজ রাতেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবো আমি।কোনো এক সংবাদপত্রের হেডলাইন হবে," বাসর রাতে
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, স্বামী! বউয়ের নাক ডেকে ঘুম!"আল্লাহ! তুমিই একমাত্র রক্ষা করতে পারো আমাদের। আর
কিছু ভাবতে পারছিনা।এসব চিন্তা করেই, কখন যে অজ্ঞান হয়ে পড়লাম, বুঝলাম
না।অজ্ঞান থেকে জ্ঞান ফিরল যখন, তখন দেখি বাইরে কাক ডাকছে। সবাই মারা গেলো না তো?
ও আচ্ছা..সকাল হয়েছে, তাই পাখির ডাক।তাড়াতাড়ি দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম।
করোনা বউ ঘুমাচ্ছে। দরজা লক খুলতেই দেখি, খোলা।বাবা, মা টেবিলে বসা,
সাথে আপা দুলাভাইও আছে।আমি দৌঁড়ে গিয়ে বললাম,"বাবা! তাড়াতাড়ি পালাও!তোমাদের বউ উঠে গেলে সর্বনাশ হবে।"
সবাই, আমার কথা শুনে হাসতে হাসতে শেষ।
-বউ, আসলে সর্বনাশ হয় না রে পাগল, আরো আনন্দ হয়। ঘর আলোয় ভরে যাই।(বাবা হেসে বললেন)বাবা, তাড়াতাড়ি
পালাও..নতুন বউয়ের করোনা ভাইরাস। বাসর রাতে জানতে পেরেছি।।বাবা, কথাটা শুনে বুকের একপাশে ধরে রাখলেন।ভয়ে, বাবা এদিক-ওদিক ছুটতে লাগলেন।এদিকে, নতুন বউ দেখি,চুল বাঁধতে বাঁধতে আমাদের টেবিলের দিকে আসছে।
আমরা একজন আরে কজনের দিকে ছুটতে লাগলাম।দুলাভাই, ভয়ে আম্মার কোলে উঠে আছে।আম্মাহ বলছেন,"জামাই!
নামো! তুমি ভারী বেশী।"দুলাভাই বলল:মাফ করেন আম্মা।আব্বাকে দেখতে
পাচ্ছিনা।আব্বা দেখি, আলমারির উপর
বসে আছেন।ছোটবোন ঝাড়ু একটা নিয়ে
নতুন বউকে বিড়াল তাড়ানোর মতো,"হুশ,হুশ,হুশ।এদিকে আসবিনা কিন্তু!"
এটা বলছে। ঝাড়ু নয় যেনো শাহী তলোয়ার।আমি পাতিল একটা দিয়ে মুখ ডেকে রাখলাম।বউকে বললাম: তুই আমার
ধর্মের মা! প্লিজ।আমার কাছে আসিস না। আমারে মাফ কইরা দে। আমি আর জীবনেও বিয়া করমু না।কিন্তু শব্দ আসেনা।কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পাতিলাটা উল্টালাম।বউ দেখি আমার পাশে,টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে।দিলাম এক লাফ।
এক লাফে ৬ মিটার দূরে চলে গেলাম।
আমরা সবাই কাঠ হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি।বউ, সব খাবার সাবার করে,
রান্নার অর্ডার দিয়ে চলে গেল। খাবার না পেলে,করোনা লাগিয়ে দিবে তাও শাসিয়ে গেলো।শেষে, আমরা সবাই বাবার
রুমে দরজা বন্ধ করে আশ্রয় নিলাম।
বাবা বললেন: আমি শুনেছি,করোনা ভাইরাসে বুড়ারা মরে, তারমানে আমি শেষ।ছেলের বিয়ের স্বাদ মেঠাতে গিয়ে, জীবনের স্বাদ শেষ করে দিলাম।
দুলাভাই বললেন: আব্বা!
পুলিশরে ফোন দেন। নিয়া যাক বেটিরে।
- ফোন কীভাবে দিবো?
ফোন দিলে তো বউ মার সাথে আমাদেরও করোনা রোগী ভেবে বন্দি করে
নিয়ে যাবে। তখন?
আমি বললাম: তাহলে? আমরা কি নিজের ঘরেই মরবো?
আপু জানালো," ছয় মিটার দূরে অবস্থান করলে কোনো প্রবলেম নেই।"
দুলাভাই বলল: শালা! বাসর রাতে বউরে কিছু করো নাই তো?
- না দুলাভাই! আপনার কছম করিনাই।
-তাহলে, প্রবলেম নাই। আশা করি, আমাদের শরীরে ভাইরাস এখনো ঢুকে নাই।আমরা স্বাধীন।মা বললেন: কিন্তু বউ বলল রান্না করতে, তা কী হবে?
--রান্নার মধ্যে বিষ মিশাইয়া দেন। শালী!মারা যাক! (দুলাভাই বললেন)
--পরে তো মার্ডার কেস হবে। সবাই করোনা থেকে বাঁচতে গিয়ে ফাঁসিতে
ঝুলবো। (আমি)
-- এখন রান্না করা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। (আম্মা)
------------------------------
--------------------------------------
আজ তিনদিন ঘরে আমরা সবাই অবরুদ্ধ। বউয়ের খাতির যত্ন ৬মিটার দূরে থেকে
করছি।বাবা,মা, আপু, দুলাভাই, আমি
বাঁচার জন্য রেইন শুট পরে বাড়িতে আছি। যেনো, ঘরে তুফান হচ্ছে।বউয়ের মা-বাবাকেও কিছু জানাতে পারিনি, বউ হুমকি
দিয়েছে যদি কাউকে জানাই পরিবারে সবার সাথে কোলাকুলি করবে সে।আর করোনা লাগিয়ে দিবে।তাই আর যোগাযোগ করার চিন্তা করিনি।বউয়ের সাথে মাইকের মাধ্যমে কথা বলছি। রান্না
আর খাবার টেবিলে দিলে,সে খেয়ে চলে যায়।এভাবে, দিন কাটছে।হঠাৎ,সে, আমাকে রুম থেকে ফোন করে বলল: দেখো।আমি চাইনা তোমরা আমার জন্য
বিপদে পড়ো। আমি চলে যাবো।
আউট স্পীকারে ফোন ছিলো। তাই সবাই শুনে একসাথে আমরা বলে উঠি,"আলহামদুলিল্লাহ!"
