যে কারণে এই ব্লগে আসা, সেই নিজের কথাই বহুদিন পর লিখতে আসলাম এই ব্লগে। মাঝের দীরঘো বহুদিন অন্যের কথাই লিখে গেছি। আজ একেবারেই নিজের কথা লিখবো।
কেন এসেছিলাম ব্লগে? প্রথম বরষে এসে সাংবাদিকতা করতে শুরু করে এসে গত সাত বছরে বন্ধু বেশি হয় নি। আমার ক্যাম্পাসকালীন বন্ধু একসময় ছিলো এই ব্লগিং। শেষ বরষের শুরু থেকে আমরা বন্ধু হলাম। আমি হাজী সাহেব, লিডার, কার্টুন, গেদা, ল্যাংড়া, ভাঙ্গা, টম, জেরি মাঝে মাঝে তানিয়া. অ্যানি ও সিফাত, আর একেবারে শেষে যোগ হলো অমি। অবশ্য রুনাও ছিলো রাব্বানীর জন্য!
আমার নিজের আমিকে চিনেছি সাংবাদিকতা করে নয়, আমার এই বন্ধুদের সঙ্গে মিশে। গনির আর আমার পরিকল্পনা হয়তো আকাশ কুসুম। কখনো মিডিয়া হাউস, কখনো এনজিও আবার কখনো বিজনেস। কতরাত ছোট্ট একটি বেডে আমি, গনি আর পলাশ গায়ে গায়ে লাগিয়ে মুভি দেখেছি। বাংলা আর্ট ফিল্ম আর বিখ্যাত সব ছবি। কাজলার আকাশ ভিলা, আমার আবু গারিব কারাগার, সোহেলের এমএস ছাত্রাবাস আর দীপার বাড়ি। দীপার বাড়ির কথা মনে আছে বন্ধুরা? সেই কোন একদিন রোজার একদিন আগে আমরা শেষ পিকনিক করলাম। সবাই ছিলাম। এরপর আর আমাদের নিজস্ব পিকনিকটা হয় নি। যা হয়েছে তা ডিপার্টমেন্টের পিকনিক। সেই পিকনিকগুলোতের আমরা ছিলাম সবার আগে। শেষ পিকনিকের কান্নার শব্দ আজো আমার কানে বাজে। হয়তো যমুনার পাড়ে গিয়েছিলাম বলে এমন কান্না এসেছিলো সেদিন চোখে।
শেষ পিকনিকে কাজী মামুন স্যারের গান-প্রানো পাখি উড়ে যাবে পিঞ্জরও ছেড়ে...ধরাধামে সবি রবে তুমি যাবে চলে... গানটির মাধ্যমেই আমাদের ক্যাম্পাস লাইফ শেষ হয়ে গেলো। বিভাগ নামের এই পিঞ্জর ছেড়ে আমরা উড়ে গেছি বন্ধু, ভাবতে পারো? জানো, আজ সোমবার বিভাগের ফুটবল খেলা। সোহেলকে আজ মাঠে পাওয়া যাবে না। আজ মাঠে থাকবে মিঠ-মামুনরা। তোমাদের মতো রাজধানীর মায়ার প্রতি অবজ্ঞা করার দুঃসাহস করে এই মতিহারে পড়ে থাকার কারণে আমি আজ মাঠে আমাদের খেলা দেখতে পাবো। হয়তো আগের মতো আমার ‘নিজস্ব নৃত্য’টি দেখাতে পারবো না। কারণ গনি-রাব্বানী-সোহেল-টম-জেরি-গ্যাদা-কার্টুন-অ্যানি না থাকলে হবেই না।
আজ আর নয় বন্ধুরা। আমি তো ফেইসবুকের স্ট্যাটাসে বলে দিয়েছি আমি হাজী সাহেবদের স্মৃতির চাষাবাদ করবো এই মতিহারেই বসে। হাজী সাহেবদের স্মৃতির চাষাবাদ মানে আমার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা (১৪ শ ব্যাচ, ২০০৪-২০০৫) বিভাগের সব বন্ধু।
তোমাদের পীর সাহেব
আবার আসবে
রাজশাহী, ১৬ অক্টোবর ২০১১
সোমবার
হাজীসাহেবদের স্মৃতির চাষাবাদ : আমার এমসিজে-১৪ বন্ধুদের জন্য (১)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া
১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।