-তবে?
-তবে, কী?
- আমার কাবিন নামার ১০ লক্ষ টাকা চাই!
- না দিলে?
- তাহলে, করোনায় মরবে সবাই।বাবা, ইশারা করলেন"রাজি" বলে।আমি বললাম,"ওকে!"পরে তাকে, ৬মিটার দূরুত্বে
টাকা আর ডিভোর্স পেপারে সিগনেচার করে
ছেড়ে দিলাম।বউ যাওয়ার পর, পরিবারকে নিয়ে করোনা ভাইরাস
পরিক্ষা করে দেখি,আমাদের শরীরে কোনো
ভাইরাস নেই।সে খুশিতে মিলাদ পড়ালাম।
মিলাদ থেকে এসে রমে ঢুকে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে থাকলাম। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম।হঠাৎ ড্রেসিং টেবিলের
উপর নজর গেল।দেখি একটা চিঠি।
পড়তে লাগলাম।"অপ্রিয় শাওন!"
" আসলে, তোমার সাথে আমার সম্পর্ক আমার অমতে হয়েছে। আমার মা-
বাবা,আমার জোর করে তোমার সাথে বিবাহ দিয়েছেন। আমি তানিম নামের একটা ছেলেকে ভালবাসি। তাই তোমার
থেকে বাঁচার জন্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের নাটক করেছি। তোমার
দেয়া ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যাবো দূর ঠিকানায়।আমার আর তানিমের ভালবাসায় আর বাঁধা থাকবেনা। ভালো থেকো।"চিঠি পড়ে অঝোর ধারায়
আমার চোখ বেয়ে কান্না পড়তে লাগল। এমন দুঃখ কেউ মারা গেলেও হয় না।
পরিবারের সবাইকে বললে,সবাই আমার মতো বিলাপ ধরে, ১০ লাখ টাকার জন্য
কাঁদতে লাগল।বাবা, ১০ লাখ টাকা বলে
বলে, কান্না করতে করতে বেহুঁশ হচ্ছেন। যেভাবে এগোচ্ছেন, বেহুঁশ হওয়ার
গ্রীনিচ রেকর্ডটাও ভাঙ্গবেন।
------------------------------
---------------------------------------
এক সপ্তাহ পর, বাবার খরচ হওয়া ১০ লক্ষ টাকা গোছাতে, যৌতুক নিয়ে
আমাকে আবার বিবাহ করালেন।
মেয়ের নাম আইরিন।দেখতে,শুনতেও মাশাল্লাহ।আজ, আমার ২য় বাসর রাত।
যদিও প্রথমবারের কথা চিন্তা করলে শুধু কান্না আসে।যা-ই হোক, আমি লজ্জা
স্টাইলে দরজা -জানালা সব কিছু বন্ধ করে বাসর রাতের খাটের উপর বসলাম। যখন
বউয়ের ঘোমটা উঠাতে যাবো, ঠিক তখন বউ বলে উঠে," আমার কাছে আসবেন
না। আমার করোনা ভাইরাস!"
আমি কথাটা শুনে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেলাম।আমি নিজেকে স্বাভাবিকে এনে বললাম,"করোনা ভাইরাস এর মারে-
বাপ। এরকম ছেঁকা আমি আগেও খেয়েছি। এসব মিথ্যা আর হবে না। আমি এখন
চালাক হয়ে গেছি।
-- কছম! আমার ভাইরাস। এই মাত্র, ফোনে ম্যাসেজ আসলো। গতপরশু, পরীক্ষা করিয়েছিলাম।
-- হা হা হা। এসব মিথ্যা বলে, লাভ নাই। আমি আর ধোকা খেতে চাইনা।আমি লাইট বন্ধ করে দিলাম।জোরপূর্বক, ভালবাসা আদায় করলাম। যদি, পরে বউ চলে
যায়! তাই।বউ সকালে উঠে কাঁদতে
কাঁদতে শেষ।আমার পরিবার, কান্না শুনে
আসলে, সে বলে," আমার করোনা ভাইরাস! প্লিজ!বিলিভ মি।আমাকে একা
থাকতে দিন। নইলে সবার শরীরে ভাইরাস ঢুকবে।আমার পরিবার হা হা হা
করে একসাথে হাসতে থাকল।
--বাবা বললেন, তোমার কেমন করোনা, সেটা আমরা জানি। আমি, বাপু! আর ১০
লক্ষ টাকা দিতে পারব না।করোনা হলে হউক আমাদের।কে জানত, বিষয়টা সত্যি
ছিল।১৪ দিন পর, আমাদের বাড়ি
পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে। আমরা
আইসোলেশনে আছি।আমাদের পুরো খান বংশ ভাইরাসে কবলিত। পুরো সমাজে "কা কা" কাক ডাকছে। পুরো শহর লক ডাউন
করে দিয়েছে সরকার।আমাদের কান্না ছাড়া, আর কোনো উপায় নেই। কেন যে,
এই দুঃসময়ে বিবাহ করলাম?
#
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×